যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা গিয়াস আহমেদ, জিল্লুর রহমান জিল্লু ও মিজানুর রহমান মিল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য পদে যুক্ত হলেন
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির তিন নেতাকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ প্রাপ্তরা হলেন
নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হলো যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ভারচুয়াল আলোচনা সভা । বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী বেবী নাজনীন আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ নভেম্বর মাসকে বিএনপির জন্য চেতনার মাস হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, এই মাসে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র দিয়েছেন এবং তারেক রহমান নব্য স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই চেতনার মাসেই বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শপথ গ্রহণ করতে হবে। গত ১৫ নভেম্বর নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে ভার্চ্যুয়াল সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
বেবী নাজনীনের সভাপতিত্বে এবং বিএনপি নেতা ফিরোজ আহমেদের পরিচালনায় ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, যুব দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন, জাসাস’র প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম আকন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়সার এম আহমেদ, সাদিক রহমান, সৌদী আরব বিএনপির সভাপতি আহমেদ আলী মুকিব।
সভা মঞ্চে ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি গিয়াস আহমেদ, সাবেক সহ সভাপতি আলহাজ্ব সোলায়মান ভুইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম, যুক্তরাষ্ট্র যুব দলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আহমেদ, বিএনপি নেতা এবাদুর রহমান, কোকো স্মৃতি পরিষদের সভাপতি শাহাদত হোসেন রাজু ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম।
ভার্চ্যুয়াল সভায় অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি শরাফত হোসেন বাবু, মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিন, সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীম ভুইয়া, যুক্তরাষ্ট্র যুব দলের সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী, যুব দলের সাবেক সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক এম এ বাতিন, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা অলিউল্যাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান সাঈদ, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক শাহীন, কানাডা বিএনপির সভাপতি ফয়সল আহমেদ, জর্জিয়া বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আহমেদ, সাবেক ছাত্র নেতা আতাউর রহমান আতা, নিউইয়র্ক সিটি বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা, নিউইয়র্ক সিটি বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা বশির আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র যুব দলের যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, সহ সভাপতি আহবাব চৌধুরী খোকন, মোহাম্মদ আবুল কাশেম, নিউইয়র্ক স্টেট যুব দলের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আজাদ ভুইয়া, ঢাকা মহানগর যুব দলের (দক্ষিণ) সাবেক সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর হাসাইন, বিএনপি নেতা রাফেল তালুকদার, সালেহ আহমেদ মানিক, জাহাঙ্গীর সরওয়ার্দী, ইঞ্জিনিয়ার হারুন অর রশীদ, সাজেদুল ইসলাম অরিক, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভুইয়া, এডভোকেট আবু তাহের, আব্দুল ওয়াদুদ কবির, জাহাঙ্গীর আলম, চাকসুর সাবেক ভিপি নাজিম উদ্দিন, ওহিদুজ্জামান নিলু, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, মোহাম্মদ মহসীন (লাল), চৌধুরী সালেহ, ব্রঙ্কস বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, সাইফুর খান হারুন, খলকুর রহমান, ফ্রান্স বিএনপি নেতা এমতাজ আলো, ওয়াশিংটন বিএনপির আহবায়ক হাফিজ খান সোহায়েল, ভার্জিনিয়া বিএনপির আহবায়ক মোহাম্মদ জহির খান, ফ্লোরিডা বিএনপির আহবায়ক মোহাম্মদ চাকলাদার, সদস্য সচিব ইলিয়াস খান, সাবেক সভাপতি দিনাজ খান, সাবেক সভাপতি আব্দুর রশিদ খান হারুন, জর্জিয়া বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাহবুব হোসেন, মেরিল্যান্ড বিএনপি আহবায়ক তোফায়েল আহমেদ, সদস্য সচিব মোহাম্মদ হোসেন, এস এম ফেরদৌস, হেলাল উদ্দিন, ফ্লোরিডা বিএনপি নেতা ইলিয়াস খান, ভার্জিনিয়া বিএনপি নেতা নেছার আহমেদ, জর্জিয়া বিএনপি নেতা সাহেল খান, ডিউক খান, ফ্লোরিডা বিএনপি নেতা ফারুক সরকার, নিউজার্সি বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ জুবায়ের আলী, কাওসার আহমেদ, সদস্য সচিব আলাউর রহমান খন্দকার, হারুণ অর রশীদ, মেরিল্যান্ড বিএনপি নেতা জহির খান, ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপি সভাপতি বদরুল আলম চৌধুরী, লন্ডন বিএনপি নেত্রী ডালিয়া লাকুরিয়া, এমদাদ তরফদার, আবু চৌধুরী,
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছিলেন। দুটি আন্দোলনেরই নেতৃত্ব দেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। অন্যদিক বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আপোষহীন নেত্রীতে পরিণত হন এবং বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। সেই সাথে তারেক রহমান বিদেশে থেকেও বর্তমান স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, অতীতেও সকল আন্দোলনে আমরা বিজয়ী হয়েছি, আগামীতেও বিজয়ী হবো। তারেক রহমান বাংলাদেশে আবারো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করছেন। তিনি প্রবাসী বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এরশাদ এবং ১/১১ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আপনারা ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন। আগামীতেও নব্য স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা পালন করবেন। কারণ আমাদের চেয়ে আপনাদের সুযোগ বেশি। কারণ দেশে আমরা বন্দুকের নলের সামনে আন্দোলন করছি। তিনি খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নি:শর্ত মুক্তি দাবি করে বলেন, বিএনপিই হচ্ছে স্বাধীনতার পক্ষের দল এবং আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সেলিমা রহমান বলেন, আমরা বাংলাদেশে এক কঠিন সময় অতিক্রম করছি। খালেদা জিয়া কারাগারে এবং তিনি অসুস্থ্য। আমরা তার মুক্তির কথা বলছি কিন্তু কিছুই করতে পারছি না। এই চেতনার মাসেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমাদের শপথ গ্রহণ করতে হবে।
বেবী নাজনীন অনুষ্ঠান সফল করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
আয়োজক সূত্র জানায়, পুরো অনুষ্ঠানটি লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান অনলাইনে দেখেন এবং তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
প্রবাস জীবন বিভাগে সংবাদ পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।