বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশে ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। যখন যে পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে তখনি সেই পণ্যের দাম বেড়ে যায়। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার মাস্ক ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করে। আর এতে বেড়ে যায় মাস্কের চাহিদা। ব্যবসায়ীরাও সেই সুযোটা লুপে নেন।
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে জনসাধারণের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সব সরকারি-আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানে গ্রহণ করা হয়েছে ‘নো-মাস্ক নো-সার্ভিস’ পলিসি। মানুষকে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি পালনে বাধ্য করতে মাঠপর্যায়েও নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মাস্ক না পরলে করা হচ্ছে জরিমানাও। তাই ঘরের বাইরে বের হলে সঙ্গে একটি মাস্ক রাখছেন সবাই। এতে বাজারে মাস্কের চাহিদা ও বিক্রি দুটোই বেড়ে গেছে। এ সুযোগে সব ধরনের মাস্কের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর বিভিন্ন ওষুধের দোকান ও ফার্মেসিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাঝে কিছুদিন মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ করোনা প্রতিরোধ সামগ্রীর বিক্রি কমে গেলেও সম্প্রতি তা আবার বেড়েছে। এসব পণ্যের সরবরাহেও ঘাটতি নেই। কিন্তু তবু কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে বেড়ে গেছে মাস্কের দাম। কেন দাম বাড়ছে- এমন প্রশ্নের কোনো যৌক্তিক জবাবও দিতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। কিছু দোকানে আগের দামে পাওয়া গেলেও বেশির ভাগ দোকানে বেশি দামে মাস্ক বিক্রি হতে দেখা গেছে। কোথাও কোথাও সার্জিক্যাল মাস্ক ও সাধারণ ডিসপোজিবল মাস্কের দাম বক্সপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেশি রাখা হচ্ছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মাস্কের দামের এই হেরফের দেখা গেছে।
বর্তমানে তিন স্তরের সার্জিক্যাল মাস্কের প্যাকেটের দাম ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগেও যা পাওয়া গেছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। অপরদিকে দুই পরতের মাস্কের প্যাকেটের দাম বেড়ে হয়েছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। কিছুদিন আগেও এগুলো পাওয়া গেছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস সার্জিক্যাল মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ১০ টাকায়। অথচ কয়দিন আগেও ১০ টাকায় পাওয়া গেছে ৩টি মাস্ক। আগে ১০ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাপড়ের মাস্কের দামও এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকা। ফিল্টার মাস্ক এখন আর ততটা পাওয়া যায় না। সেটার দামও পিসপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। আগে ২০ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন তা পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। এ ছাড়া কেএন-৯৫ মাস্কের দাম ২০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। এন-৯৫ মাস্কের দাম ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাজারে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় মিলছে এ মাস্ক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।