Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মূর্তি ও ভাস্কর্যের কোনো স্থান ইসলামে নেই

বিভিন্ন ইসলামী দলের আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

ইসলামে মূর্তি ও ভাষ্কর্যের কোন স্থান নেই। কিছু জ্ঞানপাপীরা ভাষ্কার্য ও মূর্তির পক্ষে সাফাই গাইছে। ৯০% মুসলমানের দেশে ভাষ্কর্যের নামে মূর্তি নির্মাণের ষড়যন্ত্র বরদাশ করা হবে না। স্মৃতি ধরে রাখতে ভাষ্কর্য বা মূর্তি নির্মাণ করা ইসলামে হারাম। ইসলামের দৃষ্টিতে কোন প্রাণীর ভাষ্কর্য তৈরি করা হারাম। দেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ধরে রাখতে হলে প্রয়োজনে ভাষ্কর্যের পরিবর্তে তার নামে মসজিদ নির্মাণ করুন। এতে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মা শান্তি পাবে। বিভিন্ন ইসলামী দলের আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি : মঙ্গলবার রাতে পুরানা পল্টনস্থ বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলামে মূর্তি ও ভাষ্কর্যের কোন স্থান নেই। কিছু জ্ঞানপাপীরা ভাষ্কার্য ও মূর্তির পক্ষে সাফাই গাইছে। ৯০% মুসলমানের দেশে ভাষ্কর্যের নামে মূর্তি নির্মাণের ষড়যন্ত্র বরদাশ করা হবে না। কারো স্মৃতি ধরে রাখতে ভাষ্কর্য বা মূর্তি নির্মাণ করা ইসলামে হারাম। যারা ভাষ্কর্য বা মূর্তির পক্ষে সাফাই গাইছেন অবিলম্বে তাদেরকে তাওবাহ করে ফিরে আসতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি ভাষ্কর্য না বানিয়ে তার নামে কোরআনের মিনার নির্মাণ করে তার কবরে ঈসালে সাওয়াবের ব্যবস্থা করুন। বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শাইখুল ইসলাম হযরত মাওলানা আতহার আলী (রহ.) এর জীবনী আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। মাওলানা আতহার আলী (রহ.) মিলনায়তনে নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আব্দুর রশীদ মজুমদারের সভাপতিত্বে এবং দলের মহাসচিব মুফতি মাওলানা আব্দুল কাইয়ূমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক এহতেশাম সারওয়ার, মুফতি জিয়াউল হক মজুমদার, হাফেজ মাওলানা আব্দুল বাতেন, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা শেখ লোকমান হোসেন, সহকারী মহাসচিব রবিউল আলম মজুমদার, মনির হোসেন, মো. মনিরুজ্জামান, ইসলামী ছাত্রসমাজের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ নুরুজ্জামান ও মিরুজ্জামান খান।

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন : বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির এবং দলের ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পৃথিবীতে আগমন হয়েছিল মূর্তিকে ধ্বংস করার জন্য। রাসুলুল্লাহ(সা.) কাবা ঘরের পাশে থাকা সব মূর্তি ধ্বংস বা নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, কারো স্মৃতি ধরে রাখতে ভাস্কর্য বা মূর্তি নির্মাণ করা ইসলামে হারাম। ভাস্কর্য এবং মূর্তি এক ও অভিন্ন, এর মাঝে কোন পার্থক্য নেই। মানুষ এটার পূজা করুক, আর না করুক ইসলামের দৃষ্টিতে কোন প্রাণীর ভাস্কর্য তৈরি করা হারাম।

ঢাকার ডেমরায় অনুষ্ঠিত খেলাফত আন্দোলনের এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর আলহাজ আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, মো. হাসানুজ্জামান, মাওলানা সানাউল্লাহ ও মাওলানা বেলাল হোসাইন।

মাওলানা হামিদী আরো বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য মূর্তি নয়, স্থানে স্থানে মসজিদ নির্মাণ করুন। মসজিদ আল্লাহর ঘর। মানুষ সেখানে ইবাদত বন্দেগি জিকির এবং কুরআন তেলাওয়াত করে দোয়া করবেন। মহান আল্লাহর ইবাদত করার কারণে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে, ছাওয়াব পাবেন। আর ভাস্কর্যের নামে মূর্তি হলে বঙ্গবন্ধুর কবরে আজাব হবে। বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত হিতাকাঙ্খীরা কখনো ভাস্কর্য-মূর্তিকে সমর্থন করতে পারে না। এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা কাফির-মুশরিকদের মূর্তি সংস্কৃতি বরদাশ্ত করবে না।



 

Show all comments
  • চৌধুরী হারুন আর রশিদ ২৬ নভেম্বর, ২০২০, ২:৩৮ এএম says : 0
    আল্লাহ আমাদের সবাইকে দ্বীনের সঠিক বুঝ প্রদান করো
    Total Reply(0) Reply
  • আজিজ ২৬ নভেম্বর, ২০২০, ১২:১০ পিএম says : 0
    দেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ধরে রাখতে হলে প্রয়োজনে ভাষ্কর্যের পরিবর্তে তার নামে মসজিদ নির্মাণ করুন।
    Total Reply(0) Reply
  • Nahar Foysal ২৬ নভেম্বর, ২০২০, ১২:১১ পিএম says : 0
    ভাস্কার্য হউক আর যাই হোক সেটা যদি মানুষের আকৃতির হয় তবে সেটাই মূর্তি।এটার বিরুদ্ধে কথা বলা প্রত্যাক মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব।
    Total Reply(0) Reply
  • Merajul Islam ২৬ নভেম্বর, ২০২০, ১২:১২ পিএম says : 0
    Right
    Total Reply(0) Reply
  • Bazlur Rashid ২৬ নভেম্বর, ২০২০, ১২:২১ পিএম says : 0
    বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত হিতাকাঙ্খীরা কখনো ভাস্কর্য-মূর্তিকে সমর্থন করতে পারে না।
    Total Reply(0) Reply
  • md salam ২৯ নভেম্বর, ২০২০, ৯:২৫ এএম says : 0
    বাংলাদেশে আরো অনেক ভাস্কর্য আছে, সে বিষয় কি করা হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • md salam ২৯ নভেম্বর, ২০২০, ৯:২৫ এএম says : 0
    বাংলাদেশে আরো অনেক ভাস্কর্য আছে, সে বিষয় কি করা হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Belayet ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ৮:৩২ পিএম says : 0
    দেশ বিদেশের খেতনামা ইসলামিক ব্যক্তিত্ত্বের সাথে আলোচনা সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মূর্তি

২০ ডিসেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ