বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মামলা তুলে নিতে বাদীর বাড়িতে একের পর এক হামলা করছে আসামিরা। শনিবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭ টায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের পশ্চিম বৈরাগ আবদুল সালামের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আসামিদের দেশীয় অস্ত্রের কোপে রক্তাক্ত হন মামলার বাদীসহ নারী-পুরুষ ৮ জন। এর আগে গতকাল শুক্রবার (২০ নভেম্বর) বিকালে একই এলাকার মোহাম্মদ মফিজ (৩৫), মোহাম্মদ সোহেল (৩২), মোহাম্মদ রাশেদ (২৫), আবদুর রহমান (৩০), মোহাম্মদ রশিক (৪৮) এর নেতৃত্বে বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে মোহাম্মদ নাছিরের পরিবারের লোকজনকে গুরুত আহত করে। এই ঘটনায় আনোয়ারা থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম দিদারুল ইসলাম সিকদার।
২০১৭ সালে মোহাম্মদ নাছিরের স্ত্রী চেমন আরা বেগম বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মোহাম্মদ হাবিব (৪০) কে আসামী করে একটি মামলা করে। এই মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন কৌশলে বাদীর পরিবারকে হুমকি দমকি দিয়ে আসছে আসামীপক্ষের লোকজন। এ পূর্বে বিরোধের জেরে একের পর এক মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুত আহত হয়েছেন একই এলাকার মৃত আবদুল নবীর পুত্র মোহাম্মদ নাছির (৫০), মোহাম্মদ জামাল (৪৫), আমেনা খাতুন (৬০), মোহাম্মদ নাছির (৩২), মোহাম্মদ নাছিরের পুত্র মোহাম্মদ রায়হান (১৭), মোহাম্মদ জামালের স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪০), মেয়ে শাকি আকতার (১৮), নাছিরের মেয়ে নাসমিন আকতার (১৫)। আহতরা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত মোহাম্মদ নাছির বলেন, মামলা তুলে নিতে আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্ন সময়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে তারা। গত ২৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি সাক্ষ্য দেওয়ার দিন ছিলো। এর জের ধরে গতকাল শুক্রবার আমার পুত্র রায়হার বাড়িতে আসার মাত্র মোহাম্মদ মফিজ ধারালো কিরিচ দিয়ে হত্যার উদ্যোশে মাথায় কোপ মারে। এঘটনায় আমরা আনোয়ারা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় লোকজন নিয়ে আবারো হামলা চালায় আমাদের উপর। আমাদের পরিবারের উপর একের পর এক ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যানও তাদের ভয়ে মুখ খুলে কথা বলছেন না।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, সকালের ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। দুইদিনের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।