নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস আতঙ্কে বিশ্বব্যাপী যেখানে তটস্থ, সেখানে এর ঠিক উল্টো চিত্র বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশনে। তারা করোনাকে পাত্তাই দিচ্ছেনা! বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেখানে করোনা রোগীর হার দ্বিতীয়বারের মতো বাড়ছে, সেখানে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষা ছাড়াই ৫০০ কিশোর-কিশোরীকে নিয়ে আয়োজন করতে যাচ্ছে জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ছেঁড়া-ফাটা ট্র্যাকেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে শুক্রবার শুরু হবে দু’দিন ব্যাপী এ প্রতিযোগিতা। শনিবার শেষ হবে জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিক্সের ৩৬তম আসরের খেলা। আসরে ৬৪ জেলা, ৮ বিভাগ, শিক্ষাবোর্ডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫০০ কিশোর-কিশোরী অংশ নেবেন। তাদের সঙ্গে থাকবেন ১০০ কর্মকর্তা। প্রতিযোগিতায় খেলা হবে চার গ্রুপে ৪১ ইভেন্টে। পৃষ্টপোষক ছাড়াই এবার ট্র্যাকে গড়াচ্ছে জাতীয় জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ। কোনো পৃষ্ঠপোষক না পাওয়ায় ফেডারেশন নিজস্ব অর্থায়নেই প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে যাচ্ছে।
শুরুতে এ প্রতিযোগিতা বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা থাকলেও নিজেদের অর্থে সেখানে ফ্লাডলাইট ব্যবহার করতে হবে বলে হঠাৎ করেই ভেন্যু পরিবর্তন করেছে ফেডারেশন। তাই এখন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ছেঁড়া ট্র্যাকে চলছে জোড়াতালি দেয়ার কাজ। তারপরও ঝুঁকিটা থাকছেই কচিপ্রাণ জুনিয়র অ্যাথলেটদের। কারণ এখানকার ট্র্যাকের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত। নানা সময়ে জোড়াতালি দেয়ার কারণে ট্র্যাকের প্রায় জায়গা অসমতল। ফলে দৌঁড়াতে গিয়ে অ্যাথলেটরা দূর্ঘটানার কবলে পড়তে পারেন। তারপরও অদৃশ্য কারণে ঝুঁকি নিচ্ছে ফেডারেশন।
প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখে বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু বলেন, ‘প্রতি অ্যাথলেটের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে ৩ হাজার করে টাকা লাগবে। যে কারণে দলগুলোকে আমরা চাপ দেইনি। যদি দিতাম তাহলে হয়তো অনেক দল আসতো না। অ্যাথলেটদের করোনা পরীক্ষা করা না হলেও সরকারের ও ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্সের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানা হবে প্রতিযোগিতায়। অ্যাথলেট, কোচ, ম্যানেজার ও কর্মকর্তাসহ সবাইকে মাস্ক পড়তে হবে ভেন্যুতে। স্টেডিয়ামে প্রবেশের সময় সবার তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হবে। কারো মাস্ক না থাকলে আমরা সরবরাহ করব। হাত ধুতে হবে, হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। আমরা দর্শকদেরও আমন্ত্রণ জানাচ্ছি না। এবার স্টেডিয়ামের বাইরে মাইকও থাকবে না।’ হঠাৎ ভেন্যু পরিবর্তন এবং অনুপোযোগী ট্র্যাক নিয়ে মন্টু আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়াম ব্যবহার করতে হলে অনেক নিয়ম-কানুন মানতে হবে। তালিকার বাইরে কাউকে স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। ফ্লাডলাইট ব্যবহারের জন্য ২০ লাখ টাকা গুনতে হবে আমাদের। তাছাড়া অ্যাথলেটদের আবাসন ভেন্যুর কাছাকাছি থাকতে হবে। যে কারণে আমরা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামকেই বেছে নিয়েছি।’ তিনি যোগ করেন, জুনিয়র প্রতিযোগিতা থেকে বাছাইকৃত সম্ভাবনাময় অ্যাথলেটদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের আওতায় আনবো আমরা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।