পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720080954](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দীর্ঘ ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান হলো। আর এই দিনের অপেক্ষায় ছিলেন কারাবাগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অসংখ্য আজারি নারী-পুরুষ।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে এক সপ্তাহ আগে। সেই মতোই কারাবাখের কিছু কিছু এলাকা ছেড়ে যাচ্ছেন দখলদার আর্মেনীয়রা। সেইসব জায়গায় ফিরে যাচ্ছেন আজারবাইজানিরা। ২৮ বছর পর নিজভূমে ফেরার স্বপ্ন সফল হচ্ছে তাদের। যদিও চুক্তিতে লেখা ছিল ১৫ নভেম্বর থেকে এলাকা ছাড়বে আর্মেনীরা।
কিন্তু তা পুরোপুরি না হওয়ায় আর্মেনিয়ার প্রতি মানবিকতার নজির রেখে আরও ১০দিন সময় দিয়েছেন আজেরি প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। তবে ইতিমধ্যেই আপার কারাবাখের শুশা এবং কলবাজার অঞ্চল ছেড়ে চলে গিয়েছে প্রায় হাজার তিরিশেক আর্মেনীয়।
উল্লেখ্য, শুশা শহর ভৌগোলিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রক্তাক্ত ইতিহাস। ১৯৯৩ সালের যুদ্ধে কয়েক হাজার আজেরিকে উৎখাত করে এই শহরের দখল নেয় আর্মেনীয়রা।
অন্যদিকে ক’দিন আগেই একটা ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যাতে দেখা যায় শুশার এক ভগ্নপ্রায় মসজিদের মিনারে উঠে আযান দিচ্ছেন এক আজেরি সেনা জওয়ান। আবার অন্যদিকে দেখা যায় নিজেদের বসতবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়ে এলাকা ছাড়ছে কলবাজারের আর্মেনীয়রা। যাতে আজেরিরা ফিরে এসে ওইসব বড়িতে বসবাস করতে না পারেন। ২৮ বছর আগে যুদ্ধ শুরু হলে প্রাণে বাঁচতে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে চোদ্দ পুরুষের ভিটে ছেড়ে পালিয়ে যান হ্যামলেট মেহেরমোভ। এখন তিনি নাতি-নাতনিদের নিয়ে নিজের ভিটেতেই ফিরতে চাইছেন।
তার স্ত্রী সুগায়েত মেদেতোবা বলেন, এই দিনটার জন্যই ২৮ বছর ধরে আল্লাহ্র কাছে আহাজারি করেছি। এও জানালেন, কলবাজারেই তার শ্বশুরবাড়ি এবং বাপেরবাড়ি। তাই পাহাড়ের কোলঘেঁষা কলবাজারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তাদের আবাল্য স্মৃতি। তার কথায়, অবশেষে আল্লাহর মেহেরবানিতে আমরা খুব শীঘ্রই কলবাজার ফিরে যাব। এই আনন্দে তার চোখের কোণে চিকচিক করে উঠল একবিন্দু অশ্রু। পুবের কলম
1 Attached Images
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।