Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কলাপাড়ায় বনবিভাগের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে ঘর তোলার ব্যাপক অভিযোগ

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০২০, ৫:২৬ পিএম

কলাপাড়ায় মৎস্যবন্দর মহিপুর বাজারে বনবিভাগের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে ঘড় তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মহিপুর বিট অফিসের সামনের জমি বনবিভাগ তাদের জমি বলে দাবী করলেও মহিপুর ভ‚মি অফিস সে জমি তাদের বলে দাবী করছেন। সেখানে এ আর ফিস নামে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেছে। ডিসিআর কাটা আছে বলে রাতের আধারে ঘর তুলছে প্রভাবশালী একটি মহল। স্থানীয়রা জানান, মহিপুর ভ‚মি অফিসের তফসিলদারকে অবৈধপন্থায় ঘুষ দিয়ে এ দখল বাণিজ্য চলছে। অপরদিকে মহিপুর ইউনিয়ন ভ‚মি অফিসের দাবী ডিসিআর ছাড়া কোন জমি দখল হচ্ছে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহিপুর মৎস্যবন্দরে ঢুকে আড়ৎপট্টি গেলেই একটি কালভার্টের পরেই বনবিভাগের বিট অফিসের সাইনবোর্ড দেখা যায় এবং বিপরীত পাশেই রয়েছে নদী যার অনেকটাই চরে পরিণত হয়েছে। বন বিভাগের দাবী, চলমান সর্বশেষ বি.এস রেকর্ড অনুযায়ী বিট অফিসের সীমানা হতে বাহিরে নদীর ভিতরেও তারা ৪৮ ফুট পাবে। বি.এস রেকর্ডে মহিপুর বনবিভাগ মোট ১৬ শতাংশ জমির দাবীদার। কিন্তু স্থানীয় ভ‚মি অফিস সে জমি তাদের দাবী করে ডিসিআর মতে দোকান-ঘর তোলার অনুমতি দিয়ে আসছে।

স্থানীয় সচেতন মহল দাবী করেন, এঘটনা নিয়ে মহিপুর ভ‚মি অফিস ও বনবিভাগ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। স্থানীয় কিছু অসাধূ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ভ‚মি অফিসের সাথে আতাত করে অবৈধভাবে ফায়দা লুটছে। তাদের মতে, মহিপুরে শুধু বনবিভাগের জায়গা নয় রাতের আধারে এভাবে বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠে যার কোন সঠিক প্রতিকার পাওয়া যায় না। মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা এবিষয়ে মহিপুর থানায় সাধারন ডায়রী করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না বলে জানা যায়। সেখানে রাসেল আকন নামের স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যাক্তি রাতের আধারে ঘড় তুলে এ. আর ফিস নামে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। জমি দখল ও ডিসিআর এর বিষয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক ও মহিপুর ইউনিয়ন ভ‚মি সহকারী কর্মকর্তার নিকট হতে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। প্রকৃত সত্য কোনটি সে বিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। কাগজ দেখতে চাইলে মহিপুর ভ‚মি সহকারী কর্মকর্তা এসব কথা এড়িয়ে যান।

এবিষয়ে এ.আর ফিস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী মো: রাসেল আকন বলেন, এ জমিতে আমার ডিসিআর কাটা আছে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ডিসিআর নবায়ন করা আছে। এছাড়াও সেমি পাকা ঘড় তোলার বিষয়ে পটুয়াখালী ডিসি অফিসের অনুমতি রয়েছে।
মহিপুর ইউনিয়ন ভ‚মি সহকারী কর্মকর্তা মো: আজিজুর রহমান জানান, বনবিভাগ যে জমি তাদের বলে দাবী করছে প্রকৃতপক্ষে সে জমি ভ‚মি অফিসের। ওখানে বাণিজ্যিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করার অনুমতি রয়েছে। যারা ঘর তুলছে তাদের ২০২২ সাল পর্যন্ত ডিসিআর নবায়ন করা আছে।
মহিপুর বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: আবুল কালাম আজাদ বলেন, বনবিভাগের জমিতে মহিপুর ভ‚মি অফিস তাদের জমি বলে অবৈধভাবে ঘর তুলতে অনুমতি দিচ্ছে।আমি এবিষয়ে মহিপুর থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেছি। এছাড়াও আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি। এছাড়া তিনি সাংবাদিকদের আরো জানান, তাদের জমি হলে তারা দিনের বেলায় ঘর না তুলে রাতের আধারে ঘর তুলবে কেনো ?



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ