বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে : ঢাকার সাভারের আশুলিয়া থেকে এক মাদকসেবীকে আটকের পর ৫৪ ধারায় আদালতে চালান দেয়ার কথা বলে পরিবারের কাছ থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিবি পুলিশের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। কিন্তু টাকা নিয়ে প্রতিশ্রুতি মতো কাজ না করে ১০০টি ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে মামলা দেয়ায় টাকা নেয়ার বিষয়টি প্রকাশ করে দেয় পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার বিকালে জামগড়া এলাকার ফকির বাড়ি থেকে আনিছ ফকিরকে (৩৫) আটক করে ঢাকা জেলা (উত্তর) গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান।
আটক আনিছের মা রোকেয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ যখন ধরে তখন তার কাছে কিছুই ছিল না। পরে ১০০টি ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে তাকে আটক করে। আটকের পর তাকে ৫৪ ধারায় চালান করার কথা বলে ৫ লাখ টাকা দাবি করে ডিবির এসআই মনিরুজ্জামান। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় আমি নিজে ৯০ হাজার টাকা ও পরে রাতে আরো ৪০ হাজার টাকা আনিছের নুরু কাকা দিয়েছে ওই দারোগাকে।
তিনি বলেন, ৫৪ ধারায় যাতে দ্রুত জামিন হয় সেজন্য রাতেই তিনি একজন আইনজীবীও ঠিক করে দেন। আমাদের সামনে ওই আইনজীবীর সহকারীকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জামিনের ব্যবস্থা করতে বলেন।
এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে আমরা জানতে পারি রাতে ১০০টি ইয়াবা দিয়ে এসআই মনিরুজ্জামান আনিছকে মামলা দিয়েছে।
তার অভিযোগ, যেহেতু পুলিশ মামলাই দেবে তাহলে মিথ্যা কথা বলে কেন টাকা নিল। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
এদিকে ডিবির এসআই মনিরুজ্জামান শুক্রবার বিকালে মুঠফোনে জানান, আনিছ মাদক ব্যবসায়ী। তার কাছ থেকে ১০০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। মামলাও দেয়া হয়েছে। তবে আনিছের পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমি কোনো টাকা নেইনি, তবে তাকে ছাড়াতে আমার কাছে অনেক তদবির এসেছিল।
এ বিষয়ে কথা বলতে ঢাকা জেলা (উত্তর) গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক এএফএম সায়েদের মুঠফোনে শুক্রবার সন্ধ্যায় যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।