Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গোয়ালন্দে অবৈধ মাটি উত্তোলন

মোজাম্মেল হক, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) থেকে : | প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার বিভিন্ন স্থানে অবাধে চলছে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি। অবৈধভাবে মাটি কেটে নিয়ে ইটভাটা ও পুকুর ভরাটসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে একটি প্রভাবশালী মহল। তারা গত কয়েক মাস ধরে প্রকাশ্য ট্রাকে করে ভেকু মেশিন দিয়ে নদী পাড়ের মাটি অন্যত্র বিক্রি করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটি প্রভাবশালী চক্র নদী পাড়ের মাটি কেটে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। ছোট-বড় ২০ থেকে ২৫টি ট্রাক দিয়ে দিন রাত অবৈধভাবে মাটি কেটে নিলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অবৈধভাবে ও অপরিকল্পিতভাবে মাটি কাটার ফলে ফসলি জমিসহ নদী ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে। তাদের সুবিধা মতো যত্রতত্র থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে অবৈধ মাটি খেকোরা।
এতে করে বাড়ছে চরম জনভোগান্তি। চর করনেশায় ভেকু মেশিন চালাতে দেখা যায় মো. সিরাজ নামে এক ব্যক্তিকে। তিনি জানান, এই ভেকু মেশিনের মালিক ইউপি সদস্য উচমান কাজী। স্থানীয়রা জানান, ছাত্তার মেম্বার পাড়া চর করনেশনা পদ্মা নদীর পাড় থেকে মাটি কাটার নেতৃত্ব দিচ্ছেন দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য উচমান কাজী। তার সঙ্গে বেলায়েত ও বাহার নামের আরো দু’জন ব্যক্তি হোসেন মন্ডল পাড়া থেকে মাটি কাটছেন। ৭ নম্বর ফেরি ঘাটের একটু অদূরে ছাত্তার নান্নু মোসা মন্ডল নামে এরা কয়েকজন মিলে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটছে হরদমে।
মাটির ট্রাকগুলো ফেরি ঘাটের নতুন রাস্তা দিয়ে যাওয়া আসার কারণে দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন স্থানে খানা-খন্দ, নতুন নতুন ফাটল। একই রুপ মাটিবাহী ট্রাক আক্কাছ আলী হাইস্কুল এলাকার রাস্তা দিয়ে চলাচল করার কারণে বড় বড় গর্ত ও খানা-খন্দ হওয়ায় ধুলায় এই পথে চলা করা দুস্কর। ধুলায় অতিষ্ট হয়ে পড়েছে পাশে থাকা উচ্চ বিদ্যালয় ও মসজিদ ঘরসহ এলাকাবাসী।
স্থানীয় কৃষক ইউসুফ বলেন, এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য রাস্তাটি তৈরি করেছিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মন্ডল। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে তা নষ্ট হয় মাটিবাহী ট্রাক চলাচল করে। অপরিকল্পিতভাবে মাটি কেটে নেয়ার কারণে ভাঙনের শঙ্কায় রয়েছে নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা।
বাহির চর দৌলতদিয়া ছাত্তার মেম্বার পাড়ার রোজিনা বলেন, আমাদের চরাঞ্চলের মানুষের একমাত্র চলাচলের রাস্তা এটি। মাটিবাহী ট্রাক যাওয়া আসার কারণে রাস্তাটি খানাখন্দ ও ধুলার ফলে এ রাস্তায় যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত ধুলার কারণে বাড়ছে শাসকষ্ট ।
ইউপি সদস্য উচমান কাজী বলেন, আমি কোন খাস জমি থেকে মাটি কাটছি না। আমার নিজের জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক সংলগ্ন হোসেন মন্ডলের পাড়া হতে আক্কাছ আলী হাই স্কুলের রাস্তাটি মাটির ট্রাক যাতায়াত করার কারণে কিছুটা নষ্ট হয়েছে। সে রাস্তাটি আমার শ্রমিক দিয়ে মাঝে মধ্যে মেরামত করে দেয়া হয়।
গোয়ালন্দ সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) রফিকুল ইসলাম বলেন, চর করনেশনা এলাকায় পদ্মা নদীর পাড় থেকে মাটি কেটে নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অবৈধ-মাটি-উত্তোলন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ