Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তথ্যপ্রযুক্তি আইনে গ্রেফতার রাবি সাংবাদিকের মুক্তি দাবি জবিসাসের

জবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০২০, ৯:৩০ এএম

তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় গ্রেফতার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মানিক রায়হান বাপ্পির নিঃশর্ত মুক্তি ও বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (জবিসাস)।
গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির হুমু ও সাধারণ সম্পাদক লতিফুল ইসলাম এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওই সাংবাদিকের দ্রুত মুক্তির দাবি করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, সংবাদ প্রকাশের জেরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ সাংবাদিক নেতা মানিক রায়হান বাপ্পিকে গ্রেফতার ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় আমরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সাংবাদিককে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য কারাবরণ করতে হলো। এর মাধ্যমে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় রচিত হয়েছে। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এমন ঘটনায় ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার পথকে বাধাগ্রস্থ করবে।নেতৃবৃন্দ বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এখন একটা গোষ্ঠীর হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। স্বাধীন মত প্রকাশে সাংবাদিকদের টুঁটি চেপে ধরতে একটি গোষ্ঠী আজ সক্রিয়। যারা গণমাধ্যমবিরোধী ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিরোধী তারা এই আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার করছে। তাদের উদ্দেশ্য হলো সাংবাদিকদের হয়রানি করা ও ভয়ভীতি দেখানো এবং দূর্নীতির খবর প্রকাশে বাধা দেয়া। এতে করে অবাধ ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। আমরা অবিলম্বে এই বিতর্কিত আইন বাতিল ও গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি চাই।

জানা যায়, ‘রাবির আবাসিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে হলে সিট বাণিজ্যের অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের জেরে ২০১৫ সালে ২৪ অক্টোবর যুগান্তরসহ ১৬টি পত্রিকার বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা দায়ের করেন রাবির শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের তৎকালীন আবাসিক শিক্ষক ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কাজী জাহিদুর রহমান। ওই মামলায় গত ১৩ নভেম্বর মানিক রায়হান বাপ্পিকে পুলিশ গ্রেফতার করে পরদিন ১৪ নভেম্বর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ