Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহেশপুর পৌর সভার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় নতুন সংযোগ দেওয়া বন্ধ

সোয়া ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট চালু না হওয়াই পৌর বাসী সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত

মহেশপুর উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০২০, ১২:১২ পিএম

মহেশপুর পৌর সভার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় সোয়া ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে না।ফলে সাড়ে ৩৫হাজার পৌরবাসী আয়রন ও আর্সেনিক মুক্ত সুপেয় পানির অভাবে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়বে।

জনস্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানা গেছে, মহেশপুর পৌর এলাকার ৯৬% ট্উিবওয়েলের পানিতে আর্সেনিক কের মাত্রা বেশী।দীঘ দিন এ পানি পান করলে মারাত্মক রোগ ব্যাধি দেখা দিতে পারে।

পৌর সভার সাপ্লাই পানিতে অতিমাত্রায় আয়রন থাকায় পানি পানের অযৌগ্য হয়ে পড়েছে।ফলে পৌর সভা সমূহে পাইপ লাইনের মাধ্যমে (২য়পর্ব) প্রকল্পের আওতায় মহেশপুর শহরে সুপেয় পানি সরবরাহের লক্ষ্যে আর্সেনিক ও আয়রন রিমুভাল প্লান্ট স্থাপনের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহন করা হয়।

প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৪,২৯,৬৪,৭৭৫ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।কাজ শুরু করার জন্য ৬জুন ২০১৭ তারিখে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়।
জন স্বাসস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৈৗশলী মোঃ হাছানুজ্জামান জানান, কার্যাদেশ পেয়ে চট্রগ্রামের ঠিকাদার মোঃ ইউনুছ এন্ড ব্রাদার্স (প্রাঃ)লিঃ কাজ শুরু করেন।

ঠিকাদার ইতি মধ্যে ২৫কিলোমিটার পাইপলাইন,তিনটি পাম্প হাউজ ও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের কাজ শেষ করেছেন।প্রকল্পের ৯৫% কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন বিদ্যুৎ সংযোগ পেলে অবশিষ্ট কাজ শেষ হবে।নিয়ম অনুযায়ী ইতিমধ্যে ঠিকাদারকে ৮০% বিল প্রদান করা হয়েছে।
বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় ওয়েষ্ট পাওয়ার জোন ডিস্টিবিউশন কেম্পানী মহেশপুর পৌর সভার সব ধরনের নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান থেকে বিরত রয়েছে। ফলে তিনটি পাম্প হাউজ ও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছেনা। বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ার কারনে ঠিকাদার বিদ্যুৎ সংক্রান্ত অবশিষ্ট কাজ শেষ করে ট্রিটমেন্ট প্লান্ট পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করতে পারছে না বলে সংশ্লীষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানীর মহেশপুর অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী সেকেন্দার হাসান জাহাঙ্গীর জানান, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ও পাম্প হাউজে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার জন্য মহেশপুর পৌর সভা থেকে আবেদন করা হয়েছে।কিন্তু পৌর সভার নিকট প্রায় ২কোটি ৫লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে। এত বিপুল অংকের টাকা বকেয়া রেখে কোন ধরনের সংযোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।ফলে বিল পরিশোধ অথবা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ না পেলে মহেশপুর পৌর সভায় নতুন করে সংযোগ প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।

মহেশপুর পৌর সভার মেয়র আব্দুর রশিদ খাঁন বলেন,পৌর সভার পূর্বের চেয়ারম্যান ও মেয়র কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল না দিয়ে বকেয়া রেখে গেছেন। আমি সাধ্যমত পূর্বের বকেয়া পরিশোধ ও চলমান বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু পৌর ফান্ডে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় বকেয়া সহ বিদ্যুৎ বিল পুরোপুরি পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য মন্ত্রনালয়ে এককালিন অর্থ বরাদ্দের জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে।তিনি আরো বলেন বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার জন্য ৩টি পাম্প হাউজ ও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে নতুন সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না। ফলে সোয়া ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত প্রকল্পের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।তা ছাড়া ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট চালু না হলে পৌর সভার সাড়ে ৩৫হাজার মানুষ আর্সেনিক ও আয়রন মুক্ত পানির অভাবে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়বে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ