বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজারে মোবাইল ফোনের বাজারের একটি বড় অংশই শুল্কফাঁকিতে আনা মোবাইলের দখলে। বৈধভাবে আমদানিতে উচ্চ শুল্কের কারণে অসাধু মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার লোভে এ পথ বেছে নিয়েছেন। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে নিরাপত্তা ঝুঁকি। জানা যায়, কক্সবাজারে অবৈধ আইফোনের তুলনায় অন্যান্য ব্র্যান্ডের অবৈধ স্মার্টফোন বেশি। কিন্তু এসব অবৈধ ফোনের দিকে নজর নেই গোয়েন্দাদের। ফলে বাজারে অবৈধ স্মার্টফোনের ছড়াছড়ি। এছাড়া এসব অবৈধ ফোন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে অনলাইনের বিভিন্ন সাইটেও বিক্রি করছেন। এতে করে বৈধপথে যেসব ব্যবসায়ীরা ফোন আমদানি করছেন তারা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানান অনেক ব্যবসায়ী। বেশি স্যামসাংয়ের স্মার্টফোন আমদানি করা হয়। আর স্যামসাংয়ের ৮০ শতাংশ ফোন আসে অবৈধভাবে। এই তালিকায় নাম রয়েছে এইচটিসি, ভিভো, শাওমি ও ওপোও।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শহরের সবচেয়ে বড় রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে মোবাইল বিক্রি হয় বিলকিস মার্কেট, এবি মার্কেট, কোরাল রীফ প্লাজা, জিলানী মার্কেট, আছাদ কমপ্লেক্সসহ ৮ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে।
অনেকেই শো-রুম খুলে বিক্রি করছে এসব মোবাইল। শহরের সবচেয়ে বড় মোবাইল বিক্রির বাজার বিলকিস মার্কেট ও কোরাল রীফ প্লাজা। এখানে প্রতি মাসে বিক্রি হয় প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার মোবাইল ফোন। তারমধ্যে অধিকাংশ শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা লাগেজ ফোন।
চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও ঢাকা অসাধু ব্যবসায়ীদের সাথে সিন্ডিকেট করে কক্সবাজারে এসব মোবাইল আনা হয়। জানা গেছে, ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে লাগেজে মোবাইল ফোনগুলো আসে। এখানকার চোরাকারবারীদের সাথে ভারতের চোরাকারবারীদের রয়েছে গভীর সখ্যতা। স¤প্রতি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বিপুল পরিমাণ চোরাই মোবাইলসহ পেকুয়া থেকে দুই সহোদরকে আটক করে। এই অভিযানের পর বেশ সাবধানে পা ফেলছে অন্যান্য অসাধু ব্যবসায়ীরা। বিলিকিস মার্কেটের এক ব্যবসায়ী বলেন, যারা বৈধপথে স্মার্টফোন আনছি তাদের এখন পথে বসতে হবে। কারণ বাজারে ৫০ শতাংশ স্মার্টফোন শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আসছে। ফলে তারা আমাদের থেকে অনেক কম দামে স্মার্টফোন বিক্রি করছেন। তাই ক্রেতাদের উপস্থিতি তাদের কাছেই বেশি।
জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, অবৈধ মোবাইল ফোনের রয়েছে সক্রিয় সিন্ডিকেট। তাদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। শিগগিরই অভিযান চালিয়ে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।