বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনা ব্যুরো : খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) এসআই সোহেল রানাকে চাঁদাবাজির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। নারী দিয়ে দাকোপ উপজেলার সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে ফাঁদে ফেলে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির মামলায় সোমবার রাতে সোহেল রানাসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গতকাল বুধবার দুপুরে খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম সোহেল রানার সাময়িক বরখাস্তের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সদ্য সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা এস আই তাপস কুমার রায় জানান, গ্রেফতারকৃত অন্য চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হলে বুধবার আদালত বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তবে এস আই সোহেল রানা অসুস্থ হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভর্তি থাকায় তার রিমান্ডের আবেদন করা হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা দু’টি মামলা থানা থেকে মহানগর গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) স্থানান্তর করা হয়েছে।
রমজানের মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর নাফিউর রহমান জানান, খুলনা মহানগর হাকিম আয়শা আক্তার মৌসুমীর আদালত শুনানি শেষে গ্রেফতারকৃতদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরমধ্যে স্বপ্না আক্তার রুনা ও সীমার ৫ দিন করে, রাজু শেখের ৩ দিন এবং বিকাশ এজেন্ট মোঃ আব্দুল হামিদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অপরদিকে, প্রতারণার ফাঁদে পড়া রফিকুল ইসলামের দায়েরকৃত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ইন্সপেক্টর মোঃ মমতাজুল হক বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে এসআই সোহেল রানা ও রাজু শেখ তার মামলার আসামি। তাদের ওই মামলায় শ্যোন এ্যারেস্ট দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ আগস্ট খুলনার দাকোপ উপজেলার তিলডাঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ রমজান আলীকে গ্রেফতারকৃত স্বপ্না আক্তার রুনা বিপদে পড়ার কথা বলে কৌশলে ডেকে নেন। পরে নগরীর নিরালা আবাসিক এলাকার একটি বাড়ির একটি রুমে নিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে বের হয়ে যান স্বপ্না। কিছুক্ষণ পর সীমা, স্বপ্না, রাজু শেখ, মহিন আরা বেগম এবং নিরালা পুলিশ ফাঁড়ির আইসি (ইনচার্জ) এসআই সোহেল রানাসহ কয়েকজন ঘরে ঢুকে তাকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে সীমাকে নগ্ন করে তার পাশে দাঁড় করিয়ে এসআই সোহেল রানা নিজের মোবাইলে তা ভিডিও করেন। পরে এসআই সোহেল রানা পুলিশ কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কথা বলে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে রমজান আলীর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। না দিলে রেকর্ডকৃত ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখান। এ অবস্থায় রমজান আলী তার স্ত্রী’র মাধ্যমে এসআই সোহেল রানার নির্দেশনা অনুযায়ী খুলনা সদর থানা সংলগ্ন বিকাশ এজেন্ট আব্দুল হামিদের নম্বরে ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। আরও ১০ হাজার টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় ওইদিনই রমজান আলী বাদী হয়ে এসআই সোহেল রানাসহ ৯ জনকে আসামি করে খুলনা সদর থানায় চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
খুলনা মহানগরীর আপার যশোর রোডের এশিয়া স্টিল নামে স্টিল ফার্নিচারের মালিক রফিকুল ইসলামকেও ৫ আগস্ট একইভাবে ফাঁদে ফেলা হয়। তাকেও কৌশলে নিরালার ওই বাড়িতে ডেকে নিয়ে নারী দিয়ে ছবি তুলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। পরে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তিনিও সোমবার এসআই সোহেল রানাসহ ৬ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। দু’টি মামলায় এসআই সোহেল রানাসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।