রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, ছাগলনাইয়া (ফেনি) থেকে
উত্তর চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলা ১ নম্বর করেরহাট ইউনিয়নের ফেনী-চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি জেলার মধ্যে সংযোগকারী ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরাতন মহাসড়কের ফেনীর ছাগলনাইয়া ও মীরসরাই উপজেলার ফেনী নদীর উপর শতবর্ষী পুরাতন শুভপুর ব্রিজটির উপর দিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কার মধ্যে জীবনহানির অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করছে। অসাধু ব্যক্তি ও মাদকসেবীরা ব্রিজের উপর থাকা রেলিংগুলো চুরি করে নিয়ে গেছে অনেক আগেই। ৮-১০ বছর আগে এসব রেলিং চুরি যাওয়ার পরও অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে দেখার যেন কেউ নেই। অথচ এ শুভপুর ব্রিজটির পাশেই বাঙ্কার খুঁড়ে মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। অতীতের সময়গুলোতে এ ব্রিজটির দুই পাশে সরকারিভাবে নিয়োজিত পুলিশরা শিফট অনুযায়ী ডিউটি করে ব্রিজটির বিভিন্ন দিক রক্ষণাবেক্ষণের তদারকি করতেন। ব্রিজটির পাশেই ছিল একটি পুলিশ ক্যাম্প। আর সেখান থেকে পুলিশ তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে ব্রিজটি দেখাশোনা করত। কিন্তু তা যেন এখন কেবলই স্বাক্ষী হিসেবে দ-ায়মান। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। চোরের দল এখান থেকে সরকারি মহামূল্যবান জিনিস চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এভাবে চুরি হতে হতে বর্তমানে ব্রিজটির গাড়িগুলো নদীতে পড়ে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটিয়ে দিতে পারে। তাই অন্তত মানুষের (গাড়ি যাত্রী) জীবনের কথা চিন্তা করে অতি দ্রুত ব্রিজটি সংস্কার করার জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। একাধিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ছাগলনাইয়ার এ শুভপুর ব্রিজ। ফেনী তথা ছাগলনাইয়ার প্রবেশদ্বারে অবস্থিত এ ব্রিজের দখল নিয়েই ১৯৭১ সালে দফায় দফায় পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের। পাকিস্তানি বাহিনী যাতে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এ ব্রিজ অতিক্রম করে চট্টগ্রাম প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য মুক্তিযোদ্ধারা ব্রিজটি দখলে রাখার চেষ্টা করে। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর এসে কেমন আছে সেই ছাগলনাইয়ার শুভপুর ব্রিজ। এমন প্রশ্ন জাগাটাই স্বাভাবিক। ব্রিজটির খুব কাছাকাছি গেলে এখনো দেখা যায় অসংখ্য বুলেট ও কামানের আঘাতের চিহ্ন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ব্রিজটি। এখনো সেই মুক্তিযোদ্ধের কথার স্মরণ করিয়ে দেয়। ঢাকা-চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ফেনী শহরের মহিপাল থেকে সোজা চট্টগ্রামের সঙ্গে নতুন সড়ক নির্মিত হওয়াতে এ ব্রিজের প্রয়োজনীয়তা এখন অনেকটাই কমে গেছে এ অঞ্চলের মানুষের কাছে। হয়তো আগামী প্রজন্ম একদিন ভুলে যাবে এই শুভপুর ব্রিজের কথা। তাই এই ব্রিজে যারা যুদ্ধ করেছিলেন তাদের দাবি এটি মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম স্মারক হিসেবে যাতে সংরক্ষণ করা হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরাতন মহাসড়কের ছাগলনাইয়ার ফেনী নদীর উপর ১৯৫৫-৫৬ সালে নির্মিত হয়েছিল শুভপুর ব্রিজটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।