পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভাসানচরে একলাখ রোহিঙ্গা স্থানান্তরের দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি। এনজিও ও বিদেশি শক্তিদের চাপে এই স্থানান্তর প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। রোববার বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রায় একলাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই যেতে ইচ্ছুক। দিনক্ষন এখনো ঠিক না হলেও শুধুমাত্র এনজিও ও ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সির চাপে এই স্থানান্তর প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। রোহিঙ্গারা বর্তমানে যে জায়গায় রয়েছে সেই জায়গাটির পরিমাণ ৬ হাজার ৮০০ একর। পাহাড় ও টিলায় ঘরে হলেও জায়াগাটি অনেক কনজাসটেড। কিন্তু সমস্যা হলো অতিবৃষ্টি হলে যেকোনো সময় ধসে রোহিঙ্গা মারা যেতে পারে। তখন সবাই আমাদের দোষ দিবেন। আর বর্তমানে যেখানে আছে বেশিরভাগ মাদক, মানবপাচারসহ নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত তারা।
মন্ত্রী বলেন, ভাসানচর অনেক সুন্দর জায়গা। আমার তো ইচ্ছা সেখানে রিসোর্ট করা। ভাসানচরে গেলে রোহিঙ্গারা ইকোনমিক অ্যাকটিভিজ করতে পারবে, কৃষি কাজ করতে পারবে, গরু-ছাগল পালন করতেও পারবে। দিনক্ষণ ঠিক না হলেও আমরা রোহিঙ্গাদের সেখানে স্থানান্তর করার চেষ্টা করছি।
আমেরিকার নতুন সরকারের সাথে ক‚টনৈতিক সম্পর্ক আরো উন্নত হবে বলে আশা প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা আমাদের কাছ থেকে যে জিনিসগুলো নেয় তাতে এক্সাট্রা আরো ১৫. ৬ শতাংশ ট্যারিফ দিতে হয়। গরীব দেশ হওয়া সত্তে¡ও আমরা পৃধিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ট্যারিফ দিই। আর আমেরিকা ফ্রান্স থেকে যে জিনিস কিনে তার ট্যারিফ দিতে হয় মাত্র ০.৫ শতাংশ। অর্থাৎ আমরা ফ্রান্সের চেয়ে ৩৩ গুণ বেশি শুল্ক দিতে হয়। আমেরিকার নতুন সরকারের কাছে পণ্য রফতানিতে ট্যারিফ কমানোর দাবি থাকবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, নতুন যে আমেরিকা সরকার আসছেন তারা অত্যন্ত সলিড ও ম্যাচিউরড রাজনীতিবিদ। তাদের সাথে আমরা আগেও কাজ করেছি। তারা হিউম্যান রাইটস ইস্যুতে খুব সোচ্চার। আর রোহিঙ্গা ইস্যুতে হিউম্যান রাইটস ভায়োলেট হয়েছে। সেক্ষেত্রে মনে করি, আমরা আমেরিকার কাছে শক্তিশালী অবস্থান পাবো। তাছাড়া আমাদের একটা বড় ইস্যু ক্লাইমেট চেঞ্জ। ক্লাইমেট চেঞ্জ বিষয়েও এই বাইডেন সরকারের কাছে আমরা যথেষ্ট সহায়তা পাবো। পরে মন্ত্রী রাজশাহী কলেজ মিলনায়তনে শিক্ষক-কর্মচারিদের সাথে মতবিনিময় করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।