Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নতুন দ্বার উন্মোচনের সম্ভাবনা

চন্দ্রঘোনায় এলজিইডির পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প

কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন এর ৩ নং ওয়ার্ড কেপিএম কয়লার ডিপু কর্নফুলি নদী সংলগ্ন হতে কাটা পাহাড় হয়ে ২ নং ওয়ার্ড এর রেশম বাগান তনচংগ্যা পাড়ার শেষ মাথা পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার পানি ব্যবস্থাপনামূলক প্রকল্প নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন সরকারের স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। সরকারের টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২.৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আগামী ডিসেম্বর মাসে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে জানুয়ারি ২০২১ নাগাদ এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে জানান তারা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এই অঞ্চলের কৃষি, মৎস্য খাতে অপার সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন এলাকার জনগণ, জনপ্রতিনিধি এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এলজিইডি রাঙ্গামাটির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. তাসাউর জানান, ৬ কিমি খালের ছড়ায় ৪টি বাঁধ দিয়ে ছড়ার পাশে ধারক দেয়াল নির্মাণ করে শুষ্ক মৌসুমে ড্রেইনের পানিকে ধরে রাখা হবে। ফলে এলাকার জনগণ কৃষি কাজে পানি ব্যবহার করতে পারবে এবং গৃহস্থালি কাজে এই পানি ব্যবহার করতে পারবে।
কাপ্তাই উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, রবি ও বোরো মৌসুমে সেচের অভাবে অধিক ফলন সম্ভব হতো না, তাই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এই দুই মৌসুমে অধিক ফলন ফলাতে পারবে কৃষকরা।
প্রকল্পের সমাজ বিজ্ঞানী কামাল হোসেন জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে টেকসই কৃষি ও মৎস্য উৎপাদনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এলাকার জনগণ যেমন কৃষি কাজের জন্য পানি পাবে, তেমনি বাঁধে মৎস্য চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারবে। ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী জানান, প্রকল্পটি একটি মডেল প্রকল্প, এটা এই অঞ্চলের জনগণের জন্য আশীর্বাদ হয়ে থাকবে। এখানে কর্মসংস্থান বাড়বে, জনগণ নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারবে। এলাকার ২নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য নীহার রন্জন তালুকদার, ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য আজিজুল হক মন্ত্রী জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এলাকার কৃষি অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। এলাকাবাসী হোসনে আরা বেগম, জান্নাতুল মাওয়া, বিলকিস বেগম জানান, তারা পানির অভাবে চাষাবাদ করতে পারে না, তাই ছড়াতে পর্যাপ্ত পানি থাকলে তারা জমিতে সবজি চাষসহ নানা কৃষি উপকরণ ফলাতে পারবে।
কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সমবায় কমিটির আহবায়ক সুব্রত বিকাশ তনচংগ্যা (জটিল), কাপ্তাই উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এলাকার বাসিন্দা সুধীর তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা দয়ারাম তনচংগ্যা জানান, প্রকল্প বাস্তবায়ন হউক চাই, তবে এলাকার জনগণের কৃষি জমি যাতে নষ্ট না হয় এবং সেই সাথে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সমবায় কমিটিতে তনচংগ্যা পাড়ার অধিবাসীদের আরও বেশি করে সম্পৃক্ত করে তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। রাঙ্গামাটি এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. তাসাউর জানান, প্রকল্পটির কারণে কোনভাবেই এলাকার কৃষি জমি ও ক্ষেত নষ্ট হবে না। ছড়ার অংশটাকে খনন করে তার উপরে ছোট ছোট বাঁধ নির্মাণ করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবো। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান জানান, সরকারের প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্পে উপকারভোগীদের সম্পৃক্ত করা হয়ে থাকে, কাজেই এই ক্ষেত্রে এলাকার জনগণকে সম্পৃক্ত করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এলাকার কৃষি অর্থনীতিতে এর সুফল প্রভাব পড়বে। এটা একটি মডেল এবং মেগা প্রজেক্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পানি-ব্যবস্থাপনা-প্রকল্প
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ