রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা
ত্রিশালে বালিপাড়া ইউনিয়নে বিয়ারা গ্রামের নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দিলে রাজি না হওয়ায় বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় বাড়ীঘর ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় ত্রিশাল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকার কারণে ছাত্রীসহ পরিবারের লোকজনকে আতঙ্কে পালিয়ে জীবন যাপন করছে। এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, বালিপাড়া বাজারে জয়মনি স্কুলের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে পার্শ্ববর্তী গ্রাম আমিয়ানডাঙ্গরী এলাকার ছাইদুল ইসলামের ছেলে মাহাবুব (৩০) স্কুলে আসা যাওয়ার পথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাবসহ নানা ধরনের কু-প্রস্তাব দিয়ে উত্তক্ত করে আসছিল। তার উত্তেক্ততার কারনে গত দুই মাস ধরে স্কুলে যেতে পারছেনা ছাত্রীটি। মাহাবুব এর আগে আরো দুটি বিয়ে করেছে। তার একটি কণ্যা সন্তানও রয়েছে। মাহাবুবের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে যাবে বলে তার পরিবারের লোকজনদের হুমকি দেয়। এ প্রেক্ষিতে গত ২৯ জুন রাতে মাহাবুব সহ আরো ৮/১০ জন মিলে অতর্কৃতভাবে ওই ছাত্রীর বাড়ীতে হামলা চালায় এবং জোরপূর্বক তাকে ঘর থেকে বের করে প্রকাশ্যে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় বাড়ীতে থাকা লোকজন বাধা দিলে এবং চিৎকার করলে তাদেরকেও মারপিঠ করে। এসময় তারা বাড়ীঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। পরে তাদের চিৎকারে আসপাশের লোকজন ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ত্রিশাল থানায় ওই ছাত্রীর বড় বোন মোছাঃ জাহানারা বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ১৫ দিন অতিক্রম হওয়ার পরেও মামলার মূল আসামি মাহাবুবকে গ্রেফতার করতে পারেনি ত্রিশাল থানার পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে মামলার প্রাধান আসামি মাহাবুব প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে এবং তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। স্কুল ছাত্রীর মা মোছাঃ সাজেদা বেগম জানান, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর আমার এতিম সন্তানদের নিয়ে খুব কষ্টে দিন যাপন করছি। বখাটে মাহাবুব এর আগে আরো দুটি বিয়ে করেছে। এখন আমার মেয়েকে বিয়ে করার জন্য উঠে পরে লেগেছে। তার বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমার মেয়েকে জোরপূর্বক তুলে নিতে চেয়েছিল। তার উৎপাতের কারনে প্রায় দুইমাস ধরে স্কুলে যেতে পারছে না। মামলা করায় আমাদেরকে আরো বেশি ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। মামলার বাদি মোছাঃ জাহানারা জানান, মামলা করেলেও পুলিশ মূল আসামি মাহাবুবকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করেনি। মামলার পর মাহাবুব ও তার সঙ্গিদের অত্যাচার হুমকি-ধামকিতে আমরা আরো আতঙ্কিত হয়ে পরেছি। যার ফলে বর্তমানে আমার বোনকে বাড়ী ছেড়ে অনত্র লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে। পুলিশের তেমন কোন সহযোগিতা পাচ্ছিনা আসামি প্রকাশ্যে ঘুরলেও পুলিশকে খবর দিলে তারা ধরতে আসছেনা। এ বিষয়ে ত্রিশাল থানার এসআই মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা জুবায়দুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে এই মামলার যে আয়ু এই কথা মনে করতে পারেননি। পরে বিস্তারিত অবগত করলে তিনি জানান আসামীদের ধরার চেষ্ঠা চলছে। অপরদিকে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যেহেতু নারী নির্যাতনের বিষয়ে ঘটনার মামলা অবস্যই বিষয়টিকে আজকের পর থেকে গুরুত্ব সহকারে দেখব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।