Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রামগড়ে বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

রামগড় (খাগড়াছড়ি) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১:৪৮ পিএম

খাগড়াছড়ি রামগড় উপজেলায় লোকালয় হতে বিপন্ন প্রজাতির দুইটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করা হয়েছে।

উপজেলার রামগড় পৌর সভার ১নং পৌর ওয়াডের বল্টুরাম টিলা বৈষ্ণবপাড়া গ্রামের স্থানীয় সাংবাদিকের বাড়ির সংল্গন্ন মিশ্র ফল বাগান হতে লজ্জাবতী বানরটিকে মঙ্গলবার(১ ডিসেম্বর)দুপুরে উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় সংবাদকর্মী রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরা বলেন বাড়ির পাশে পিসিত ভাইয়ের মিশ্র ফল বাগানের গাছের ঢালে অদ্ভুদ আকৃতির বন্যপ্রাণী দেখতে পেয়ে আমার বড় দিদি প্রিয়া ঘোষ প্রথমে আমাকে খবর দেয় এবং গাছ থেকে নামিয়ে প্রথমে খাচায় সংরক্ষণ করি। এসময় আমাকে সহযোগীতা করেন রিসা, চয়ন, মৃত্তিকা, নুপুর, ঘুংগুর , দ্রুবসহ বকুল বালা। উদ্ধার হওয়া বিরল প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় লজ্জাবতী বানরটির কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজরা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে হস্তান্তর করে চায় সংবাদকর্মী রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরাসহ উদ্ধার কাজে সহযোগীতা কারীগন।

জানা গেছে উদ্ধারকৃত বন্যপ্রাণীটি বাংলাদেশের বনাঞ্চলে প্রায় বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানরের মধ্যে একটি।
লজ্জাবতী বানর গুলো গাছের উঁচু শাখায় থাকতে পছন্দ করে। বাংলাদেশে সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চলে এ প্রজাতির বানর দলের এক সময় অবাধ বিচরণ ছিল। এছাড়া এ প্রজাতীর বানর আর্দ্র পত্রঝরা বনে থাকার তথ্য রয়েছে। এরা সাধারণত একা বা জোড়া ঘুরে বড়ায়। ইংরেজিতে Bengal slow loris বলে এবং বাংলা ভাষায় লজ্জাবতী বানর বা লাজুক বানর নামে পরিচিত।

উল্লেখ্য- বিগত ১৫ বছর আগে ও নিজস্ব বাগান থেকে একটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধারের পর স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ হলে পরবর্তীত্বে সংশিলষ্ট কর্তৃপক্ষ রামগড় বনবিভাগের সহযোগীতায় চকোরিয়া দুলাহাজরা পার্কে হস্তান্তর করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ