নাটোরের লালপুরে ছেলের বিয়ের জন্য পাত্রী দেখার কথা বলে এক গৃহবধূকে (৪০) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৭ জনকে আটক করেছে।

গতকাল বুধবার ভোরে ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ তাদের আটকের পরে নাটোর জেলা কারাগারে প্রেরণ করে। আটককৃতরা হলো- লালপুর উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামের মৃত আনার আলীর ছেলে রাশেদুল ইসলাম, ওয়ালিয়া সেন্টারপাড়া গ্রামের মৃত সফর সরদারের ছেলে আকমল সরদার, ওয়ালিয়া আমিন পাড়া গ্রামের মৃত লালমিয়া সরকারের ছেলে রবিউল ইসলাম সরকার, ওয়ালিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃৃত লাল মোহাম্মদ রশিদ সরকারের ছেলে জিল্লুর রহমান, ওয়ালিয়া বাজার পাড়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের ছেলে জীবন ইসলাম, ওয়ালিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল মন্ডলের ছেলে তরিকুল ইসলাম এবং বড়াইগ্রাম উপজেলার ধানাইদহ গ্রামের মৃত তৌফিক ফকিরের ছেলে রায়হান ফকির।
ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক কৃষ্ণ মোহন সরকার জানান, গত মঙ্গলবার পাশ্ববর্তী বড়াইগ্রাম উপজেলার ধানাইদহ এলাকার (৪০) বছর বয়সী এক গৃহবধূকে তার ছেলের বিয়ের জন্য ওয়ালিয়া ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামে পাত্রী দেখার প্রলোভনে ডেকে আনে। পরে রাতে ওয়ালিয়া গ্রামের আমজামতলা এলাকায় নির্জন স্থানে পালাক্রমে ১২-১৪ জন ব্যক্তি গণধর্ষণ করে। পরে নির্যাতিতা মহিলা ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে অজ্ঞাতসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগ পেয়ে ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তা অভিযুক্ত ৭ জনকে আটক করে। পরে সকালে আকটকৃতদের নাটোর জেলা কারাগারে প্রেরণ করে ও আসামিদের রিমান্ড চায়।