বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজার অফিস : মহেশখালীর হোয়ানক পানিরছড়া মৌজার গ্যাস লাইনের বাল্ব স্টেশন স্থাপনে অধিগ্রহণ করা জমির মালিকরা যথাযথ ক্ষতিপূরণ নাপাওয়ার আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। জানাগেছে, ওই এলাকার ১১৮.১২০ ও ১৩০ খতিয়ানের ৫ একর জমির মালিকরা যথাযথ জমির মূল্য না পাওয়ার শঙ্কায় ভোগছেন। এলাকার ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষ থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর এক আবেদন থেকে এই তথ্য জানাগেছে।
২০১২ ইংরেজি সালের মৌজা রেটের সাথে মিল রেখে গত ২২.০১.২০১৬ ইংরেজি ক্ষতিপূরণের টাকা গ্রহণের জন্য ৭ ধারা নোটিশ জারি করা হয়। ওই নোটিশে তৎকালীন মৌজা রেট অনুযায়ী প্রতি একর জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৮১ হাজার ৬০০ টাকা।
জানাগেছে, প্রথম ধাপে ৬ ধারায় জমি অধিগ্রহণের নোটিশ জারির পর ২০১২ সালের মৌজারেট মত কমরেটে জমির মূল্য নির্ধারণ করে ৭ ধারা জারি করে জমির ক্ষতিপূরণের টাকা গ্রহণের কথা বলা হলেও জমির মূল্য কম হওয়ায় ভূমি মালিকরা তা এখনো গ্রহণ করেনি।
ওই এলাকার ৯জন আবেদনকারী গত ১৭ আগস্ট ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনে জানান, ২য় ধাপে গত ১৩.০৬.২০১৬ ইং হোয়ানক পানিরছড়া মৌজায় গ্যাস লাইন স্থাপনে ১১৮.১২০ ও ১৩০ খতিয়ানের ৫একর জমির মালিকদের কাছে পরবর্তীতে আবারো ৬ধারা নোটিশ দিয়ে নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণের কথা বলায় ভূমি মালিকরা আরো বেশী শঙ্কিত হয়ে পড়ে।
যদিও বর্তমান ওই মৌজার প্রতি একর জমির বাজার মূল্য কমপক্ষে এক কোটি টাকা। জানাগেছে, ইতোপূর্বে ৭ ধারা নোটিশে নির্ধারিত মূল্যের সাথে বর্তমান বাজার মূল্যের কোন মিল নেই। পার্শ্ববতী মাতারবাড়ী মৌজার লবণ জমির প্রতি একর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪ লাখ ও ৪৫ লাখ টাকা করে। অথচ হোয়ানক পানিরছড়া মৌজার ভিটে-বাড়ি ও দোকান পাটের জমির মূল্য লবণ জমির চেয়ে অনেক বেশী হওয়া সত্ত্বেও এখানে জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয় অনেক কম। এতে করে জমির মালিকেরা সরকারের অধিগ্রহণ করা জমির প্রকৃত মূল্য না পাওয়ার আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে পড়ে।
একইভাবে গত ৬ জুলাই ভূমি সচিব বরাবর এক আবেদন থেকে জানাগেছে, মহেশখালী পানিরছড়া আনোয়ারা-মহেশখালী গ্যাস সঞ্চালন, মওজুদ ও বাল্ব স্টেশনের জন্য অধিগ্রহণকৃত এল এ মামলা ০১/২০১২-১৩ এর অর্ন্তভূক্ত ১১৮. ১২০ ও ১৩০ নং খতিয়ানের জমির ন্যায্য ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের আবেদন জানানো হয়। আবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, অধিগ্রহণ করা জমির ৭ ধারা নোটিশে ২০১২ সালের মৌজা রেট অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান ২০১৬ সালের বাজার মূল্যের সাথে যার কোন সংগতি নেই।
বর্তমান বাজার মূল্যের সাথে মিল রেখে ন্যায্য ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ও ভূমি সচিব বরাবর পানিরছড়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ মালিকদের আবেদনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সুপারিশ করেছেন মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক। তিনি মনে করেন আবেদনকারীদের দাবি ন্যায্য ও যুক্তি সংগত। তিনি বর্তমান ২০১৬ সালের বাজার মূল্যে ওই জমির মূল্য নির্ধারণ করে ক্ষতিগ্রহস্থ জমির মালিকদের দেয়ার জন্যও সুপারিশ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।