নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সুপার সাব মাহবুবুর রহমান সুফিল! জেদই মাঠে তাকে সাফল্য এনে দিয়েছে। শুক্রবার মুজিববর্ষ ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল সিরিজের প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে চোখ জুড়ানো এক গোল করে সেটা প্রমাণও করেছেন জাতীয় দলের তরুণ এই ফরোয়ার্ড। সুমন রেজার বদলি হিসেবে মাঠে নেমে বাজিমাত করেন সুফিল। এদিন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৮০ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে মিডফিল্ডার সোহেল রানার বাড়ানো বল ধরে বাঁমপ্রান্ত দিয়ে একক নেপালের বক্সে ঢুকে পড়েন সুফিল। এসময় প্রতিপক্ষ দলের দুই ডিফেন্ডার পাশে থেকেও রুখতে পারেননি তাকে। কোন ভুল করেননি বাংলাদেশের বদলি এই ফরোয়ার্ড, কোনাকুনি শটে বল পাঠিয়ে দেন জালে। উল্লাসে ফেটে পড়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে গ্যালারিপূর্ণ দর্শকরা। এমন দৃষ্টিনন্দন গোল ঢাকার মাঠে কমই দেখা যায়। তাছাড়া লাল-সবুজ জার্সিতে কবে এমন গোল এসেছে, তা স্মৃতি হাতরে বের করাও কঠিন। অথচ এই সুফিলকেই জাতীয় দলের মতো ঘরোয়া লিগে সাইড লাইনে বসে থাকতে হয়। ২০১৮-১৯ মৌসুমে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে ১৩ ম্যাচের ৫টিতে মাঠে নেমেছিলেন বদলি হিসেবেই। করোনাভাইরাসের থাবায় বাতিল হওয়া গত ২০১৯-২০ মৌসুমের লিগেও চার ম্যাচের সবগুলোতেই ছিলেন বদলি। গত দুই লিগে পাননি গোলের দেখা!
বদলি হিসেবেই ২০১৮ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল সুফিলের। লাল-সবুজ জার্সি গায়ে অভিষেক ম্যাচেই গোল পেয়েছিলেন ২১ বছর বয়সি এই ফরোয়ার্ড। লাওসের বিপক্ষে ওই প্রীতি ম্যাচে তার গোলেই ১-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল জাতীয় দল। ওই বছর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানের বিপক্ষে পান দ্বিতীয় গোল। দুই বছরেরও বেশি সময় পর নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে এসে পেলেন তৃতীয় গোলের দেখা। এবং সেটা যথারীতি বদলি হিসেবে মাঠে নেমে। নিয়মিত সেরা একাদশে সুযোগ না পাওয়ার জেদটা সুফিল পুষে রেখেছিলেন হয়তো নেপাল ম্যাচের জন্যই। তাই তো বদলি হিসেবে মাঠে নেমে যতটুকু সময় পেয়েছেন নিজেকে উজার করে দিয়েছেন। সব জেদ ঢেলে দিয়েছেন নেপাল ম্যাচেই।
শনিবার সুফিল বলেন,‘আমি ঘরোয়া আসরে নিজ দল বসুন্ধরা কিংসে নিয়মিত সেরা একাদশে সুযোগ পাইনা। দলে একঝাঁক তারকা খেলোয়াড় থাকায় বেশিরভাগ সময় ম্যাচে খেলা হয় না। বসুন্ধরা কিংসে নিয়মিত হতে আমাকে লড়াই করতে হচ্ছে। তবে আমার মধ্যে জেদটা বেশি। জেদ চেপেছে আমাকে খেলতে হবে। আর খেলার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। সেটাই করে যাচ্ছি।’
তিনি জানান, জাতীয় দলের কোচ জেমি ডে এবং বসুন্ধরা কিংসের কোচ অস্কার ব্রুজেন তার খেলার প্রশংসা করলেও সুযোগ হচ্ছেনা সেরা একাদশে থাকার। তবে তিনি আশাবাদী। নেপালের বিপক্ষে গোল নিয়ে সুফিল বলেন,‘জেদ নিয়েই বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলাম। লক্ষ্য ছিল কিছু একটা করে দেখাবো। সুযোগও পেয়ে গেলাম। বল নিয়ে নেপালের সীমানায় যখন ঢুকছি, তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। দূরের পোস্ট খালি ছিল। গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে বল জালে ফেলব। নিজের চিন্তা শতভাগ কাজে লাগিয়েছি। বলা যায় জেদই আমাকে সাফল্য এনে দিয়েছে। গোল করার পর জেমি ডে শুভকামনা জানিয়েছেন, যেমন খেলছি তা ধরে রাখতে বলেছেন। অনেক দিন পর গোল পেয়েছি। অস্কার ব্রুজেনও অভিনন্দন জানিয়েছেন। বলেছেন, গোলটা ভালো হয়েছে। এটা ধরে রাখতে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে আমাকে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।