বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় তাজরিন গার্মেন্ট ট্র্যাজেডির আট বছর পূর্তিতে কারখানাটির সামনে নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন নিহতদের স্বজন, আহত শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
২০১২ সালের এই দিনে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুরে এলাকায় তোবা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান তাজরীন গার্মেন্টে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে অন্তত ১১৩ জন শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়।
আহত হয় আরো শত শত শ্রমিক। এখনো আহতদের অনেকেই বিনা চিকিৎসায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
অগ্নিকা-ে নিহতদের পরিবার ভোগ করছে স্বজন হারানোর বেদনা। পঙ্গু সদস্যদের নিয়ে নিদারুণ কষ্টে আছে তাদের পরিবার।
মঙ্গলবার সকালে নিহত শ্রমিকদের স্বজন ও আহতসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাজরীন গার্মেন্টস কারখানার প্রধান ফটকের সামনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বাংলাদেশ শ্রম ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন, গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স টেইলার্স লীগসহ বেশ কয়েকটি শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এসময় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও নীরবতা পালন করা হয়।
টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি তপন সাহা বলেন, আজ তাজরিন ফ্যাশন অগ্নিকান্ডের আট বছর পূর্তি হলো। ওই দিন অনেক শ্রিমক হতাহত হয়েছে। এখনো ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিক ও তার পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। নিহত শ্রমিকদের পরিবার ও আহত শ্রমিকদের আজও পুনর্বাসনে কোন উদ্যোগ নেয়নি সরকার ও বিজিএমইএ সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।
গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, ২৪ নভেম্বর আগুন লাগার পর কারখানা কতৃপক্ষ গেটে তালা লাগিয়ে শতাধিক শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা করে। এঘটনার আট বছর পার হলেও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি। এতে সরকারের সদিচ্ছার বিষয়টি স্পষ্ট। এ কারণে পরবর্তীতে রানা প্লাজা ধসে আবারো হতহতের ঘটনা ঘটে। এছাড়া গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তাজরিনে প্রায় অর্ধশত শ্রমিক দাবি আদায়ে অনশন করলেও সরকার ও সংশ্লিষ্টরা কর্ণপাত করছে না।
তিনি আরো বলেন, অবিলম্বে তাজরিনের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হোক। পুড়ে যাওয়া ভবনটি সংস্কার করে শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করারও দাবি জানান এই শ্রমিক নেতা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।