বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হাইকোর্টের নির্দেশে সিএস জরিপ অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শীতলক্ষ্যা নদীতে নতুন সীমানা পিলার স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হলেও বিভিন্ন স্থানে নদীর তীরে পিলার স্থাপনে বাধা দেওয়ার গুরুত্বর অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন প্রতিনিয়ত দলবল সহকারে জোটবদ্ধ হয়ে সীমানা পিলার স্থাপন করতে বাধা দিচ্ছে। বেশ কিছু স্থানে বিআইডব্লিউটিএ একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করলেও ভ্রাম্যমান আদালত চলে গেলেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজনের উপর চড়াও হচ্ছে প্রভাবশালীদের লোকজন। এমনকি নারায়ণগঞ্জ রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় স্থাপিত নতুন সীমানা পিলার ভেঙ্গে লোহার রড কেটে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার মতো গুরুত্বর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারীতে নদীকে জীবন্ত সত্বা ঘোষণা করে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এরপর গত বছরে শীতলক্ষ্যা নদীতে সহ¯্রাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শেষে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে হাইকোর্টের নির্দেশে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) পদ্ধতিতে সিএস জরিপ মোতাবেক শীতলক্ষ্যা ও ধলেশ^রী নদীর উভয়তীরে ২ হাজার ৪০০ টি নতুন সীমানা পিলার স্থাপন করার কাজ শুরু হয়। ১০০ ফুট পরপর সীমানা পিলার স্থাপন করা হচ্ছে। এই সীমানা পিলার পাইলিং এর মাধ্যমে স্থাপন করা হচ্ছে। উচ্চতায় ১০ ফুট এবং বেস হচ্ছে ৫ ফুট বাই ৫ ফুট। যাতে কেউ ইচ্ছে করলেই সীমানা পিলার উঠিয়ে নিতে না পারে।
তবে শীতলক্ষ্যায় সীমানা পিলার স্থাপন কার্যক্রম শুরু হতে না হতেই বিভিন্ন স্থানে সীমানা পিলার স্থাপনে বাধা দেওয়া ও ভেঙ্গে ফেলার মতো গুরুত্বর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
গত ৫ অক্টোবর শীতলক্ষ্যার পশ্চিম তীরে নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ১১ টি সীমানা পিলার স্থাপনে রেলওয়ের (জিআরপি) পুলিশ বাধা দিলে বিআইডব্লিউটিএ ও রেলওয়ের পুলিশের মধ্যে বাকবিতন্ডায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ৬ অক্টোবর নতুন সীমানা পিলার স্থাপনের কার্যক্রমে বাধা দিতে গিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র একটি মসজিদের মেহরাব (মিম্বার) ভাঙ্গার অভিযোগ উঠে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এসময় বেশ কিছু গাছ ভেঙ্গে ফেলাসহ একটি সীমানা পিলারের জন্য খননকৃত গর্ত ভরাট করে ফেলা হয়। পরে রেলওয়ের লোকজন মুসুল্লীদের তোপে পড়েন। পরে বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মাহবুব জামিল, বিআইডব্লিউটিএ'র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল, উপ পরিচালক মোবারক হোসেন, সহকারী পরিচালক এহতেশামুল পারভেজ, নূর হোসেন, প্রকৌশলী হাবিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, কোস্টগার্ড, পুলিশ, নৌ পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে রেলওয়ের লোকজন ওই ১১টি সীমানা পিলারের বেশ কিছু পিলার ভেঙ্গে রডও কেটে পিলারগুলো ধ্বংস করে দিয়েছেন বলে গুরুত্বর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ'র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল জানান, নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনের পাশে আমাদের জমি জমিই দখল করে নেয়ার পায়তারা করছে রেলওয়ে। তারা একাধিকবার সীমানা পিলার স্থাপনে বাধা দেয়। এমনকি তারা একটি মসজিদের মেহরাবও ভেঙ্গে ফেলে। পরে সকল বাধা উপেক্ষা করে আমরা গত অক্টোবর মাসে ১১টি নতুন সীমানা পিলার স্থাপন করেছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি তারা ওই নতুন ১১টি সীমানা পিলারের বেশ কিছু পিলারের ভেঙ্গে রড কেটে ওই স্থানটি মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। এটা হাইকোর্টের আদেশের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমরা এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছি এবং শীঘ্রই হাইকোর্টকে এ বিষয়ে অবহিত করবো।
এ বিষয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ মিটারগেজ রেললাইন সমান্তরাল ডুয়েলগেজ প্রকল্পের জেডিজি (ইঞ্জিনিয়ারিং) মো. আফজাল হোসেনের মুঠোফোনে (০১৭১১৫০৬১১৩) একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।