বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুষ্টিয়া সদর হাসপাতলে চিকিৎসাধীন ছিলেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বাকই মহব্বতপুর গ্রামের লাইলি খাতুন । লাইলী খাতুন এর স্বামীর নাম ইয়াসিন সেখ। তিনি গত শনিবার বিকাল ৩ টার সময় কুষ্টিয়ার সনো-২ হাসপাতালে এমআরআই করাতে এসে মৃত্যুবরণ করেন।
রোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন এবং ডাক্তার তাকে এমআরআই করানোর জন্য বললে তার পরিবারের লোকজন শুক্রবার ২৭ নভেম্বর বিকেলে এমআরআই করাতে কুষ্টিয়ার কলেজ মোড় সনো হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু শুক্রবার এমআরআই না করিয়ে রোগীকে ফেরত পাঠান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং তাকে শনিবার সকালে আসতে বলেন। শনিবার সকালে রোগী পুনরায় আসলে তাকে এমআরআই না করিয়ে বিকেল বেলা আসতে বলা হয়। রোগী বিকেলবেলা আসলে তাকে এমআরআই করানোর জন্য এমআরআই রুমে নিয়ে যান সনো হাসপাতালের দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
রোগীর স্বজনরা বলেন, এমআরআই করানোর সময় কোন প্রকার বন্ড এ স্বাক্ষর করা না হলেও এমআরআই রুমে ঢোকানোর আনুমানিক ২০ মিনিট পর তারা বন্ড স্বাক্ষর করিয়ে নেন ।
এরপর ৪০ মিনিট পর তারা রোগীকে মৃত্যু বলে স্বজনদেরকে জানান। নিহতে ছেলে মিন্টু বলেন, আমার মা’র তেমন কোন সমস্যা ছিল না । সে নিজে হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে এমআরআই রুমে প্রবেশ করে । রোগীর স্বজনদের মধ্যে একজন বলেন, আমাদের ধারণা এমআরআই করার আগে যে দুইটা ইনজেকশন দেয়া হয়েছিল তার কারণে রোগীর মৃত্যু ঘটে। নিহত লায়লি খাতুনের ছেলে মিন্টু বলেন, আমার মা ভুল চিকিৎসার কারণে মারা গেছে । আমরা এর বিচার চাই। এ ব্যাপারে সনো-২ হাসপাতাল এর ম্যানেজার তরুণ সাহার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মৃত্যুর খবর স্বীকার করেন এবং বলেন এতে আমাদের কোন ত্রুটি নাই। রোগীর অবস্থা সিরিয়াস থাকার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও রোগী কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন এবং তিনি ডক্টর তাপসের সাথে কথা বলার জন্য বলেন।
কিন্তু প্রশ্ন হল যে রোগীটা হেঁটে হেঁটে এমআরআই রুমে প্রবেশ করলো, সে কিভাবে এমআরআই করাতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করে। তাহলে কি রোগীর স্বজনদের অভিযোগ সত্য ?
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে আরএমও ড. তাপস কুমার এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, লাইলি খাতুন গত বৃহস্পতিবার মাজায় ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি হাসপাতালের ৩ নং ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। তার এমআরআই করার প্রয়োজন দেখা দিলে তার স্বজনরা তাকে সনো-২ হাসপাতালে নিয়ে যান। তার শারীরিক কিছু সমস্যা থাকার কারণে সনো হাসপাতাল থেকে তাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে এমআরআই করার জন্য প্রস্তুত করা হয়।
এমআরআই করার সময় তার মৃত্যু ঘটে বলে ড. তাপস কুমার জানান। এই বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর থানার ওসি আবুল কালামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসে নাই। অভিযোগ আসলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।