Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণাঞ্চলের রাস্তায় মাইকিং করে পেঁয়াজ ক্রেতার খোজে টিসিবি

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০২০, ৫:০৪ পিএম

দক্ষিণাঞ্চলে এখন পেঁয়াজের ক্রেতার খোজে রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য সংস্থা-টিসিবি। এতদিন পেঁয়াজ ও ভোজ্যতেল সহ বিভিন্ন পণ্য কেনার জন্য টিসিবি’র গাড়ীর খোজে বরিশাল মহানগরী সহ বিভিন্ন জেলা সদরের সাধারণ মানুষ হণ্যে হয়ে ঘুরে বেড়াতেন। মাত্র এক সপ্তাহ আগেও এক কেজি পেয়াঁজের জন্য ভোক্তাদের আকুতি চোখে পড়েছে। আর এখন পোয়াঁজ কেনার জন্য ক্রেতাদের তোয়াজ করছে টিসিবি’র ডিলাররা। শুক্রবারও দিনভরই টিসিবি’র ডিলাররা ‘টিসিবি’র পণ্য কিনে হন ধণ্য’ এ শ্লোগান দিয়ে ভোজ্য তেল, মুসুর ডাল ও চিনির সাথে অনেকটা বাধ্যতামূলক ভাবেই পেয়াঁজ বিক্রী করেছে। বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলা সদরেও এ দৃশ্য চোখে পড়ছে। তবে উপজেলা পর্যায়ে টিসিবি আজ পর্যন্ত তার পণ্য পৌছতে তেমন কোন উদ্যোগ নেয়নি।

গত দুদিন বাজারে টিসিবি’র চেয়ে ভাল মানের পেয়াঁজের সরবারহ বৃদ্ধির ফলে দরপতনও ঘটেছে। ফলে ক্রেতারা হাতের নাগালে ভাল মানের পেয়াঁজ পাচ্ছেন। যদিও তার দাম টিসিবির’র পেয়াজের চেয়ে কেজি প্রতি ৫ টাকা বেশী। কিন্তু টিসিবি’র পেয়াঁজের মান খোলা বাজারের চেয়ে কিছুটা খারাপ হওয়ায় ভোক্তরা হাতের নাগালে ভাল মানের পেয়াঁজ একটু বেশী দামে কিনতেও সাচ্ছন্দ বোধ করছেন। কারন এতে টিসিবির পেয়াঁজের গাড়ী খুজে বেড়াবার বিড়ম্বনা থাকছেছ না।
গত দুদিন বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলা সদরগুলোতে টিসিবি’র ডিলাররা পেয়াঁজ, ভোজ্যতেল, চিনি ও মুসর ডাল নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় মাইকিং করছে। এমনকি আগে যেখানে মাথাপিছু ১ কেজির বেশী পেয়াঁজ বিক্রী হতনা, এখন সেখানে কোন উর্ধসীমা নেই। কারন পচনশীল এ পণ্য বিক্রী করার কোন বিকল্প নেই।
মূলত টিসিবি’র আমাদানীর সাথে বেসরকারী পর্যায়েও বিপুল পরিমান পেয়াঁজ দেশে আসতে শুরু করেছে। ফলে বাজারে সরবারহ বৃদ্ধির সাথে দরপতনও ঘটছে। শুক্রবার বরিশালের বাজারে প্রতি কেজী দেশী পেয়াঁজ ৭০Ñ৭৫ টাকায় বিক্রী হলেও আমদানীকৃত পেয়াঁজের কেজি ছিল ৩৫-৪০ টাকার মধ্যে। তবে সে পেয়াঁজের মান টিসিবি’র চেয়ে ভাল বলে ক্রেতারা জানিয়েছেন। আর টিসিবি পেয়াজ বিক্রী করছে ৩০ টাকা কেজি।

টিসিবি’র কেন্দ্রীয় পর্যায়েও পেয়াঁজ নিয়ে দূর্ভাবনা শুরু হয়েছে। পচনশীল এ দ্রব্যটির পরিবহন ও মজুত অত্যন্ত স্পর্ষকাতর বিষয়। তাই প্রতি মূহর্তে সংস্থাটির কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে সবগুলো আঞ্চলিক অফিসের বিক্রী ও মজুত মনিটরিং করা হচ্ছে। শুক্রবার ডিলারদের মধ্যে সরবারহের পরেও বরিশাল আঞ্চলিক অফিসের গুদামে প্রায় ১০ টনের মত পেয়াঁজ মজুত ছিল। উপরন্তু আরো প্রায় ৪০ টন রাতের মধ্যেই বরিশালে পৌছার কথা। ফলে এ ৫০ টন পেয়াঁজ নিয়ে কতৃপক্ষের দূর্ভাবনার শেষ নেই। কারন বরিশাল আঞ্চলিক অফিস থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫ টন পেয়াঁজ বিক্রী করাও এখন দুরুহ হয়ে পড়েছে ডিলারদের অনিহার করনে। বেশীরভাগ ডিলারই এখন আগ্রহী হচ্ছেনা বাজারে আরো ভালমানের পেয়াঁজ চলে আসায়। দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিকেজি চিনি ৫০ টাকা এবং মুসুর ডাল ৮০ টাকা ও সয়াবিন তেল ৮০ টাকা লিটারে বিক্রী করছে টিসিবি। তবে ডিলারদের দাবী, অবিলম্বে পেয়াঁজের দাম২৫ টাকা নির্ধারন না করলে তারা হয়তএ পণ্য বিক্রী তরতে পারবেন না।
বিষয়পিট নিয়ে টিসিবি’র বরিশাল আঞ্চলিক অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোন মন্তব্য করতে রাজি না হলেও সব কিছু সদর দপ্তর অবিহত আছে বলে জানিয়েছেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টিসিবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ