পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ধরা পড়েছে রায়হান হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত এস আই আকবর। আকবর গ্রেফতারে ঘাম ঝরিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো, একই সাথে গ্রেফতার দাবিতে তপ্ত হয়েছে সিলেটের রাজপথ। কিন্ত গ্রেফতার নিয়ে বর্তমানে প্রশ্নের ডাল ছড়াচ্ছে কে ধরেছে আকবরকে। সেই প্রশ্নে তোলপাড় চলছে সিলেট জুড়ে।
যদিও রায়হানের মা সালমা বেগম বলেছেন, আকবরকে পুলিশ অটক করেনি তাকে আটক করেছে সাধারণ মানুষ। সন্তানহারা মায়ের আকুতি বুঝতে পেরেই তারা আমার ছেলের খুনিকে আটক করেছেন। এতোদিন পর হলেও আকবর গ্রেফতার হওয়ার আমার মন কিছুটা শান্তি পেয়েছে। আকবর গ্রেফতারের পর এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।
অপরদিকে, আকবরকে ধরে নিয়ে আসা রহিম উদ্দিনকে নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী রহিম উদ্দিন মূলত পুলিশের লোক। স্থান কাল পাত্র ভেদে আকবরকে ধরতে সে সময় রহিম উদ্দিনের ভরসা করেছিল পুলিশ। আকবরকে ধরতে পুলিশের নির্ঘুম পরিশ্রম ও অর্জন বিব্রত অবস্থায় পড়েছে কৃতিত্বের ভাগ নিয়ে। আকবরকে ধরার পর রহিম উদ্দিন ফোনে অপরপ্রান্তে কোনো একজনকে বলেছিলেন, ওসি স্যাররে কও আমি পাইছি, আমি লগে লগে আছি ওখন। এই বার্তার উপলব্ধিতে অনুমেয়, এমনিতেই রহিম উদ্দিন যায়নি আকবরের কাছে। এদিকে রহিম উদ্দিনও আকবর গ্রেফতার নিয়ে দায়িত্বশীল আচরণের বিপরীতে প্রশ্নবিদ্ধ কথা বলছে বিভিন্ন মাধ্যমে। নিজের সীমাবদ্ধতাসহ প্রকৃত ঘটনাকে চাপিয়ে রেখে নায়ক হওয়ার রহস্যজনক ইচ্ছা প্রতীয়মান হচ্ছে তার মধ্যে। এতে করে বিতর্কের ঢালপালা বিস্তৃতই হচ্ছে। তবে, আকবর নিয়ে পুলিশের সাথে যোগাযোগ পূর্ব থেকে রয়েছে এমন তথ্য ও চিত্র ঘুরছে সামাজিক মাধ্যমে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আকবর গ্রেফতার ইস্যুটি পুলিশের জন্য ছিল বিশাল এক মিশন। পুলিশের আইজিপি সিলেট সফরে আসার কথা থাকলেও আকবর গ্রেফতার বিলম্বে এতে ভাটা পড়ে। তার সফরে বাধা ছিল আকবর গ্রেফতার। সেকারণে সিলেট পুলিশের প্রধান কাজ হয়ে যায় আকবর গ্রেফতারের সফলতা। কিন্তু সেই সফলতা বাস্তবিক অর্থে কতটা অসম্ভব ছিল তা প্রকাশ হয়েছে গ্রেফতারের বাস্তবিক চিত্রে। সেই অসাধ্য কাজ এখন সস্তা কৃতিত্বের বেড়াজালে পড়েছে।
তবে জেলা পুলিশের স্পষ্ট বক্তব্য পুলিশ কারো কৃতিত্ব ছিনতাই করেনি। সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলছেন, গত সোমবার সকালে ভারতে পালানোর সময় কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে আকবরকে আটকের পর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে ভিন্ন দৃশ্য। এসব ভিডিওচিত্রে দেখা যায়- আকবর আটক হন ভারতীয় সীমান্তে। সেখানকার খাসিয়া আধিবাসীরা তাকে আটক করে। এরপর বাংলাদেশি এক ব্যক্তি তাকে দেশে এনে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এই ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে পড়ার পর আকবরকে গ্রেফতার বিষয়ে পুলিশের দাবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবিরাম চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
এনিয়ে সিলেটের পুলিশ সুপার বলছেন, যারা এমন সমালোচনা করছেন তারা পুলিশের অর্জন ও পরিশ্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। গত মঙ্গলবার নিজের ফেসবুকে আইডিতে এমনটি লেখেন সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন। ফেসবুকে একটি খবর শেয়ার করে এমনটি দাবি করেন পুলিশ সুপার।
পুলিশ সুপারের শেয়ার করা সংবাদটি রহিম উদ্দিনকে নিয়ে। কানাইঘাট এলাকার ওই বাসিন্দা ভারতে আটক হওয়া আকবরকে দেশে নিয়ে আসেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। সেই ঘটনারও একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। এই ভিডিওতে একপর্যায়ে রহিম উদ্দিনকে ফোনে বলতে শোনা যায়- ওসি স্যাররে কও আমি পাইছি, আমি লগে লগে আছি ওখন।
এ সংক্রান্ত সংবাদটি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন লেখেন- সিলেট জেলা পুলিশ কারো কৃতিত্ব ছিনতাই করেনি বরং অনেকেই আংশিক তথ্য জেনে আমাদের পরিশ্রম এবং অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন। একইদিনে এসপি সিলেট নামক ফেসবুক পেজ থেকে আকবর গ্রেফতার প্রসঙ্গে জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে একটি বক্তব্য প্রদান করা হয়।
এতে বলা হয়- আসামি গ্রেফতারের ক্ষেত্রে পুলিশ বিভিন্ন সময়ে বিশ্বস্ত সোর্স কিংবা মাধ্যম ব্যবহার করে থাকে যারা আসামির অবস্থান এবং চলাফেরা সম্পর্কে তথ্য দিয়ে থাকেন। এসআই আকবরের গ্রেফতারের ক্ষেত্রেও সিলেট জেলা পুলিশ একইভাবে একাধিক সোর্স এবং মাধ্যম ব্যবহার করেছে যারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে তার গ্রেপ্তারে সহায়তা করেছেন। কৌশলগত কারণে সোর্স এবং মাধ্যম সম্পর্কে কোন তথ্য জনসমুক্ষে প্রকাশ করা হয় না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।