গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের কোর ব্যাংকিং সফটওয়ার নিয়ে জটিলতা তৈরি করেছে ফ্লোরা টেলিকম। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা অগ্রণী ব্যাংকের কোর ব্যাংকিং সফটওয়ার আপডেট না করেই ব্যাংকের একজন ডিজিএম-এর স্বাক্ষর জাল করে সফটওয়ার জালিয়াতির মাধ্যমে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগও রয়েছে। অগ্রণী ব্যাংকের দুইজন আমানতকারী হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করার করলে হাইকোর্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে কোর ব্যাংকিং সফটওয়ার সম্পর্কিত ফ্লোরা টেলিকম লিমিটেডের দুর্নীতি ও বেআইনী কর্মকান্ড তদন্ত এবং অগ্রণী ব্যাংককে তদন্ত করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
রিটকারীদের আইনজীবী ব্যরিস্টার এ বি এম হামিদুল মিসবাহ জানান, সোমবার হাইকোর্ট ফ্লোরা টেলিকম লিঃ কর্তৃক অগ্রণী ব্যাংকের কোর ব্যাংকিং সফটওয়ার আপগ্রেডেশন, রক্ষনাবেক্ষণ ও সেবা প্রদানে দুর্নীতি, মানিং লন্ডারিং এর অভিযোগ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর কর্তৃক তদন্ত কমিটি গঠনপূর্বক তদন্ত আগামী দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা দেন। হাইকোর্ট অগ্রণী ব্যাংককেও অভিযোগগুলো তদন্ত করার জন্য নির্দেশনা দেন। ব্যরিস্টার মিসবাহ আরো বলেন, ব্যাংকের দুইজন আমানতকারী কোর ব্যাংকিং সফটওয়ার নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় হাইকোর্টে দায়ের করা রিট পিটিশনে বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সুরক্ষা নীতি ও গাইডলাইন, ২০১৫ এর ১.২ ও ১০.২ ধারা অনুযায়ী গাইডলাইনটির উদ্দেশ্য লংঘন করে অগ্রণী ব্যাংক ও ফ্লোরা টেলিকম আমানতকারীদের এবং ব্যাংককে মারাত্মক সাইবার ঝুঁকিতে ফেলেছে। অন্যদিকে ফ্লোরা টেলিকম কর্তৃক আইন ভঙ্গ করে কোর ব্যাংকিং সেবা গ্রহনে বাজার মূল্যের চেয়ে তিনগুন মূল্য হাতিয়ে নিলেও অগ্রণী ব্যাংক ফ্লোরা টেলিকমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। রিট পিটিশনে আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে তদন্তপূর্বক আশু ব্যবস্থা নিতে এবং দোষী কোম্পানী ফ্লোরা টেলিকমের সাথে অগ্রণী ব্যাংককে কোন প্রকার ব্যবসা পরিচালনা না করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। রিট পিটিশনে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
গত সোমবার শুনানী শেষে বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীম এর দ্বৈত আদালত উপরোক্ত আদেশ প্রদান করেন। অন্যদিকে, সরকারী তিনটি প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাত এর প্রেক্ষিতে ফ্লোরা টেলিকম লিমিটেডের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্তে নেমেছে। গত ১৮ নভেম্বর তারিখে উপপরিচালক ঋত্বিক সাহা এর স্বাক্ষরিত এক পত্রে দুদুকের সিস্টেম এনালিস্ট ও পরিচালককে অভিযোগ অনুসন্ধান করে বিধি মোতাবেক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে। দুদুকের তদন্ত পত্রে বলা হয়েছে, ফ্লোরা টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা রফিকুল ইসলাম ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের বিরুদ্ধে দরপত্রের শর্ত ভঙ্গ, জাল জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচী (ডিইপিপি-৩) এ নকল কম্পিউটার সরবরাহ করে ১৫০ কোটি টাকা লোপাট, অগ্রণী ব্যাংকের ২০০ কোটি টাকার কাজ নেয়ার পায়তারাসহ টেলিটক এর ৬ কোটি লোপাট এর অভিযোগ আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ফ্লোরা টেলিকম কর্তৃক হাইকোর্টে দায়েরকৃত আরবিট্রেশন পিটিশন গত ১৪ অক্টোবর ২০২০ তারিখে স্ব-উদ্যোগে প্রত্যাহারের আবেদন করলে প্রদত্ত আদেশে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার তার পর্যবেক্ষণে ফ্লোরা টেলিকম কর্তৃক ৭২ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং বিষয়টি তদন্ত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে নির্দেশনা প্রদান করেন। পর্যবেক্ষণে আরো বলা হয়, ফ্লোরা টেলিকম কর্তৃক ব্যাংকের অর্থ বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি অগ্রণী ব্যাংকের নজরদারী করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও ব্যাংক তা পরিপালন করেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।