পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের গ্রামীণ জনপদে এখন নবান্ন উৎসবের আমেজ। ধান আর নানা রকম শাক-সবজি, মাছ এমনকি ফুল আবাদেও কৃষকের চোখে মুখে হাসির ঝিলিক। গ্রামীণ কৃষি অর্থনীতি যেন চাঙ্গাভাব ফিরে এসেছে। বন্যা ভারী বর্ষণ আর নানা প্রতিক‚লতার মধ্যেও ফলন নিয়ে যে শঙ্কা ছিল ধান কাটার পর তা দূর হয়েছে। আবার ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরাও সন্তুষ্ট। তাছাড়া শীতকালীন সবজির দামও বেশ ভালো। ফলে গ্রামীণ কৃষি অর্থনীতি মিলেছে প্রাণের সঞ্চার।
গ্রামীণ জনপদে সর্বত্রই উৎসবের আমেজ। নতুন ধান কাটার পাশাপাশি শীতকালীন ফসলে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। বাড়ির আঙ্গিনাতেও শোভা পাচ্ছে শিম লাউয়ের মাচা। এদিকে, পানি নামতে শুরু করায় ধরা পড়ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। আমাদের ব্যুরো প্রধান ও স্টাফ রিপোর্টারদের পাঠানো প্রতিবেদনে এমন চিত্রই তুলে ধরা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান শফিউল আলম ও রফিকুল ইসলাম সেলিম জানান, চট্টগ্রাম অঞ্চলে কৃষি অর্থনীতির সব সূচক এখন ঊর্ধ্বমুখী। প্রকৃতি সদয় থাকায় প্রধান ফসল আমনসহ রবি, ফল-ফসল শস্যাদির আবাদ ও ফলন বেড়েই চলেছে। কৃষি বিভাগের নানা প্রণোদনা কৃষকদের দারুণ উজ্জীবিত করছে। এতে আবাদ ও উৎপাদন বাড়ায় গ্রামীণ অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে।
বৃষ্টিপাত পরিমিত এমনকি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হওয়ায় চলতি শুষ্ক মওসুমেও চট্টগ্রামে উঁচু-নীচু-টিলাময় মাটি ভেজা রয়েছে। এতে আমনের আবাদ ভাল হয়েছে। সেচ নির্ভর বোরো আবাদেও খরচ কমে আসবে। মাটি সতেজ থাকায় শীতকালীন সবজির ফলনও ভাল হচ্ছে। চট্টগ্রাম, পার্বত্যাঞ্চলের ৩০টি চা বাগান ও ডজন সংখ্যক রাবার বাগান পর্যাপ্ত বৃষ্টিতে সতেজ। রাঙ্গামাটিতে তুলার আবাদ-উৎপাদন বিস্তৃত হচ্ছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাহাড়জুড়ে কমলা, মাল্টাসহ প্রচুর তরতাজা দেশি ফল বেচাকেনার ধুম পড়েছে। উৎপাদিত শাক-সবজি বিদেশে রফতানি হচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত চলতি অর্থবছরে ৪০০ মেট্রিক টন সবজি রফতানি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্তি পরিচালক কৃষিবিদ মঞ্জুরুল হুদা বলেন, এই অঞ্চলের পাঁচ জেলায় ধানসহ সব ধরনের ফসলের আবাদ ও ফলন দুটোই বাড়ছে। এবার সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ ৭২ হাজার ৪৮৬ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। সর্বোচ্চ দুই লাখ ৩৫ হাজার হেক্টরে বোরো আবাদের প্রস্ততি চলছে।
যশোর ব্যুরো প্রধান মিজানুর রহমান তোতা জানান, যশোর, খুলনা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও মাগুরাসহ গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও গ্রামে কৃষিনির্ভর অর্থনীতি বহুগুণে চাঙ্গা। সবজি, ফুল, রেণুপোনা, খেজুরের গুড়, সাদা সোনা চিংড়ি, মসুর, মরিচ ও মটরসহ বিভিন্ন কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে অঞ্চলটি। ধান, ভুট্টা উৎপাদনে রয়েছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে।
গত বেশ কয়েকবছর পর এবারই ধানের দামে খুশি কৃষকরা। শার্শা উপজেলার শালকোনা গ্রামে বাবুল আখতার জানালেন ধান ১ হাজার ৩০ টাকা থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভেজিটেবল জোন হিসেবে পরিচিত যশোর অঞ্চলের চাষিরা এবার ভালো দাম পেয়েছে। যশোরের চুড়ামনকাটি গ্রামের জয়নাল আবেদিন জানালেন, শিম প্রতিকেজি ১শ’ ৫০টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন তিনি। ফুলের ক্ষেত্রেও ভালো দাম পেয়েছেন চাষিরা। কৃষি অর্থনীতির বহুমাত্রিকা রয়েছে এই অঞ্চলে। করোনার কারণে শিল্পকারখানা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাভাব হলেও কৃষি অতিমাত্রায় শুরু থেকেই চাঙ্গা। কৃষি অর্থনীতির পারদ এই অঞ্চলে তুঙ্গে।
ঝিনাইদহের চরমুরারীদহ গ্রামের কৃষক ফজলুর রহমান বললেন, গ্রামের কৃষকদের হাতে এখন দু’টো পয়সা আসছে ফসলাদি বিক্রি করে। লক্ষ্যনীয়, কৃষিশ্রমিক যারা পেশা বদল কবরে ভিন্ন পেশায় গিয়েছিল তাদের সিংহভাগই এখন আবার গ্রামের মাঠে কর্মরত হয়েছেন।
নোয়াখালী ব্যুরো প্রধান আনোয়ারুল হক জানান : নোয়াখালীর চরাঞ্চলে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। স্থানীয় ও উপশী মিলিয়ে এবার জেলায় ১ লাখ ৬০ হেক্টরে চাষ হয়েছে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ধান কাটা শুরু হয়েছে। এবার আমনের ফলনও বেশ ভালো। বর্তমানে বাজারে প্রতিমণ আমন ৯০০/৯৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এতে করে কৃষকরা বেজায় খুশী।
কৃষকরা জানায়, এবার আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় মাঠে ভালো ফলন হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শক্রমে সঠিক সময় সার ও কীটনাশক ওষধ প্রয়োগ করা হয়েছে। ফলে অন্যান্য বছরের চাইতে এবার উৎপাদন খরচ কিছুটা কম হয়েছে। অপরদিকে গত বছরের চাইতে এবার বাজারে প্রতিমণ ধান ১০০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে কৃষকরা অতীতের ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছে।
নোয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগে উপ পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম ইনকিলাবকে জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং জেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতার ফলে এবার ধান উৎপন্ন বেশি হয়েছে এবং গতবারের চাইতেও এবার বাজারে ধানের মূল্য বেশি হওয়ায় কৃষকরা উপকৃত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আগামী মৌসুমে আরও বেশি জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে।
বরিশাল ব্যুরো প্রধান নাছিম উল আলম জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ১৮ লাখ টন আমন উৎপাদন নিয়ে আশাবাদী। ভাটির এলাকা দক্ষিণাঞ্চলে আমনে এখন থোড় এসেছে। এ অঞ্চলে সোনালী ধান কাটা শুরু হবে আর মাস খানেকের মধ্যেই। বিদায়ী খরিপ-১ মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলে আউশ উৎপাদন হয়েছে সাড়ে ৬ লাখ টনেরও বেশি। এদিকে, দক্ষিণাঞ্চলে এবার প্রায় সাড়ে ৭ লাখ হেক্টর জমিতে রবি ফসল আবাদের লক্ষ নির্ধারণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৪৪ হেক্টরে বোরো আবাদের মাধ্যমে প্রায় সোয়া ৬ লাখ টন চাল ছাড়াও প্রায় ৫২ হাজার হেক্টরে শীতকালীন শাক-সবজি, ৩৫ হাজার হেক্টরে তরমুজ, ৭ হাজার হেক্টরে গম, ১৩ হাজার ৫১ হেক্টরে মিষ্টি আলু, ৯ হাজার ৫১ হেক্টরে গোল আলু, ১০,১৭৫ হেক্টরে ভুট্টা, আড়াই হাজার হেক্টরে আখ, ৬,১২৯ হেক্টরে শসা, ক্ষিরা ও মর্মা এবং ১,৩৮৪ হেক্টরে ফুট আবাদের লক্ষ্য অর্র্জনে কাজ শুরু করেছেন দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকরা।
এর বাইরে এবার প্রায় ৪৩ হাজার হেক্টরে চিনা বাদাম, সরিষা, তিল, সয়াবিন ও তিষি জাতীয় তেল বীজ আবাদের লক্ষ নির্ধারণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এছাড়াও প্রায় ৩ লাখ ৫৪ হাজার হেক্টরে বিভিন্ন ধরনের ডাল জাতীয় ফসলের ও প্রায় ৪৬ হাজার হেক্টরে মসলা জাতীয় ফসলের আবাদ হচ্ছে।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, এবার বরেন্দ্র অঞ্চলে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কাটাও প্রায় শেষ পর্যায়ে। শুরুতে দামও মণপ্রতি হাজার টাকার বেশি মিলছে। মাঠের পর মাঠজুড়ে শাক-সবজির সবুজ ক্ষেত জানান দিচ্ছে ভাল ফলনের। শুরুতে আগাম লাগানো ফুলকপি বাধাকপি বিক্রি হয়েছে সত্তর-আশি টাকা কেজি দরে। শিমও একশো টাকা কেজির নীচে নয়। আগাম লাগানো গাজর বিক্রি হয়েছে আশি টাকা কেজি দরে। শুরুতেই ভাল দাম পেয়েছে কৃষক। এখন সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।
বগুড়া ব্যুরো প্রধান মহসিন আলী রাজু জানান, বন্যায় উত্তরের পদ্মা, যমুনা, তিস্তা, ধরলাসহ ছোট বড় ৫০টি নদীর তীরবর্তী এলাকার পলি পড়া জমিতে এবার প্রচুর শীতকালীন সবজির ফলন হয়েছে। শুরুতে বন্যার কারণে দাম ছিল চড়া। ফলশ্রুতিতে চাষিদের হাতে গেছে নগদ টাকা। এবার সদ্য বাজারে আমন ধানের বাজারও এখন পর্যন্ত চাষিদের অনুক‚লেই রয়েছে। কৃষি বিভাগের সূত্রমতে এবার দক্ষিণের অনেক জেলায় আমন ফসল বিনষ্ট হলেও উত্তরে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। ফলে উত্তরে বৃহত্তম ৫ জেলা তথা রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর, পাবনা, দিনাজপুর এলাকায় এবার নবান্নের আনন্দটাই ছিল অন্যরকম।
বগুড়ার মহাস্থান এলাকার বৃহত্তম পাইকারী কাঁচামালের আড়তদার অহেদুর ইসলাম ইনকিলাবকে জানান, হাইওয়ে সড়কের পাশের কাঁচামালের আড়তে বগুড়া, নওগাঁ, জয়পুরহাট এলাকায় উৎপাদিত বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, লাউ, কুমড়া, শসার বিশাল চালান এসে থাকে। এবার এসব কাঁচামালের দাম ঊর্ধমুখী থাকায় আড়তদার, ফড়িয়া ও উৎপাদক চাষি সবার হাতেই পয়সা যাচ্ছে ভাগাভাগি হয়ে।
এদিকে যোগাযোগ ব্যবস্থা বর্তমানে ভালো থাকায় পঞ্চগড় থেকে বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর পশ্চিম পর্যন্ত মহাসড়কের পাশে নতুন করে বেশকিছু পাইকারি অস্থায়ী আড়ত গড়ে উঠেছে। এইসব আড়তে কোনো ফড়িয়ার প্রয়োজন না থাকায় এখানকার চলতি কেনাকাটার সরাসরি সুবিধা পাচ্ছে উৎপাদক চাষিরাই।
খুলনা ব্যুরো প্রধান আবু হেনা মুক্তি জানান, চলতি রবি মৌসুমে আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় সবজি উৎপাদন ভালো হওয়ায় কৃষক দারুণ খুশি। এ জেলার ৯ উপজেলার উৎপাদিত শাক-সবজি ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করছে পাইকারী সবজি ব্যবসায়ীরা। এখন কাস্তে হাতে ব্যস্ত কৃষক। মাঠের পর মাঠ এখন সোনালি রঙের পাকা ধানে ভরে আছে। যতদূর চোখ যায় হলুদ মাঠ। খুলনাঞ্চলের মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটা। মাঠের পাকা ধান কেটে তুলতে হবে গোলায়। তাই ফসলের খেতে ধান কাটার ধুম পড়েছে। চারিদিকে পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ। কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা জানান, শীতের শুরুতেই এসব সবজি বাজারজাত করে বেশ লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। উৎপাদনের খরচ তুলে ভালো মুনাফা হওয়ায় এবার কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।
ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান মো . শামসুল আলম খান জানান, ময়মনসিংহের মাঠে মাঠে সোনালী পাকা আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে ফুটেছে সুখের হাসি। প্রতিটি ক্ষেত যেন সোনালী রঙ। তবে কৃষকরা বলছেন, যদি ধান ক্রয় কেন্দ্র প্রত্যেক ইউনিয়নে স্থাপন করা হয় এবং কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হয় তাহলে তার বেশি উপকৃত হতেন। ময়মনসিংহ কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকর খুশি। আশা করছি কৃষকরা প্রত্যাশিত দাম পাবে।
দিনাজপুর অফিস প্রধান মাহফুজুল হক আনার জানান, অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলায় ধান পুরোপুরি না পাকলেও দিনাজপুরে মোটা জাতের আমন ধান কাটতে শুরু করেছে। দাম তুলনামূলকভাবে ভাল পাওয়ায় কৃষকেরা অত্যন্ত খুশি। লেট ভেরাইটি হিসাবে দিনাজপুর জেলায় এবার কাঠারি সুগন্ধি জাতের ধানের আবাদ বেশি হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. তৌহিদুল ইসলাম জানালেন, এবার অতিরিক্ত বৃষ্টি’র কারণে জেলার কিছু কিছু এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলেও পানি আটকে থাকেনি। বরং এই পানি ধানের আরো উপকারে এসেছে। এবার দিনাজপুরে ২ লক্ষ ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়েছে। দিনাজপুরের বিরল উপজেলার কৃষক মোতালেব জানালেন, মোটা ধান একরে ২৮ থেকে ৩০ মণ পাওয়া যাচ্ছে।
কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার এস এম আলী আহসান পান্না জানান, কুষ্টিয়ায় চলতি মৌসুমে ৮৮ হাজার ৮৬২ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী। এ বছর আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় ধানের ফলনও ভাল হয়েছে। ধানের ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে কৃষকদের ভালো লাভ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষক খালিদ হাসান সিপাই।
রংপুর জেলা প্রতিনিধি হালিম আনছারী জানান, রংপুরের ‘মঙ্গা’ আর নেই। আগাম জাতের রবিশস্য আর আমন ধান এ অঞ্চলের মঙ্গা দূর করে দিয়েছে। আশ্বিন মাসের শুরুতেই আগাম জাতের আমন ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকেরা। এদিকে, আমানের পাশাপাশি আগাম জাতের শীতকালীন সবজি এ অঞ্চলের গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ফলন এবং দাম দু’টোই ভালো হওয়ায় আগাম জাতের সবজি চাষে এ অঞ্চলের কৃষকরা বিপ্লব ঘটিয়েছেন। চলতি রবি মওসুমে রংপুরের পাঁচ জেলায় প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ৫৫ লাখ টন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।