পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর শ্যামপুরে সালাউদ্দিন ফিলিং স্টেশনে রিয়াদ হোসেন (২০) নামে এক কর্মচারীকে আরেক কর্মচারী অকটেন ঢেলে শরীরে আগুন লাগিয়ে দেয়। দগ্ধ অবস্থায় তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। গতকল ভোর পৌনে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত রিয়াদ জুরাইন কমিশনার রোডের ১৩২৭/১ নম্বর বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো। তার বাবা ফরিদ মিয়া গাড়িচালক। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় তিনি। চলতি বছর রিয়াদ সিদ্ধেশ্বরী কলেজে অনার্সে ভর্তি হন।
শ্যামপুর থানার ওসি মফিজুল ইসলাম জানান, ওই পাম্পে ৪ জন অপারেটর রাতে ডিউটিতে ছিলেন। এদের মধ্যে মাহমুদুল হাসান ইমন (২২) নামে এক অপারেটর ঘুমিয়ে পড়েন। পরে রিয়াদ তাকে ডাকতে যান। তিনি না উঠলে সামান্য একটু অকটেক ইমনের গায়ে ছিটিয়ে দেন রিয়াদ। পরে ইমন ঘুম থেকে জেগে আড়াইশ মিলিগ্রামের একটি বোতলে অকটেন ভরে রিয়াদের গায়ে ঢেলে দেন। এছাড়া ইমন ম্যাচ দিয়ে আগুন ধরিয়ে রিয়াদের গায়ে ছুঁড়ে মারেন। এতে রিয়াদের শরীরে মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়। পরে পাম্পের কর্মচারীরা তাকে গতকাল ভোরেই উদ্ধার করে শখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন।
ওসি আরো জানান, এই ঘটনায় রিয়াদের বাবা একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ইমনসহ অপর দুই অপারেটর ফাহাদ আহমেদ পাভেল (২৮) ও শহিদুল ইসলাম রনিকে (১৮) গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল জানান, রিয়াদের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ওই কর্মচারী।
রিয়াদের বাবা মো. ফরিদ হোসেন বলেন, রিয়াদ পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম সালাউদ্দিন ফিলিং স্টেশনে কাজ করতো। মাসিক ৫ হাজার টাকা বেতনে পার্টটাইম চাকরি হিসেবে চলতি মাসের ৪ তারিখে ওই পাম্পে যোগ দেয় রিয়াদ। গতকাল সকাল ৭টার দিকে পাম্পের লোকজন ফোন দিয়ে আমাদের হাসপাতালে আসতে বলেন। এখানে এসে রিয়াদকে দগ্ধ অবস্থায় দেখতে পাই।
তিনি আরো বলেন, ছেলের সহকর্মীরা তাকে অকটেন ঢেলে শরীরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। তবে কী কারণে তারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানতে পারেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।