সোনাগাজীতে অর্থ আত্নসাতের মামলায় পিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হলো সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের
সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত উল্লাহ। জানা যায়, শাহাদাত দীর্ঘদিন যাবত যৌথ ব্যাবসা সহ বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে টাকা আত্মসাত করে অনেক মানুষ কে ক্ষতিগ্রস্থ করে আসছিলো।
নোয়াখালি জেলার সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ গ্রামের মোঃ মাসুদ নামে একজনের অভিযোগের ভিত্তিতে শাহাদাত কে আটক করা করে । তার কাছ প্রায় ১৫ লক্ষ ৭ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
সোনাগাজী থানায় দাখিল করা মামলা সূত্রে আরো জানা যায়, ক্ষতিগ্রস্থ মাসুদ দীর্ঘ সাত বছর যাবত সোনাগাজীর মুহুরী প্রজেক্ট এলাকায় মৎস্য চাষ করে আসছে, আসামী শাহাদাত ও সেখানে মৎস্য চাষ করার সুবাধে উভয়ের পরিচয় হয়, প্রতারক শাহাদাত মাসুদের সাথে কৌশলে সম্পর্কের উন্নয়ন করে নগদ টাকা ধার নেয় এবং তার মাধ্যমে মৎস্য খামারের জন্য বাকিতে খাদ্য ও ঔষধ কিনে নেয়। প্রকল্পে পানি দেয়ার কথা বলে থ্রী-হর্স মোটর ও পাইপ নিয়ে ফেরত না দেওয়া সহ সব মিলিয়ে ১৫ লক্ষ টাকার অধিক টাকা গ্রহন করে তা পেরত না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে ও আত্মসাতের চেষ্টা করে। পরে ক্ষতিগ্রস্থ মোঃ মাসুদ পুলিশ সুপার পিবিআই বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিলে প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে নিয়মিত নামলা হিসাবে এফআইআর করার জন্য ২৯৭৮(তাং-১১-১১-২০২০) স্মারক মূলে সোনাগাজী মডেল থানায় প্রেরণ করেন, ওই ঘটনায় সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা নং ০৭ (১২-১১-২০২০) ধারা ৪০৫/৪২০/৫০৬ পেনাল কোড রুজু করা হয়। ক্ষতিগ্রস্থ মাসুদের অর্থ আত্মসাত মামলার সূত্রে শাহাদাত উল্লাহ কে পিবিআই আটক করেছে বলে জানা গেছে।
ইতোপূর্বে সোনাগাজী উপজেলার আরেক যুবলীগ নেতা সোহেল চাকলাদার থেকে ৬ লক্ষ ৫৭হাজার টাকা আত্মসাত করায় সোনাগাজী মডেল থানায় তার নামে ১৭/২০২০ মামলা (ধারা ৪২০-৪০৬ পেনাল কোড) এফআইআর হয়েছিলো, যা চলমান রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ মোঃ মাসুদ বলেন, প্রতারক শাহাদাত আমার সাথে প্রতারনা করেছে,আমার বিশ্বাস ভঙ্গ করে আমার ব্যাবসা ক্ষতিগ্রস্থ করে সে টাকা আত্মসাত করে, আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি, আমি ক্ষতিপূরন সহ প্রতারক শাহাদাতের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। অন্যদিকে যুবলীগ নেতা সোহেল চাকলাদার বলেন, তাকে বিশ্বাস করে যৌথ ব্যাবসা করে আমি প্রতারিত হয়েছি।