Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২ এসআই বদলি হলেও ছাড়ছে না থানা

প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

পটিয়ায় তিন এসআইর গ্রেফতার বাণিজ্যে অতিষ্ঠ নিরীহ মানুষ
পটিয়া উপজেলা সংবাদদাতা : পটিয়া থানার তিনজন এসআইর বিরুদ্ধে গ্রেফতার বাণিজ্যের অভিযোগ দিন দিন ভারী হয়ে উঠেছে। এ তিন এসআই এর মধ্যে রয়েছে এসআই নাদিম মাহমুদ, এসআই কুতুব উদ্দিন ও এএসআই আবদুল আলিম। এদের গ্রেফতার বাণিজ্যে এলাকার নিরীহ লোক অতিষ্ঠ। অন্য দিকে ২ জন এসআই বদলি হলেও দীর্ঘদিন ধরে তারা থানায় বহাল তবিয়তে রয়েছে। তারা প্রায় দু’মাস যাবৎ থানা ছাড়ছে না। এসআই কুতুব উদ্দিন, এসআই নাদিম মাহমুদ ও এএসআই আবদুল আলিমের গ্রেফতার বাণিজ্য, দুর্নীতি, লোকজনকে হয়রানি এখন নিত্যদিনের ঘটনা। ২০১১ সালের শেষ দিকে এসআই কুতুব উদ্দিন পটিয়া থানায় যোগদান করেন। বর্তমানে সে প্রায় পাঁচ বছর ধরে পটিয়া থানায় অবস্থান করছেন।
এসআই নাদিম মাহমুদ ও এএসআই আবদুল আলিম ২০১৩ সালে পটিয়া থানায় যোগ দিয়ে প্রায় তিন বছর পটিয়া থানায় রয়েছে। একজন এসআই সবোর্চ্চ দুই বছর এক থানায় অবস্থান করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এই এসআই গত ৩ বছর থেকে ৫ বছর পযর্ন্ত কিভাবে এক থানায় অবস্থান করছে তা লোকজনের বোধগম্য নয়। তিন এসআই-এর গ্রেফতার বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য সাম্প্রতিক ঘটনার মধ্যে রয়েছে ১৩ জুলাই এএসআই আবদুল আলিম উপজেলার মোজাফরাবাদ এলাকায় গিয়ে সেলুন দোকানদার স্বপন শীলকে মদ বিক্রির অজুহাত তুলে আটক করা। পার্শ্ববর্তী ফার্নিচার দোকানদার কাঞ্চনকে খোঁজ করে না পেয়ে স্বপন শীলকে থানায় নিয়ে আসে। এরপর স্বপন শীল থেকে ১২ হাজার টাকা ও কাঞ্চনকে মামলা দেয়ার ভয় দেখিয়ে ১২ হাজার টাকা আদায় করে স্বপন শীলকে ছেড়ে দেয়। হাইদগাঁও-কেলিশহর আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে এসআই কুতুব ও এএসআই আবদুল আলিম প্রায় সময় মাদক দমনের নামে লোকজনকে ধরে এনে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। এতে অতিষ্ঠ হয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের লোকজন জেলা প্রশাসক বরাবরে এ দুই এসআইর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে পুলিশ বিভাগে অনুলিপি প্রদান করেন। গত ৩০ জুন এসআই নাদিম মাহমুদ পটিয়া পৌরসভার আমির ভা-ার রেল গেইট এলাকা থেকে স্ক্র্যাপ (ভাংগারি মাল) ব্যবসায়ী আবুল বশরকে কোন অজুহাত ছাড়া আটকিয়ে ৫০ হাজার টাকা আদায় করে ছেড়ে দেয়। এই এসআইদের সাথে সহযোগী হিসেবে থাকেন আনসার সদস্য সেলিম, নান্নু শেখ, বনমালী, নজরুল। আনসার সদস্যরা এসআইদের টার্গেট করা লোককে গাঁজা অথবা ইয়াবা পকেটে ঢুকিয়ে দিয়ে ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করে।
এ ধরনের একটি অভিযোগে গত ৮ আগস্ট পটিয়া থানার ওসি নির্দেশে আনসার সদস্য নজরুলকে ক্লোজড করা হয়। অনেক পুলিশ সদস্যদের সাথে রয়েছে মহিলাদের সম্পর্ক। পুলিশ কনস্টেবল শহিদুল্লাহ সাথে মহিলার সম্পর্কে কেন্দ্র করে গত ২৪ জুলাই শহিদুল্লাহ ক্লোজড হয়। অন্যান্য থানায় বদলি হওয়া ২ জন এসআই যথাক্রমে এমএ হালিম (সিএমপি), অল্ িউল্লাহ (সিএমপি)। এ ২ এসআই রহস্যজনক কারণে এখনো বদলি হওয়া কর্মস্থলে যোগদান করছেন না। এ ব্যাপারে পটিয়া থানার ওসি রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী বলেন, এসআইদের অভিযোগের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন। বদলিকৃত এসআইগণ কেন থানা ছাড়ছে না তা তারাই জানে। এতে আমার কোন এখতিয়ার নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ২ এসআই বদলি হলেও ছাড়ছে না থানা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ