বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এসএসসি পরীক্ষায় ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বাদ দেয়ার সিদ্ধান্তকে গভীর চক্রান্তের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এসএসসির মত গুরুত্বপূর্ণ একটি পাবলিক পরীক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষা না থাকলে জাতীয়ভাবে তার গুরুত্ব থাকে না। পাকিস্তান আমল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ধর্ম শিক্ষা পাবলিক পরীক্ষায় গুরুত্বের সাথে নেয়া হয়েছে। তবে কাদের পরামর্শে পাবলিক পরীক্ষা থেকে তা বাদ দেয়া হচ্ছে জাতি তা জানতে চায়। পীর সাহেব চরমোনাই জোর দিয়ে বলেন, পাবলিক পরীক্ষায় ধর্ম শিক্ষা পূর্বেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। ষড়যন্ত্রকারীদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয়া হবে। তিনি অবিলম্বে আগামী ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ধর্ম শিক্ষা অন্তর্ভূক্তকরণের জোর দাবি জানান। উল্লেখ্য, যে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ২০২২ সালের এসএসসি পরিক্ষায় ধর্ম শিক্ষা না নেয়ার চূড়ান্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
আজ রোবাবর এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আমাদের দেশের মাত্র শতকরা ৮/১০ ভাগ ছেলে-মেয়ে মাদরাসায় পড়ে। বাকি ৯০/৯২ ভাগ পড়ে স্কুলে। শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী যদি মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলাম শিক্ষাকে বাদ দেয়া হয় তা হবে আমাদের শিক্ষিত যুব সমাজ ও নতুন প্রজন্মকে ইসলাম থেকে দূরে সরানো গভীর ষড়যন্ত্র। প্রবল ইসলাম বিরোধীতার পরও যখন সারাবিশে^ ইসলামের জোয়ার শুরু হয়েছে তখন বাংলাদেশে ইসলামবিরোধী শক্তিগুলো দেশ থেকে কৌশলে ইসলামকে উৎখাত করার চক্রান্ত করছে। ঈমানী চেতনায় শাণিত, আল্লাহ ও রাসূলের ভালোবাসায় উজ্জীবিত এ দেশের জনগণ মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলাম শিক্ষা বাদ দেয়ার ষড়যন্ত্র যেকোনো মূল্যে রুখে দিবে। তিনি এসব চিন্তা পরিহার করতে শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মুসলমানদের বুক যখন ক্ষতবিক্ষত, যখন একটি মহল দেশের শীর্ষ ধর্মীয় নেতাদের বিরুদ্ধে বিষোদগারে নিয়োজিত। ঠিক তখন এধরণের ইসলামবিরোধী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকাই সকলের জন্য কল্যাণকর। তিনি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করে ইবতেদায়ী শিক্ষকদের সকল দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিন যুগ ধরে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকরা কেউ বিনা বেতন আবার কেউ সামান্য বেতনে শিক্ষাসেবা অব্যাহত রেখেছে। বারবার সরকার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু অসহায় শিক্ষকদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।