বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নীলফামারীর সৈয়দপুরে বসতবাড়িতে থাকা পেঁয়ারা গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক কলহের জের ধরে সনু (৩৮) নামের একজন নিহত হয়েছে। গত শনিবার রাতে সৈয়দপুর শহরের গোলাহাট পুলিশ ফাঁড়ির পিছনের এলাকায় এ হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাজেদা বাদী হয়ে তার স্বামী সনুকে মাথায় ও মুখে ইট নিয়ে আঘাত করে হত্যার অভিযোগ এনে শ্বশুর ও দেবরসহ তিনজনকে আসামি করে স্থানীয় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় পুলিশ নিহত সনুর বাবা মো. ভলুকে (৬০) গত শনিবার রাতেই গ্রেফতার করেছে। গতকাল রোববার গ্রেফতার ভলুকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
জানা যায়, মো. ভলু তার তিন ছেলে সনু, কোরবান ওরফে চ্যাপ্টা, সুরুজ ও চাঁদকে নিয়ে একই বসতবাড়িতে বসবাস করেন। তাদের বসতবাড়ির পিছনে একটি পেঁয়ারা গাছ রয়েছে। গত শুক্রবার সনুর ছোট ভাই সুরুজ তাদের বাড়ির ল্যাট্রিনের পিছনে থাকা পেয়ারা গাছটি আকস্মিক কেটে ফেলে। আর এ পেঁয়ারা গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে সনু সঙ্গে তার বাবা ও ভাইদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়।
ওই পারিবাবিক কলহের জেরে গত শনিবার রাত আনুমানিক ৯টার সনুর সঙ্গে তার বাবা ও তিন ভাইয়ের সঙ্গে ঝগড়া বাঁধে। এরই এক পর্যায়ে তারা ইট দিয়ে সনুর মাথায় ও মুখে সজোরে আঘাত করেন। এতে সে মাথায় ও মুখে জখমপ্রাপ্ত হয়। পরে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাজেদা বাদি হয়ে তার শ্বশুর ও তিন দেবর কোরবান আলী ওরফে চ্যাপ্টা, সুরজ ও চাঁনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল হাসনাত খান বলেন, মামলার প্রধান আসামি ভলুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ মামলার এজাহারভ‚ক্ত অন্য আসামিদেরর গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।