বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চকরিয়ায় ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সশস্ত্র ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে লুট করা মালামাল ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার র্যাব-৭ এর সহাকারী পরিচালক মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান মামুন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
রোববার কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- কক্সবাজার জেলার নাইক্যংদিয়ার হায়দার আলীর ছেলে মো. ইয়াহিয়া ওরফে জয়নাল (২৬), একই জেলার ফরিদুল আলমের ছেলে ছলিম উল্লাহ (৩৩), মো. শাহাজাহানের ছেলে ছাবের আহমেদ (২৯), হাছন আলীর ছেলে আবুল কালাম (৩০) শাহ আলমের ছেলে শাহ আমান ওরফে বাটু (২৮) ও চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানার মোহাম্মদ বদরুদ্দোজার ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (২৫)।
২৭ নভেম্বর চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ব্রিজে যাত্রীবেশে সৌদিয়া পরিবহনের (চট্ট মেট্রো-ব-১১-১১২৫) একটি বাসে উঠে তারা। বাসটি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার ফাঁসিয়াখালী এলাকায় পৌঁছানোর পর ডাকাত দলের সদস্যরা গাড়ির চালককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা, মোবাইল ফোন ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিতে থাকে। এসময় কিছু যাত্রী বাধা দিলে ডাকাত দলের এলোপাতাড়ি গুলিতে ২ জন যাত্রী গুলিবিদ্ধ হয় এবং ১৫জন আহত হন। এরপর কক্সবাজারের ঈদগাহ এলাকায় ডাকাতির মালামালসহ তারা নেমে যায়। এ ঘটনায় পরদিন ২৮ নভেম্বর চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
রোববার র্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে ওই ডাকাত দলের সর্দার মো. ইয়াহিয়া ওরফে জয়নালকে তার কক্সবাজারের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তার দেহ তল্লাশি করে কোমরে গোজা অবস্থায় ১টি দেশীয় ওয়ান শুটার গান, ১ রাউন্ড ৭.৬২ এমএম রাইফেলের বুলেট ও ১টি রামদা উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এসময় তাদের দেহ তল্লাশি করে ডাকাতির সময় ছিনিয়ে নেয়া ২০টি মোবাইল ফোন, ১ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, ১টি হাতঘড়ি, ২ হাজার ৫৮০ টাকা, ২৫৫ আরব আমিরাতের মুদ্রা, ৩০০ ওমানের মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। এরপর তাদের দেয়া তথ্যমতে বাসের নিয়ন্ত্রণকারী মোহাম্মদ আবদুল্লাহকে মহেশখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ৭ জনের মধ্যে ৬জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি পলাতক ১ জনকেও শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব। তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান র্যাব।
জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাত দলের সদস্যরা জানায়, তারা ৫ নভেম্বর ও ১২ নভেম্বর এক্ই এলাকায় দুটি বাসে ডাকাতি করে। তারা দীর্ঘ দিন যাবৎ কক্সবাজার জেলার চকরিয়া ও সদর থানার বিভিন্ন এলাকায় রাত্রিকালে ছিনতাই এবং ডাকাতি করে আসছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।