মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বব্যাপী সাড়ে ১৪ লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া করোনাভাইরাসের উৎস নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক চলছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশই যখন বলছে, চীনের উহান থেকেই এর উৎস। যদিও চীন বরাবর এটা অস্বীকার করেছে। এমন অবস্থায় চীন নতুন এক তত্ত্ব হাজির করেছে। চীনের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, এটা তাদের দেশ থেকে ছড়ায়নি। বাংলাদেশ বা ভারত থেকেই ছড়িয়েছে। সম্প্রতি চীনের সায়েন্স একাডেমি প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, করোনা ভাইরাস উহানে ছড়িয়ে পড়ার আগে ভারতে সেটি দেখা দিয়েছিল। খবর ডেইলি মেইলের।
ওই প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, গত বছর এ অঞ্চলে তীব্র দাবদাহের সময় মানুষ ও বন্যপ্রাণীরা একই উৎস থেকে পানি পান করায় ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে গবেষণায় দাবি করা হয়। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের মে থেকে জুন মাসে উত্তর-মধ্য ভারত এবং পাকিস্তানে রেকর্ড দ্বিতীয় দীর্ঘতম দাবদাহ তাণ্ডব চালিয়েছিল। ফলে ওই অঞ্চলে ভয়াবহ পানির সংকট সৃষ্টি হয়। চীনা গবেষকদের ভাষ্য, পানির অভাবে বানরের মতো বন্যপ্রাণীরা একে অপরের সঙ্গে ভয়াবহ লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছিল এবং অবশ্যই এটি মানুষ ও বন্যপ্রাণী সংস্পর্শের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলেছিল।
চীনা গবেষক দলটি করোনাভাইরাসের উৎস খুঁজতে ফাইলোজেনেটিক বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যবহার করেন। তাদের মতে, সবচেয়ে কম রূপান্তরিত রূপটাই ভাইরাসের আসল রূপ হতে পারে। এ ধারণার ভিত্তিতেই চীনা গবেষকরা দাবি করেছেন, নভেল করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ উহানে হয়নি। এর বদলে ভারত এবং বাংলাদেশের মতো জায়গাগুলো, যেখানে কম রূপান্তরিত ভাইরাসের নমুনা পাওয়া গেছে, সেখানেই হতে পারে এর আসল উৎস। এ ছাড়া ভারত-বাংলাদেশের পাশাপাশি করোনার সম্ভাব্য উৎস হিসেবে অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, সার্বিয়া, ইতালি, গ্রিস, যুক্তরাষ্ট্র এবং চেক রিপাবলিকেরও নাম বলেছেন চীনের ওই গবেষকরা।
তবে চীনের এ দাবির সঙ্গে একমত নন অনেক বিশেষজ্ঞ। গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির ভাইরাল জিনোমিক্স অ্যান্ড বায়োইনফরম্যাটিকস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডেভিড রবার্টসন চীনা বিজ্ঞানের গবেষণাপত্রকে খুবই ক্রুটিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, ন্যূনতম রুপান্তরিত ভাইরাস সিকোয়েন্স শনাক্তকরণে লেখকদের দৃষ্টিভঙ্গি সহজভাবে পক্ষপাতদুষ্ট। লেখকরা মহামারির বিস্তৃতি সংক্রান্ত উপাত্তগুলো এড়িয়ে গেছেন, যাতে চীনে ভাইরাসের উত্থান এবং সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়া স্পষ্ট দেখা যায়। চীনা বিজ্ঞানীরা গবেষণাপত্রটিতে সার্স কোভিড-২ সম্পর্কে বোঝার বিষয়ে নতুন কিছুই যোগ করেননি। সূত্র : ডেইলি মেইল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।