মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্যারিস হামলার পাঁচ বছর পূর্তিতে রোববার সন্ত্রাস দমন নিয়ে আলোচনায় বসেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রীরা। সেখানে তারা নতুন পরিকল্পনা গ্রহণে একমত হন এবং এ বিষয়ে একটি যুগ্মবিবৃতি প্রকাশ করেন। পাঁচ বছর আগে এ দিনেই ইসলামিক স্টেটের সাথে সংশ্লিষ্ট বন্দুকধারীদের হামলায় ১৩০ জন নিহত হন। আর আহত হন ছয়শোরও বেশি মানুষ।
যদিও কথা ছিল ইইউ’র সার্বিক অভিবাসনও রাজনৈতিক আশ্রয়নীতি নিয়েই আলোচনা করবেন তারা, কিন্তু কথায় কথায় আলোচনার মোড় ঘুরে যায়। উঠে আসে ইউরোপে সশস্ত্র ইসলামিস্ট গোষ্ঠীদের নিয়ন্ত্রণের প্রসঙ্গ। বিবৃতিতে মন্ত্রীরা বলেন, ‘আমাদের ক্ষমতার সবটুকু ব্যবহার করে এই নৃশংস সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা একসাথে লড়ব।’ জোর দেয়া হয় ইন্টারনেটে ইসলামিস্টদের প্রোপাগাণ্ডা নজরদারি, সীমান্তে কড়াকড়ি বাড়ানো ও তথ্য ভাগাভাগি করে নেয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে। জার্মান অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী হর্স্ট জেহোফার এ বিবৃতিকে আশার আলো হিসাবে দেখছেন। তার মতে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্যরাষ্ট্ররা একজোট হলে ইউরোপ ‘সুপার পাওয়ার’ হতে পারবে।
মন্ত্রীরা যে কয়টি পরিকল্পনার কথা বলেছেন, তার কয়েকটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ব্যক্তিগত অনলাইন কথোপকথনে কর্তৃপক্ষের নজরদারির বিষয়টি। জার্মান মন্ত্রী জেহোফার নিরাপত্তার খাতির এই ধরনের নজরদারিতে সায় দিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে জানা গেছে যে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্যরাষ্ট্রগুলি ইতিমধ্যে হোয়াটস্যাপের মতো চ্যাটিং অ্যাপগুলির ওপর নজরদারি বাড়াতে চাইছে। কিন্তু এই চিন্তার বিরোধিতাও এর মধ্যে দেখা গেছে জার্মান রাজনৈতিক মহলে। জার্মান পাইরেট পার্টির প্যাট্রিক ব্রেয়ার, যিনি ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য, বলেন, ‘কয়েকজন যারা এই প্রযুক্তির অপব্যবহার করছে, তাদের জন্য যারা প্রযুক্তির অপব্যবহার করছেন না, তাদেরও এই প্রযুক্তি থেকে আমরা বঞ্চিত করব কি না, সেটা ঠিক করতে হবে। নাকি আমরা বলব যে নিরাপদ কথোপকথনই আমাদের সমাজের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ জেহোফারের যুক্তি, ‘কোনো সন্ত্রাসী হামলার পরেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা, প্রশাসন ও রাজনীতিকদের সমালোচনা দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়। কিন্তু বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে হামলা ঠেকাতে যথাযথ ক্ষমতা দেয়া হয় না।’
এই বৈঠকে জেহোফার ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ক ইউরোপিয়ান কমিশনার ইলভা জোহানসন যদিও জোর দিয়ে বলেছেন যে, অভিবাসন ও সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে আলাদাভাবে চিন্তা করা উচিত, বিবৃতিতে ধরা পড়ছে একটু ভিন্ন মত। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের আধুনিক, বহুত্ববাদী ও উন্মুক্ত সমাজকে সংহত রাখতে সাম্যের প্রয়োজন। পাশাপাশি, সবাইকে এই ধারণার সাথে একাত্মবোধ করতে হবে। স্বচ্ছ অর্থায়নের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতীয়, নাগরিক ও ধর্মীয় সংস্থার বিরূপ প্রভাব সীমিত করতে হবে।’ কিন্তু ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের আরেক সদস্য, গ্রিন পার্টির এরিক মারকার্ডট এবিষয়ে সতর্ক করেন। তিনি মনে করেন, যে এবছর ভিয়েনায় ও ২০১৫ সালের প্যারিসের হামলায় অভিযুক্তরা ছিল ইইউ নাগরিক। ফলে, সন্ত্রাসবাদকে শুধু অভিবাসনের সাথে যুক্ত করতে বারণ করেন তিনি। তার মতে, ‘ইসলামিস্ট ব়্যাডিকালাইডেশন একটি ইউরোপিয়ান সমস্যা। এই সমস্যাকে এখান থেকে কোথাও ফিরিয়ে দেয়া যাবে না।’ তবে, এই সমস্যা মোকাবিলায় ‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নজরদারি ও অপরাধীকে শনাক্ত করবার পন্থাগুলো অব্যবহৃত থেকে যায়' বলেও জানান মারকার্ডট। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।