Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তাজরীন ট্র্যাজেডির আট বছর

বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধা

সেলিম আহমেদ, সাভার : | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় তাজরিন গার্মেন্ট ট্র্যাজেডির আট বছর পূর্তিতে কারখানাটির সামনে নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন নিহতদের স্বজন, আহত শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ২০১২ সালের এই দিনে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর এলাকায় তোবা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান তাজরীন গার্মেন্টে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে অন্তত ১১৩ জন শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। আহত হয় আরো শত শত শ্রমিক। এখনো আহতদের অনেকেই বিনা চিকিৎসায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অগ্নিকান্ডে নিহতদের পরিবার ভোগ করছে স্বজন হারানোর বেদনা। পঙ্গু সদস্যদের নিয়ে নিদারুণ কষ্টে আছে তাদের পরিবার।

গতকাল সকালে নিহত শ্রমিকদের স্বজন ও আহতসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাজরীন গার্মেন্টস কারখানার প্রধান ফটকের সামনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় উপস্থিত ছিল- টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বাংলাদেশ শ্রম ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন, গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স টেইলার্স লীগসহ বেশ কয়েকটি শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এসময় নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও নীরবতা পালন করা হয়।

টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি তপন সাহা বলেন, আজ তাজরীন ফ্যাশন অগ্নিকান্ডের আট বছর পূর্তি হলো। ওই দিন অনেক শ্রমিক হতাহত হয়েছে। এখনো ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিক ও তার পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। নিহত শ্রমিকদের পরিবার ও আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসনে কোন উদ্যোগ নেয়নি সরকার, বিজিএমইএসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, আগুন লাগার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ গেটে তালা লাগিয়ে শতাধিক শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার আট বছর পার হলেও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি। এতে সরকারের সদিচ্ছার বিষয়টি স্পষ্ট। এ কারণে পরবর্তীতে রানা প্লাজা ধসে আবারো হতাহতের ঘটনা ঘটে। এছাড়া গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তাজরীনের প্রায় অর্ধশত শ্রমিক দাবি আদায়ে অনশন করলেও সরকার ও সংশ্লিষ্টরা কর্ণপাত করছে না। তিনি আরো বলেন, অবিলম্বে তাজরীনের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হোক। পুড়ে যাওয়া ভবনটি সংস্কার করে শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করারও দাবি জানান এই শ্রমিক নেতা।

এদিকে, তিন দফা দাবিতে রাজধানীতে তাজরীন গার্মেন্টসের আহত শ্রমিকদের ‘জিন্দা লাশের’ মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। পুলিশি বাধার মুখে রাস্তায় শুয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শ্রমিকরা। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি গণভবনের দিকে যাত্রা শুরু করলে কদম ফোয়ারার সামনে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়া হয়। এই মিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শ্রমিকরা। সমাবেশে আহত শ্রমিকদের সম্মানজনক ও বাস্তবসম্মত ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ তিন দফা দাবি জানানো হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তাজরীন-ট্র্যাজেডি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ