Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জার্মানিতে বিতর্কের মুখে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

একদিকে করোনা সংক্রমণ ও অন্যদিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক সরগরম। কিন্তু সে দেশের রাজা মাহা ভাচিরালংকর্ন দীর্ঘদিন ধরে বাভারিয়ার আল্পসের কোলে বিলাসবহুল হোটেলে জীবনযাপন করেছেন। শুধু তাই নয়, অভিযোগ উঠছে যে তিনি ছুটি কাটানোর নামে সেখান থেকেই দেশের নানা বিষয়ে তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
জার্মানির এই অঞ্চলে প্রায়ই দীর্ঘ ছুটি কাটান রাজা বলে জানা গেছে। কিন্তু জার্মানিতে শুধু পর্যটক হিসাবেই থাকছেন না রাজা ভাচিরালংকর্ন। সেখান থেকে একই সাথে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তার কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এবিষয়ে, অক্টোবর মাসে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন, ‘যে অতিথিরা জার্মানিতে থেকে নিজেদের দেশ চালান আমরা সব সময়েই তার বিরোধী। জার্মানির মাটি থেকে এমন কোনো নীতি প্রণয়ন করা চলবে না, যা থাইল্যান্ডে প্রভাব ফেলে।’ কিন্তু থাই রাজার এই আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে জার্মানির কতটুকু আইনি এক্তিয়ার আছে, তা খতিয়ে দেখেছে জার্মান ভিজেনশাফটলিশে ডিন্সট নামের গবেষণা বিভাগ। তাদের মত, রাজা ভাচিরালংকর্নকে জার্মানি থেকে বহিষ্কারের ও তাকে ‘পার্সনা নন গ্রাটা’ ঘোষণার অধিকার রয়েছে জার্মান কর্তৃপক্ষের হাতে। কিন্তু ‘ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি’ বা বিশেষ ক‚টনৈতিক সুবিধা থাকায় আইনী বিচারপ্রক্রিয়ায় আনা যাবেনা ভাচিরালংকর্নের কার্যকলাপকে।
অক্টোবরে রাজা ভাচিরালংকর্ন থাইল্যান্ডে ফিরে গেলে জার্মানির বামপন্থী দল ডি লিংকে জার্মানিতে তার প্রবেশাধিকার বন্ধ করার দাবি জানায়। একটি বিবৃতিতে দলের নেতারা বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার নিজের দেশে সামরিক জান্তার সাহায্যে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে রোধ করে, তাকে বিলাসবহুল পর্যটন করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী জার্মান ভিসা দেয়া বন্ধ করা হোক।’ সূত্র : ডয়চে ভেলে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ