পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেছেন, শিগগিরই কমানো হবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ দেয়ার বয়সসীমা। কয়েক দিনের মধ্যেই বয়সসীমা ৬০ থেকে ৫০-এ নামিয়ে আনা হবে। এসএমএস ছাড়াও ষাট বছরের কম বয়সী যাদের কো-মরবিড (মৃত্যুঝুঁকি আছে এমন রোগে আক্রান্ত) রোগীরা আগের কেন্দ্রে টিকা নিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে তাদের রোগের প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ থাকতে হবে।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরে কনফারেন্স রুমে হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রফেসর ডা. খুরশীদ আলম বলেন, যাদের কো মরবিডিটি আছে, স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে আছেন, তারা বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে বয়স কোনো বাধা হবে না। একই সঙ্গে বুস্টার ডোজের বয়সসীমাও কমানো হবে। শিগগিরই স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে ঘোষণা করবেন। তিনি বলেন, কেরোনাভাইরাস আক্রান্তদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি, তাদের বুস্টার ডোজ নেয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে টিকা কার্ড নিয়ে টিকা কেন্দ্রে যেতে হবে। তার শারীরিক অসুস্থতার কথা জানাতে হবে। টিকার নিবন্ধন করার সময় সব তথ্য নেয়া হয়েছে। এটা দেখেই নিশ্চিত হওয়া যাবে তার কো মরবিডিটি আছে কি-না। আর কেউ যদি নিবন্ধনের সময় তথ্য না দিয়ে থাকে, তাহলে তাকে প্রমান দিতে হবে।
ডা. খুরশীদ আলম বলেন, অনেক ধরনের কো-মরবিডিটি আছে। আমরা চিন্তা করছি, যেসব কো-মরবিড রোগী বেশি ঝুঁকিপূর্ণ যেমন- ক্যানসারে আক্রান্ত, অ্যান্টিক্যানসার ড্রাগ গ্রহীতা, রেডিয়েশন থেরাপি পেয়েছে, কেমোথেরাপি নিয়েছেন, দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া হবে।
ওমিক্রন প্রসঙ্গে প্রফেসর ডা. খুরশীদ আলম বলেন, ওমিক্রন নিয়ে সারা দুনিয়াতে ভীতি রয়েছে। আমরাও বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছি। পূর্ব অভিজ্ঞতায় বলা যায়, আগামী মার্চ-এপ্রিল থেকে সংক্রমণ আবারো বাড়তে পারে। বিগত দুটি ঢেউ আমরা মোকাবিলা করেছি। একই সঙ্গে আমরা করোনা মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জন করেছি। আমাদের হাসপাতালগুলো প্রস্তুত আছে, ৪০টি হাসপাতালে অক্সিজেন জেনারেটর বসানোর কাজ চলছে। এটা সম্পন্ন হলে বড় সাপোর্ট হবে। কোভিড রোগীদের অক্সিজেনের হাহাকার আমরা দেখেছি। দেশের সব জেলা হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপনও শেষের দিকে। এছাড়া দেশের সব জলো হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউ (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) এবং ডায়ালাইসিস মেশিন স্থাপনও প্রক্রিয়াধীন।
তিনি বলেন, দেশে গত ২৮ ডিসেম্ব^র করোনা প্রতিরোধে বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে ৬০ বছরের বেশি বয়সী এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় সম্মুখসারির ব্যক্তিরা বুস্টার ডোজ পাচ্ছেন। বুস্টার ডোজ পাওয়ার জন্য করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার ছয় মাস পূর্ণ হওয়ায় বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এছাড়া অনেকেই এখনো রেজিস্ট্রেশন করেও টিকা পাননি এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, টিকা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অপেক্ষমানদের তালিকা বড় হচ্ছে। অনেকে দোকান বা অন্য মোবাইল ফোন থেকে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। তাদের এসএমএস পাঠানো হলেও তারা রেসপন্স করছেন না। ফলে তালিকা বড় হচ্ছে। আবার অনেকক্ষেত্রে সার্ভারের সমস্যায় এসএমএস পাঠানো সম্ভব হয়নি বলে স্বীকার করেন তিনি।
প্রবাসীদের অনেকেই দেশের বাইরে ২ ডোজ টিকা নিয়েছেন। দেশে এসে তারা বুস্টার ডোজ নিতে চাইলে করণীয় কী প্রসঙ্গে প্রফেসর ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, আমরা এখন যে প্রযুক্তিতে কাজ করছি সেখানে এই অপশনটি রাখা হয়নি। ফলে তাকে আমরা টিকার প্রথম ডোজ দেখিয়ে ৩য় টিকা দিয়ে দিতে পারব। পরবর্তীতে প্রযুক্তিতে তা সংযুক্ত করা হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে, গত বছরের ৮ ফেব্রæয়ারি সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর রোবাবর পর্যন্ত ৭ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি মানুষ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৫ কোটি ২৮ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ। এছাড়া গত ২৮ ডিসেম্বর চালু হওয়ার পর এ পর্যন্ত বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪০ জন। এ সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) প্রফেসর ডা. শামিউল ইসলাম, হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।