বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দুর্মূল্যের বাজারে নতুন পেঁয়াজ উঁকি দিতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই কলিসহ নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজকলি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। কলিসহ পেঁয়াজের এই মূল্য বেশি হলেও, গতবারের চেয়ে অনেক কম। গতবার প্রথমে এক কেজি পেঁয়াজকলি বিক্রি হয়েছে দেড়শ’ টাকা দরে।
কলিসহ পেঁয়াজের দাম গতবারের চেয়ে কম হওয়ার কারণ সম্পর্কে দোকানিরা জানিয়েছে, গতবছর পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে এ বছর বিদেশ থেকে প্রচুর পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তার ওপর পেঁয়াজ সিন্ডিকেট তাদের মজুদকৃত দেশি পেঁয়াজ বাজারে ছেড়ে দেয়ায় এখন বাজারে কোনো ঘাটতি নেই। দেশি-বিদেশি মিলিয়ে বাজারে এখন পেঁয়াজ ভরপুর। দেশি পেঁয়াজের দাম এখনো ততটা না কমলেও বিদেশ থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ অপেক্ষাকৃত কম দামে বিক্রি হচ্ছে। মিশর থেকে আমদানিকৃত বড় আকৃতির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় পেঁয়াজ।
খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছে, পেঁয়াজের দাম আস্তে আস্তে কমে আসছে। নতুন পেঁয়াজকলি বাজারে আসায় দাম আরো অনেক কমে যাবে। শিগগিরই বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসবে। তখন পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসবে। ক্রেতারা জানিয়েছেন, আশ্বিন-কার্তিক মাস এলেই পেঁয়াজের মজুদ ব্যবসা শুরু হয়। দেশি পেঁয়াজ মজুদ করে দেশে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করা হয়। তখন সরকার বাধ্য হয়ে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়। এই সুযোগে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে মসলা সিন্ডিকেট কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করে। গত দুই বছর ধরে তারা ভাদ্র মাস থেকেই মজুদ ব্যবসা শুরু করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।