নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দেশের ফুটবল ইতিহাসে সাবিনার অনন্য এক রেকর্ড গড়লেন জাতীয় নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। তিনি ২৫০ গোলের মাইলফলক অতিক্রম করলেন। জাতীয় দলের হয়ে দেশ ও বিদেশ মিলিয়ে এবং ঘরোয়া আসরে ২০০ গোল করার মাইলফলক অনেক আগেই অতিক্রম করেছিলেন ‘গোলমেশিন’খ্যাত সাবিনা। মঙ্গলবার ট্রিকোটেক্স নারী ফুটবল লিগে অতিক্রম করলেন ২৫০ গোলের মাইলফলক। এদিন কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে নারী লিগে স্পার্টাক গ্যালাকটিকো সিলেট এফসির বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেই আড়াইশ গোলের ক্লাবে প্রবেশ করলেন বসুন্ধরা কিংস ও জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা।
লিগে ২৪৮ গোল নিয়ে আগের ম্যাচে বেগম আনোয়ারা স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন এই গোলমেশিন। ওই ম্যাচেই হতে পারতো তার স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ফুটবলার হিসেবে অনন্য রেকর্ডটি। কিন্তু আগের ম্যাচে মাত্র এক গোল পেয়েছিলেন সাবিনা। পরের ম্যাচেই হ্যাটট্রিকে অনন্য রেকর্ড গড়লেন তিনি।
মঙ্গলবার সাবিনা খাতুনের হ্যাটট্রিক ও কৃষ্ণা রানী সরকারের হ্যাটট্রিকসহ চার উপর ভর করেই বসুন্ধরা কিংস জিতেছে ১২-১ গোলে। দুই গোল করেন মৌসুমী এবং একটি করে গোল করেন তহুরা খাতুন, শিউলি আজিম ও মারিয়া মান্ডা।
ম্যাচের ১১ মিনিটে দলের দ্বিতীয় এবং নিজের প্রথম গোল করেই ঘরোয়া ফুটবলে আড়াইশ গোলের ক্লাবে ঢুকে পড়েন সাবিনা। ২১ ও ৪২ মিনিটে করেন আরো দুই গোল। দেশে, মালদ্বীপে এবং ভারতের ঘরোয়া ফুটবল মিলিয়ে সাবিনার গোল সংখ্যা এখন ২৫২টি। সাবিনা ছাড়া বাংলাদেশের অন্য কোনো ফুটবলার (নারী-পুরুষ) এই অনন্য রেকর্ড গড়তে পারেননি।
রেকর্ড গড়ে নিজের প্রতিক্রিয়ায় ২৭ বছর বয়সি সাবিনা বলেন ‘আমার জন্য এটা অবশ্যই আনন্দের এক ঘটনা। দুইশ’ গোল পার করার পর আড়াইশ গোলের অপেক্ষায় ছিলাম। সে স্বপ্নও পূরণ হলো আজ। এই অর্জন আমাকে আরো গোল করার অনুপ্রেরণা জোগাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।