পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বায়ুদূষণের মাত্রা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আজ থেকে টানা ৬ দিন বায়ুর মান আরও খারাপ থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইকিউ এয়ার। আর বায়ুদূষণ যে পর্যায়ে যাচ্ছে তাতে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল আইকিউ এয়ারের তথ্য মতে, গত চার দিন দেশে বায়ুদূষণের গড় হার ১০১ থেকে ১৫০ পিএম এর মধ্যে ছিল। যা ‘আনহেলদি ফর সেনসেটিভ গ্রুপস’ ক্যাটাগরির দূষণ। এই দূষণ শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগে ভোগা ব্যক্তিদের জন্য ক্ষতিকর। এ মাত্রার দূষণে শিশু, বৃদ্ধ ও শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগে ভোগা ব্যক্তিদের বাইরের বের না হওয়ার পরামর্শ থাকে। এ ছাড়া এ বায়ুদূষণে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিরও আশঙ্কা রয়েছে।
আইকিউ এয়ারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ থেকে আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে বায়ুদূষণের গড় হার বেড়ে ১৫১ থেকে ২০০ পিএম (২.৫) হতে পারে। যা ‘আনহেলদি’ ক্যাটাগরির দূষণ। এই মাত্রার দূষণে যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। বিশেষ করে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগে ভোগা ব্যক্তিদের এ অবস্থায় করোনার ঝুঁকি খুবই বেশি। বৃদ্ধ, শিশু, শ্বাস-প্রশ্বাসে রোগে ভোগা ব্যক্তিসহ সবাইকে বাড়ির বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
গতকাল দেশের বায়ু মানের পূর্বাভাস তুলে ধরে আইকিউ এয়ার বলেছে, এ সময় ঢাকায় গড় বায়ুদূষণের পরিমাণ ১১৬ পিএম, যা অস্বাস্থ্যকর। এ সময়ের ঢাকা মহানগরীর দূষণের চিত্র তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ঢাকা নগরীর বিভিন্ন স্থানে বায়ুদূষণের গড় ১১৫ থেকে ১২৫ পিএম এর মধ্যে।
রাজধানী ঢাকা আবার বিশ্বে বায়ুদূষণের শিকার শহরগুলোর শীর্ষ তালিকায় যাচ্ছে। ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হচ্ছে ধুলা। অপরিকল্পিতভাবে শহরের যেখানে-সেখানে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও উন্নয়ন কাজের জন্য রাজধানীর বাতাসে ছড়াচ্ছে ধুলা। আর তাতে বিষাক্ত হচ্ছে রাজধানীর বাতাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত চার কারণে রাজধানীবাসী বায়ুদূষণের শিকার হচ্ছে। এর মধ্যে ধুলাদূষণ হলো অন্যতম প্রধান কারণ। দ্বিতীয়ত, পুরোনো যানবাহনের আধিক্য ও এসবের কালো ধোঁয়া। তৃতীয়ত, শহরের আশপাশের শিল্প-কলকারখানার দ‚ষণ। চতুর্থত, শহরের ভেতরে যে ময়লা-আবর্জনা জমে সেগুলো পোড়ানোর ধোঁয়া। পরিবেশ অধিদপ্তর যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় এই পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন ঘটছে না।
পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার অবস্থান প্রথম দিকেই। রাজধানী ঢাকায় দেড় কোটিরও বেশি মানুষের বসবাস। পরিবেশবিদরা বলছেন, অন্য দেশগুলো তাদের বড় শহরগুলোর বায়ুদূষণ রোধে যেখানে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, সেখানে ঢাকা অনেকটাই ব্যর্থ। ধুলাদূষণ রোধে সকাল বিকাল পানি ছিটানো এবং নির্মাণ কাজের স্থান ঢেকে রাখার জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকার পরও পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। শহরের মধ্যে উন্নয়নকাজের ফলে সৃষ্ট ধুলাদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না দুই সিটি করপোরেশন। দূষণের আরেক বড় উৎস ঢাকার বর্জ্য, আর এ বর্জ্য ব্যবস্থাপনারও আধুনিকায়ন করতে পারেনি দুই সিটি করপোরেশন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরিফ জামিল বলেন, রাজধানীতে বায়ুদূষণের মাত্রা আবার ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। উন্নয়নের নামে যেখানে সেখানে খোঁড়াখুঁড়ির ফলে ধুলায় ধূসর হচ্ছে ঢাকার বাতাস। উচ্চ আদালত ধুলার স্থানে দু’বেলা পানি ছিটাতে বললেও এটা কার্যকর হচ্ছে না। এ ছাড়া ঢাকায় অসংখ্য পুরোনো আনফিট গাড়ি চলাচল করছে। এসব গাড়ি থেকে বের হচ্ছে কালো ধোঁয়া। মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরোনো গাড়ির কালো ধোঁয়ায়ও ঢাকার বায়ুদূষিত হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।