Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মলফুজাতে গাউসুল আযমের আলোকে

নবীজি সা. আমাদের ভালবাসা আমাদের ঈমান

মুহাম্মদ ইমদাদুল হক ফয়েজী | প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

নবীজি হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা.) আমাদের একান্ত আপনজন। তিনি তাঁর জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত মানব ও জিন জাতির হেদায়াত ও কল্যাণ এবং বিশ্ববাসীর সুখ ও শান্তির জন্য উৎসর্গ করেছেন। দুনিয়াবাসীর হেদায়াত ও সফলতার জন্য তিনি রেখে গেছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ পথনির্দেশক, সর্বশেষ মহাগ্রন্থ আল কোরআন এবং তাঁর সুন্নত ও জীবনাদর্শ। তিনি শুধু নবী বা রাসুল ছিলেন না বরং; তাঁর মহান সত্ত¡ায় সমূহ উত্তম স্বভাব, গুণ, বৈশিষ্ট্য ও কৃতিত্বের সম্মিলন ছিল। তিনি ছিলেন সকল প্রকার পাপ-পঙ্কিলতামুক্ত সর্বোত্তম মানুষ; মহাপুরুষ, পৃথিবীর ইতিহাসে তাঁর কোনও জুড়ি নেই; তিনি অদ্বিতীয় মহামানব।

পৃথিবী পূনঃনির্মাণের নিপুন কারিগর: অন্ধকারাচ্ছন্ন, পাপ-পঙ্কিলতায় অপবিত্র, সামগ্রিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্গন্ধময় পৃথিবীতে সত্য ও হেদায়াতের আলো প্রজ্বলিত করে- সুন্দর, পবিত্ররুপে পৃথিবী পূনঃনির্মাণ, সর্বোত্তম জাতি ও বিশ্ব গড়ার নিপুণ কারিগর মনোনিত করে আল্লাহ তায়ালা মহানবীকে (সা.) সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রেসালত প্রদান করেন। তিনি তাঁর মহান দায়িত্ব পালনকালে সীমাহীন জুলুম-অত্যাচারে জর্জরিত হয়েছেন। জন্মভূমি ত্যাগ করেও নিরাপদ থাকতে পারেননি; নির্বাসিত হয়েছেন, রক্তাক্ত হয়েছেন, নিপীড়িত হয়েছেন। তবু কখনও ক্ষান্ত কিংবা ক্লান্ত হননি; পথভুলা মানুষদের সঠিক পথের দিশা দিতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। অত্যাচারী-পাপিষ্ঠদের ধ্বংস করার সুযোগ পেয়েও অভিশাপ দেননি বরং; মহান রবের দরবারে দুয়া করেছেন, তারা যেন হেদায়াতের পরশপাথরে প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠে, মহান আল্লাহকে চেনে এবং শুধুমাত্র তাঁরই ইবাদত-দাসত্ব করে। সকল মানব ও জিনের জন্য তাঁর অন্তর সর্বদা ব্যাকুল ছিল; যেন তারা একত্ববাদের রৌশনিতে, পুণ্যকাজের ভূষণে অলংকৃত হয়ে ইহ-পরকালীন কল্যাণ ও সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়।

সৃষ্টিজগতের জন্য আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ: নবী করিম (সা.) জীবনের কোনো একটি ক্ষণও তাঁর ব্যক্তি স্বার্থের জন্য ব্যয় করেননি, এমনকি ঘুণাক্ষরে এ চিন্তাও করেননি। তাঁর আগমন ছিল পৃথিবীবাসীর জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার, সর্বোচ্চ প্রাপ্তি এবং অশেষ অনুগ্রহ স্বরুপ। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, আমি আপনাকে সৃষ্টিকুলের জন্য শুধু অনুগ্রহ হিসেবেই পাঠিয়েছি।’ (সুরা আম্বিয়া : ১০৭) আল্লাহ তায়ালা আরও ইরশাদ করেন, হে নবী, নিশ্চয় আমি আপনাকে সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরুপে প্রেরণ করেছি।’ (সুরা আহযাব : ৪৫)

সর্বোত্তম আদর্শ ও ত্রাণকর্তা: মানবহত্যা, রাহাজানি, নৈরাজ্য, নারী-শিশু নির্যাতন, ব্যভিচার, জুলুম-অত্যাচার, কুসংস্কার, অশ্লীলতা এককথায় সকল পাপাচার, কদাচার আর ঘৃণ্য কাজকর্মে যখন পৃথিবী ছিল ধ্বংসের একেবারেই দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখন জগতের মহান অধিপতি আল্লাহ তায়ালা বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত, মানবসভ্যতার অগ্রদূত, সর্বকালের সর্বোত্তম পথপ্রদর্শক হিসেবে হেদায়াতের ঐশী আলো দিয়ে দুনিয়া ও দুনিয়াবাসীর জন্য ত্রাণকর্তা হিসেবে আমাদের প্রাণপ্রিয় নবীজিকে (সা.) প্রেরণ করেন। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- অবশ্যই তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ...।’ (সুরা আহযাব : ২১)

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব: সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব মুহাম্মদ (সা.) এর আগমনে পৃথিবী থেকে ধীরেধীরে যাবতীয় অন্ধকার, অনাচার, কলুষতা, পাপাচার বিদূরিত হতে শুর হয়। নতুন সঞ্জীবনী আলোর পরশ পেয়ে একটা সময় এ বসুন্ধরা সর্বশ্রেষ্ঠ আলোকচ্ছটায় আলোকিত হয়। পৃথিবীর নিকৃষ্ট মানুষেরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের পবিত্র ছোঁয়ায় উৎকৃষ্ট মানুষের খেতাবে ভূষিত হন। এমনকি কেয়ামত পর্যন্ত পরবর্তী প্রজন্মের জন্য তাঁদের ঈমানকে আদর্শ মাপকাঠির স্বীকৃতি দেন মহান রব। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, আর যখন তাদেরকে (মুনাফেকগণ) বলা হয় তোমরা ঈমান আনো, যেমন অন্যান্য লোকেরা [সাহাবায়ে কেরাম (রা.)] ঈমান এনেছেন...।’ (সুরা বাক্বারাহ : ১৩)

ওহির বাস্তব প্রতিচ্ছবি: নবীজি (সা.) এর চরিত্র মাধুর্যতা ও জীবনাচার এতোটা আকর্ষণীয় ও নৈপুণ্য মন্ডিত ছিল যে, নবুওত লাভের আগেই আরবের লোকেরা তাঁকে আল আমিন (বিশ্বস্ত) উপাধিতে ভূষিত করে। তাঁর নবুওত পরবর্তী জীবনের প্রতিটি কথা-কাজ, আদেশ-নিষেধ, ইঙ্গিত-সমর্থন, বিশ্রাম-অভিযান, আহবান-নির্দেশনা ইত্যাদি সবই ছিল প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ওহির আলোকে তথা আল্লাহ তায়ালা নির্দেশিত। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- তিনি মনগড়া কথা বলেন না। তা তো কেবল ওহি, যা তার প্রতি ওহি রূপে প্রেরিত হয়।’ (সুরা নাজম : ৩,৪) উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেন, তাঁর চরিত্র ছিল গোটা কোরআন।›

মানবতা ও অসাম্প্রদায়িকতার পথিকৃৎ: নবীজি (সা.) ছিলেন সাম্য-মৈত্রী, সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব-মমতা, প্রেম-ভালবাসার মূর্ত প্রতীক। সকল প্রকার বিভাজন, শ্রেণি-বৈষম্য, সাম্প্রদায়িকতা, বংশীয় কৌলীন্য, বর্ণবাদ, স্বজনপ্রীতি, দাসত্ব-পরাধীনতা, ক্ষমতার দাপট, একনায়কতন্ত্র, জুলুম-অত্যাচার, শোষণ-অবিচার তথা যাবতীয় অনাচারের প্রাচীর ভেঙ্গে মানবতা আর মনুষ্যত্বের আলোয় উদ্ভাসিত নতুন পৃথিবী নির্মাণ ও সর্বোত্তম জাতি গঠন করাই ছিল তাঁর মহান দায়িত্ব। বিদায় হজের অমূল্য ভাষণে মহানবী (সা.) আল্লাহর বাণী স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, হে লোক সকল, দআল্লাহ তায়ালা বলেন, হে মানবজাতি, আমি তোমাদিগকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদের বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিত হতে পারো। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সেই সর্বাধিক সম্মানিত, যে সর্বাধিক পরহেজগার।’’ (সূরা হুজুরাত: ১৩) সুতরাং কোনো অনারবের ওপর কোনো আরবের; কোনো আরবের ওপর কোনো অনারবের, এমনিভাবে শ্বেতাঙ্গের ওপর কৃষ্ণাঙ্গের এবং কৃষ্ণাঙ্গের ওপর শ্বেতাঙ্গের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই; শ্রেষ্ঠত্ব কেবল তাকওয়ার ভিত্তিতে। সব মানুষ আদম আ. এর সন্তান; আর আদম আ. মাটি দ্বারা সৃষ্ট। হে সভ্যমন্ডলী, এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই, সব মুসলমান পরস্পর ভাই ভাই; তোমাদের অধীনস্থদের (দাস-দাসী) প্রতি খেয়াল রাখবে; তোমরা যা খাবে, তাদের তা খাওয়াবে, তোমরা যা পরিধান করবে, তাদেরও তা পরাবে। সাবধান! ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করবে না; কেননা তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা ধর্মীয় বিষয়ে বাড়াবাড়ি করার কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে।’ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কালজয়ী এ বক্তব্য ইতিহাসের পাতায় সাম্য-মানবতার সর্বোত্তম দর্শন ও থিওরি হিসেবে প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত এবং অনুস্মরণীয়। সন্দেহ নেই, পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার পূর্বক্ষণ পর্যন্ত এটি কৃতিত্বের সর্বোচ্চ চূড়ায় দেদীপ্যমান থাকবে এবং প্রকৃত মানবতাবাদীদের প্রাণস্পন্দন ও প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করবে।

উত্তম যুগের রচয়িতা: রাসুলুল্লাহ (সা.) এর অনুপম সান্নিধ্য ও আদর্শ আর ঐশী আলোর দ্বীপ্তিময় জ্যোতিতে সাহাবায়ে কেরাম (রা.) হয়ে ওঠেন পৃথিবীর সোনার মানুষ, শ্রেষ্ঠ মানুষ। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তাঁরাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট।’ (সুরা বায়্যিনাহ : ৮) অনুরুপভাবে ইতিহাসের সবচে’ কালো অধ্যায়- আইয়ামে জাহিলিয়াত’ বা বর্বরতার যুগ’ পরিবর্তিত হয় শ্রেষ্ঠ যুগে। স্বীকৃতি পায় সোনালী যুগ হিসেবে। রাসুল (সা.) বলেছেন, উত্তম যুগ হচ্ছে আমার যুগ, অতঃপর তাবেয়িগণের যুগ...।’ (বুখারি, মুসলিম)

মহান চরিত্রের ধারক: আল্লাহভুলা, আত্মবিস্মৃত জাতিকে জীবনের সঠিক দিশা দেয়াই ছিল তাঁর মিশন। এ মহান লক্ষ্যের ওপর তিনি তাঁর জীবনের প্রতিটি ক্ষণ-অনুক্ষণ বিশ্ববাসীর জন্য ব্যয় করেছেন। রাসুল (সা.) বলেন, আমি উত্তম চরিত্রের পরিপূর্ণতা সাধনের জন্যই প্রেরিত হয়েছি।› (মিশকাত)। তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শ ও জীবনচরিত থেকে বিশ্ববাসী কত কিছুই যে অর্জন করছে- তার কোন ইয়ত্তা নেই। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই তুমি সুমহান চরিত্রে অধিষ্ঠিত।› (সুরা ক্বালাম : ৪)

সর্বশ্রেষ্ট মর্যাদার অধিকারী: প্রিয় নবীজি (সা.) আল্লাহ তায়ালা, সকল নবী-রাসুল, মুসলমান এবং বিশ্ববাসীর কাছে অনন্য মর্যাদার অধিকারী এবং বিশেষভাবে সম্মানিত। আল্লাহ তায়ালা বলেন, দআর আমি (আপনার মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য) আপনার স্মরণকে সমুন্নত করেছি।› (সূরা ইনশিরাহ : ৪)

যদি মহানবী (সা.) এর আগমন না হতো, তাহলে হয়তো পৃথিবী অন্ধকার থেকে বের হতে পারত না, মনুষ্যত্বহীনতা আর সা¤প্রদায়িকতার লেলিহান আগুনে জ্বলেপুড়ে অঙ্গার হয়ে যেত, ধ্বংসাবশেষ ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকত না। নবীজি (সা.) এর সময় থেকে আজ পর্যন্ত এ মহাসত্য অসংখ্য অবিশ্বাসীও নির্দ্বিধায়, অনায়াসে স্বীকার করেছেন। তারা তাঁকে জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, মানবতার মুক্তির স্বর্গীয় দূত, সর্বোৎকৃষ্ট নেতা ও রাষ্ট্রনায়ক এবং ব্যক্তি, জাতি ও রাষ্ট্র গঠনের সর্বোৎকৃষ্ট কারিগর আখ্যায়িত করতে কৃপণতা করেননি। আমাদের ভালবাসা ও ঈমান: প্রিয় নবীজি (সা.) আমাদের কাছে আমাদের প্রাণের চেয়েও প্রিয়। তাঁর প্রতি আমাদের হৃদয়ের সবটুকু ভালবাসা, অবারিত ভালবাসা। তিনি প্রতিটি মোমিনের কলিজার টুকরো, অকৃত্রিম ভালবাসার নয়নমণি। তিনি অতুলনীয়, তিনি নিষ্কলুষ চরিত্র ও সর্বোত্তম আদর্শের অধিকারী, তিনি সকল নবী-রাসুলের নেতা। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর মানহানি, তাঁর প্রতি বিদ্বেষ ও কটুক্তি যে কোনও মোমিন হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটায়। এটি আমাদের ঈমানের দাবীও বটে। রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মোমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার কাছে তার পিতা, সন্তান এবং অন্যান্য লোকের তুলনায় অধিক প্রিয় হব।’ (বুখারি, মুসলিম) যারা রাসুলকে (সা.) নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে, তাঁর মহান চরিত্রে কালিমা লেপন করে, তাঁকে কটুক্তি করে- আল্লাহ তায়ালা তাদের ভয়াবহ পরিণতির কথা বর্ণনা করে বলেন, যারা আল্লাহর রাসুলকে কষ্ট দেয় তাদের জন্য রয়েছে যাতনাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা তাওবা : ৬১) আল্লাহ আরও বলেন, নিশ্চয় আপনার শত্রু লেজকাটা, নির্বংশ।’ (সুরা কাওসার :৩)
লেখক: সহকারী শিক্ষক, শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা, সিলেট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গাউসুল-আযম
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ