Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাংকসগিভিং ডে পালন ও ট্রাম্পের টার্কি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০২০, ৬:৪৮ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারীর মধ্যেই থ্যাংকসগিভিং ডে পালিত হলো। কিন্তু করোনা উপেক্ষা করে অনেক মানুষ সড়ক ও আকাশ পথে বাড়ি ফিরেছেন। হোয়াইট হাউজেও ছিল ভিন্ন আমেজ। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প থ্যাংকসগিভিং পালন করেছেন। এই দিবস উপলক্ষ্যে ঐতিহ্যবাহী প্রথা ‘টার্কি পার্ডনিং’ অনুষ্ঠানের আয়োজিত হয়েছিল হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে।

নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় নিশ্চিতের পর দ্বিতীয়বারের মত জনসমক্ষে এলেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে এই অনুষ্ঠানে কর্ন এবং কব নামের দুই টার্কির মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে জীবন দানের ঘোষণা দেন তিনি। হোয়াইট হাউজে ক্ষমা প্রদান অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের পরিবারের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। সপরিবারে ইভাঙ্কা ট্রাম্প উপস্থিত ছিলেন সেখানে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাংবাদিকরা তাকে অনেক প্রশ্ন করলেও তার জবাব দেননি তিনি। জানা গেছে, আইওয়া থেকে এই দুটি টার্কিকে থ্যাংকস গিভিং এর জন্য আনা হয়েছিল। ন্যাশনাল টার্কি ফেডারেশনের চেয়ারম্যান রন কার্ডেলের খামারে বড় হয়েছে তারা। আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বাকি জীবনটা কাটাবে এই দুই টার্কি। কর্নের ওজন ১৯ কেজি আর কবের ওজন সাড়ে ১৮ কেজি। এর আগে টুইটারে একটি পোলের মাধ্যমে জানতে চাওয়া হয়েছিল কর্ন আর তাই ভাই কব এই দুইজনের মধ্যে কাকে জীবনভিক্ষা দেয়া হবে। এই পোলে জয়ী হয় কর্ন। তার মানে এই নয় যে কব থ্যাংকসগিভিং এর খাবারে পরিণত হয়েছে। আগামী মাস থেকে কর্ন এবং কব যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ভেটেরেনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শিত হবে।

কর্ন আর কব বর্তমানে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির বিলাসবহুল হোটেল উইলার্ড ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে বাস করছে। এই হোটেলে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও তারকারা আতিথ্য গ্রহণ করে থাকেন। ১৯৪৭ সাল থেকে ক্ষমার জন্য নির্বাচিত টার্কিরা এই হোটেলে থাকে। ক্ষমা প্রদান অনুষ্ঠানের আগের দিন এই হোটেলে সাধারণ মানুষের দেখার জন্য তাদের আনা হয়। তারকা বনে যাওয়া এই টার্কিদের নিজের কক্ষ থাকে হোটেলে। ১৮৭০ সাল থেকে থ্যাংকস গিভিং দিবসে টার্কি খামারিদের প্রেসিডেন্টকে টার্কি উপহার দেয়ার প্রথা চলে আসছে। ১৯২৩ সাল থেকে ১৯৪০ পর্যন্ত বন্ধ থাকার পর ৪৭ এ তা আবার শুরু হয় এবং এর সাথে যোগ হয় জীবনভিক্ষা অনুষ্ঠান। ১৯৮৯ সালে সিনিয়র বুশ জীবনভিক্ষার এই প্রথা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম শুরু করেন।

করোনাকালে বিমানপথে যাত্রায় অনেক ঝুঁকি। আর এই ঝুঁকি নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাংকসগিভিং এ বাড়ি গিয়েছিলেন অনেকে। তবে বিমানবন্দরে সবার মুখেই ছিলো মাস্ক বা ফেস শিল্ড। ছুটি উপলক্ষে বিমানবন্দরে ছিলো ভিড়। ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। সূত্র: ডয়চে ভেলে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ