মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নাগর্নো-কারাবাখকে ‘প্রজাতন্ত্র’ হিসাবে স্বীকৃতি দিতে বুধবার ফ্রান্সের সিনেটে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আজারবাইজানের পার্লামেন্ট। পাশাপাশি, তুরস্কও এই ঘটনায় ফ্রান্সের সমালোচনা করেছে বলে আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার আজারবাইজানের পার্লামেন্ট থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ফরাসী সিনেটের এই পদক্ষেপ দেশগুলোর আঞ্চলিক অখণ্ডতা সম্পর্কিত ইইউ কাউন্সিল কর্তৃক ২০১৬ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে গৃহীত প্রস্তাবসহ ইইউ’র বিদেশ ও সুরক্ষা নীতি সম্পর্কিত বৈশ্বিক কৌশলের সাথে সদস্য দেশ হিসাবে ফ্রান্সের করা প্রতিশ্রুতিগুলোর সাথে খাপ খায় না।’ বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে, ‘এ জাতীয় প্রজাতন্ত্রের প্রস্তাবে কোনও দেশই স্বীকৃতি দেয়নি। এই রেজুলেশনের বিধানগুলোর বাস্তবায়ন ইইউ’র ভাবমূর্তি এবং পূর্বের সাথে তাদের অংশীদারিত্ব কর্মসূচি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বলে এতে যোগ করা হয়।
আজারবাইজানের পার্লামেন্ট উল্লেখ করে যে, প্রায় তিন দশক ধরে আর্মেনিয়ান ও আজারবাইজানের মধ্যে নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে সংঘাত ‘অমীমাংসিত’ থাকার অন্যতম প্রধান কারণ হ’ল যে, আন্তর্জাতিকভাবে মধ্যস্থতার জন্য শান্তি আলোচনায় যে রাষ্ট্রগুলো ভূমিকা পালন করেছিলো, বিশেষ করে ফ্রান্স, ‘আর্মেনিয়াকে আক্রমণকারী বলে মনে করে না। তারা দখলদার এবং দখলদারিত্বের শিকারের মধ্যে পার্থক্য করে না।’ পাশাপাশি, এদিন এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে ফরাসী রাষ্ট্রদূতকেও তলব করে আজারবাইজানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে, বৃহস্পতিবার তুরস্কও ফ্রান্সের সমালোচনা করে বলেছে, ফরাসী সিনেটে সরকারের পক্ষ থেকে নাগর্নো-কারাবাখকে একটি স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে করা একটি প্রস্তাব গৃহীত হ’ল। এটি ‘হাস্যকর, পক্ষপাতদুষ্ট এবং বাস্তব বর্জিত’। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি লিখিত বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘ফরাসী সিনেটের এই সিদ্ধান্ত থেকে বোঝা যায় কেন তিন দেশের সহ-সভাপতিত্বে গঠিত ওএসসিই মিনস্ক গ্রুপ (ইউরোপে সুরক্ষা ও সহযোগিতা সংস্থা), যাদের নিরপেক্ষ থাকার কথা ছিলো, পক্ষপাতমূলক আচরণের কারণে সমস্যার কোন সমাধান দিতে পারেনি।’
প্রসঙ্গত, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহ-সভাপতিত্বে ইউরোপের সুরক্ষা ও সহযোগিতা সংস্থা মিনস্ক গ্রুপটি ১৯৯৯ সালে নাগর্নো-কারাবাখ বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য গঠিত হয়েছিল, কিন্তু ফলস্বরূপ কোন কার্যকর সমাধান দিতে পারেনি। সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।