বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ইনকিলাব ডেস্ক : নাক দেখেই বুঝে যেতে পারেন আপনার সামনের মানুষটির চরিত্র কেমন। দেহের গঠনমাস্ত্র মতে বিভিন্ন ধরনের নাকের উপরে নির্ভর করে মানসিকতার পার্থক্য।
সামনের মানুষগুলোর নাকের দিকে একটু পর্যবেক্ষণে দৃষ্টিতে তাকালে দেখবেন কারো নাক সোজা, কারো চওড়া, কারোবা বাঁকা, কারো চ্যাপ্টা, কারো আবার মাংসল। নাকটা ঠিক কেমন তা দেখেই ব্যক্তিটি সম্পর্কে একটা ধারণা করা যায়। তবে শুধু নাক দেখে মানুষকে বোঝার চেষ্টা করাটা ভুল। কারণ, লক্ষণশাস্ত্র সব সময়ে মেলে না। তবে একটা ধারণা অবশ্যই পাওয়া যায়।
সোজা নাক
ভাল দিক : (১) এ ধরনের মানুষ সব সময় কাজে উৎসাহ জোগায়। (২) নিজেকে এবং নিজের চারপাশটা খুব গোছানো রাখতে ভালবাসে। (৩) যে কোনও কাজ উৎসাহ নিয়ে করে। (৪) এদের মাথা অসম্ভব রকমের ঠা-া।
খারাপ দিক : (১) এদের দ্বারা প্রেমে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। (২) এরা কোনও কাজেই প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল পায় না। (৩) নিজে ভুল করলে অন্যকে দোষ দেয়ার প্রবণতা থাকে এদের।
বাঁকা নাক
ভাল দিক : (১) এরা যে কোনও ব্যাপারেই বিদ্রোহী হয়। (২) সব ব্যাপারেই ব্যতিক্রমী ভাবনা তুলে ধরে। (৩) যে কোনও কিছুই যুক্তি দিয়ে বোঝার চেষ্টা করে।
খারাপ দিক : (১) প্রেমে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। (২) এরা মানুষ চিনতে ভুল করে। (৩) নিজের কাজ অপরের উপরে চাপিয়ে দিতে ভালবাসে।
মাংসল নাক
ভাল দিক : (১) এরা সব বিষয়েই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। (২) কোনও কাজের দায়িত্ব পেলে দ্রুত শেষ করতে পারে। (৩) পছন্দের কাজ পেলে মন দিয়ে এবং উৎসাহ নিয়ে করে।
খারাপ দিক : (১) দ্রুত কাজ করলেও তাতে প্রচুর ভুল থাকে। (২) সব ব্যাপারেই একরোখা। (৩) অপরকে ভুল বোঝার প্রবণতা থাকে।
চওড়া নাক
ভাল দিক : (১) এদের মধ্যে জন্মগতভাবে নেতা হওয়ার লক্ষণ থাকে। (২) অসাধারণ ব্যক্তিত্ব হওয়ায় অপরকে দিয়ে কাজ করাতে পারে। (৩) কঠিন সময়েও সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা থাকে।
খারাপ দিক : (১) এরা প্রিয়জনদের প্রতি দুর্বল মনোভাব পোষণ করে থাকে। (২) কিছুতেই অপরের নেতৃত্ব মেনে নিতে পারে না। (৩) নিজের দোষ অপরের উপরে চাপিয়ে দিতে পারে।
চ্যাপ্টা নাক
ভাল দিক : (১) এদের মধ্যে মায়া, দয়া বেশি হয়ে থাকে। (২) এরা অপরকে ভালবাসতে পারে। (৩) যে কোনও কাজে উদ্যমী হয়। (৪) আশাবাদী স্বভাবের হয়।
খারাপ দিক : (১) কাজের মাঝপথে গিয়ে এরা অনেক সময়ে খেই হারিয়ে ফেলে। (২) মানুষ চিনতে ভুল করে আঘাত পায়। (৩) অগ্র পশ্চাৎ না ভেবে যে কোনও কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
ধামরাইয়ে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের ৯ সদস্য আটক
ধামরাই উপজেলা সংবাদদাতা : অধিক বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে বেকার যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া একটি চক্রের ৯ সদস্যকে গত বুধবার ধামরাই থানা পুলিশ আটক করেছে।
আটকরা হলোÑফরমান আলী, আবু বকর সিদ্দিক, আবদুল খালেক, জাকির হোসেন, ফরিদুল ইসলাম, বাবুল হোসেন, ফারুক হোসেন ওরফে আকাশ, শামীম আল মামুন ও আবদুল মালেক।
ভুক্তভোগীরা ও পুলিশ জানায়, দেশের বিভিন্ন শহরাঞ্চলে অফিস ভাড়া নিয়ে টিভি-ফ্রিজ, এসিসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সামগ্রী বাজারজাত করার কথা বলে সেলসম্যান, মার্কেটিং অফিসার, মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ পদে অধিক বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে উলিপুর উপজেলার জোনাইডাঙ্গা গ্রামের রুবেল হোসেনের কাছ থেকে ৩০হাজার,একই উপজেলার হায়াতখা গ্রামের রজব আলীর কাছে থেকে ৩০ হাজার, তবকপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের কাছ থেকে ২৬ হাজার, একই গ্রামের নাইমুর রহমানের কাছ থেকে ৪০ হাজার, একই গ্রামের হারুন অর রশিদের কাছ থেকে ২৬ হাজার, দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার ধরনজি গ্রামের রায়হান কবিরের কাছ থেকে ৩৫ হাজার, লালমনিরহাট জেলার নওদাবস গ্রামের সুমন মিয়ার কাছ থেকে ২৬ হাজার, একই জেলার হরিদেব গ্রামের নাছির উদ্দিনের কাছ থেকে ১৫ হাজার, বুনাইগাছ গ্রামের জাহিদুল ইসলামের কাছ থেকে ২৬ হাজার, ভদ্রপাড়া গ্রামের শ্রী বীরেন চন্দ্রের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকাসহ শতশত বেকার যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়। তারা প্রতিনিয়ত অফিস পরিবর্তন করে প্রতিষ্ঠানের একেক সময় একেক নাম দিয়ে অফিস পরিচালনা করে আসছে এ চক্রটি। গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা নুর প্লাজায় অফিস ভাড়া নিয়ে ‘গোল্ডেন স্টার বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড’ গাজীপুর বোর্ড বাজারে ‘ফিউচার টাচ লিমিটেড’ ও ধামরাইয়ের চন্দ্রাইলে ‘আওয়ার ড্রিম’ নাম দিয়ে অফিস পরিচালনা করে আসছে এ প্রতারক চক্র। প্রতারিত যুবকরা গতকাল ধামরাই থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ তাদের আটক করে। প্রতারিত যুবক নাইমুর রহমান জানায়, তাকে মার্কেটি অফিসার পদে মাসিক ১৪ হাজার টাকা বেতন দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নেয় ওই প্রতারক চক্র। সে চাকরিতে যোগদানের পর বুঝতে পারে সে প্রতারণার শিকার হয়েছে। এরপর তাকে একটি রুমে আটকিয়ে রাখে।
হারুন রশিদ জানায়, প্রতারক চক্রটি তার কাছ থেকে ২৬ হাজার টাকা নিয়ে সাড়ে ১২ হাজার টাকা মাসিক বেতনের কথা বলে চাকরিতে যোগদান করায় গত মাসের ২৬ তারিখে। যোগদানের পর থেকেই তাকে ওই চক্রটি বলে, ‘তুমি আরো লোক নিয়োগ কর। একজন নিয়োগ দিলেই তোমাকে ৫ হাজার টাকা কমিশন দেওয়া হবে।’ এমনকি তারা নেপালে নিয়ে প্রশিক্ষণ করায়ে ট্রেইনার হিসেবে লেকচার দিলে সপ্তাহে ২৪ হাজার প্রশিক্ষণ ভাতা পাওয়ার প্রলোভন দেখায়। তিনি আরো জানায়, গাজীপুরে তাকেও ওই চক্রটি একটি কক্ষে আটক করে রেখেছিল। ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ রিজাউল হক জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।