পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে জনস্বার্থে অথবা প্রশাসনিক কারণে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে তার অধীনস্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে বদলি করা অনিবার্য হয়ে পড়ে। কিন্তু অধিকাংশ বদলির আদেশই উচ্চ আদালতের আদেশে আটকে যায়। বিশেষ করে ঢাকা শহর থেকে স্বাস্থ্য বিভাগের কাউকে বদলি করলেই উচ্চ আদালতে মামলা করে বদলির আদেশ স্থগিত করে। এর কারণ অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
অভিযোগ রয়েছে, ‘ঘরের শত্রু বিভীষণের’ কারণেই রাষ্ট্রপক্ষ এসব মামলায় বারবার হেরে যাচ্ছে। মূলতঃ স্বাস্থ্য অধিদফতরের আইন শাখার প্রধান সহকারী মো. মনোয়ার হোসেন বাদী পক্ষের নিকট থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে আত্মঘাতি ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন। অভিযোগ মতে, বিবাদী হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে মামলাগুলো লড়ার নির্দেশনা দিলেও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকির অভাব বা গাফিলতির সুযোগে মনোয়ার হোসেন বাদী পক্ষের নিকট থেকে সময়মতো মামলার জবাব কিংবা প্রয়োজনীয় নথি-পত্র আদালতে দাখিল করেন না।
সম্প্রতি রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলিজস্ট রেডিওগ্রাফী মো. হুমায়ুন কবির, মো. আব্দুল বারেক এবং মো. হেলালুল মোজাদ্দেদকে বদলি নিয়ে সৃষ্ট আইনি ব্যবস্থা মোকাবেলায় সর্ষেতে ভূত থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। পঙ্গু হাসপাতালের এ তিন কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এরা একটি সিন্ডিকেট করে রোগীদের নিকট থেকে এক্স-রে ফি বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, সিটি স্ক্যান, এমআরআই-এ ডাই/কন্ট্রাস্ট না লাগলেও ডাই/কন্ট্রাস্ট বাবদ রোগীদের নিকট থেকে মানি রিসিট ছাড়া অতিরিক্ত অর্থ আদায়, ফিল্ম বাণিজ্য ইত্যাদি অপকর্মে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি ছিল ওপেন সিক্রেট। যা নিয়ে দৈনিক ইনকিলাবে একাধিক প্রতিবেদনের পর টনক নড়ে সংশ্লিষ্টদের। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনায় জাতীয় অর্থোপেডিক্স হাসপাতাল ও পুর্নবাসন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠন করে।
তদন্তে উল্লেখিত তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ মিলে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় পঙ্গু হাসপাতালের তিন কর্মচারীকে জরুরি ভিত্তিতে অন্যত্র বদলি পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে নির্দেশ দেয়। সে প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর এ তিনজনকে ৬ অক্টোবর বদলি করে।
পরবর্তীতে অভিযুক্ত তিন কর্মচারী বদলির আদেশ স্থগিত চেয়ে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল-১ মামলা নম্বর- ২৪৮/২০২০ ইং। প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল-১ বদলির আদেশ সাময়িক ভাবে স্থগিত করে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে বদলির কারণ জানানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে নির্ধারিত তারিখে কারণ দর্শানোর জবাব আদালতে পাঠানো হবে কি-না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। অভিযোগ মিলেছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের আইন শাখার মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে অভিযুক্ত তিন কর্মচারীর গোপন সমঝোতায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদালতে জবাব না পাঠিয়ে সময়ের আবেদন করা হতে পারে। তাছাড়া পরবর্তীতে বদলি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কাগজ আদালতে সময়মতো উপস্থাপিত না করার অলিখিত চুক্তি হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, মনোয়ার হোসেন এভাবেই স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়।
এ প্রসঙ্গে অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. হাসান ইমামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।