রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আমিনুল হক, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে
পাহাড়, সমুদ্র ও ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্ত জনপদ মিরসরাই উপজেলার পাহাড়ের ঢালু এলাকাগুলোতে বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষের বসবাস। মীরসরাই উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ এই বিষয়ে দায়িত্ব সারলেও কার্যত কোন বাস্তব উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না। তাই চট্টগ্রামের বাটালী হিল ট্রাজেডির মতো কোন ঘটনার অবতারণার আশঙ্কা করছে পর্যবেক্ষক মহল। উপজেলার পাহাড়ি জনপদ এলাকা খৈয়াছরা, ওয়াহেদপুর, দুর্গাপুর ও রায়পুর এলাকায় এই প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। এসব এলাকার পাহাড়ি অঞ্চলের পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ ঢালুতে দিনে দিনে মানুষের বসবাস বিপদজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বিষয়ে প্রশাসনিক কোন উদ্যোগ না থাকায় এই ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস অনেকটা উৎসাহিতই হচ্ছে। গত ১৩ আগস্ট পর্যন্ত উপজেলার দুর্গাপুর, রায়পুর ও করেরহাট এলাকার অনেক স্থানে সরেজমিন দেখা যায় দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস। উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের বৃদ্ধ লোকমান আলীকে এভাবে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ের গায়ে কেন থাকছেন? কেউ কি নিষেধ করছেন না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, গরিব মানুষ কোথায় যাবো তাই এখানে থাকি। কিন্তু আপনাকে কি কেউ এভাবে থাকতে নিষেধ করে নাই জানতে চাইলে তিনি বলেন অনেকে বলেছে কিন্তু কোথায় যাবো? আবার দুর্গাপুর মহামায়া লেকের সম্মুখস্থ পাহাড়ের ঢালে অন্তত ৫০ পরিবার থাকছে। সেখানে ও বন বিভাগ নিষেধ করা সত্ত্বেও থাকছে বলে জানা যায়। সব মিলিয়ে করেরহাট, ওয়াহেদপুর ও খৈয়াছরাসহ পাহাড়ি অঞ্চলে অন্তত ১০ হাজার মানুষ পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ ঢালুতে বিপদজনকভাবে বসবাস করছে বলে জানা যায়। এমনিতেই চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাহাড়ের ঢালুতে বসবাসের কারণে বার বার মর্মান্তিক মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে যা সকলের জন্য বেদনাদায়ক। আবার গত কয়েক বছরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অনেক লোকের মৃত্যু হয় এই পাহাড় ধসে। আবার মীরসরাই উপজেলার করেরহাট এলাকায় রামগড় সড়কের পাশে সহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের মাটি ধসে কয়েক দফা কয়েক জনের মৃত্যু হয়। বাঙালি শত শত পরিবার ছাড়া ও ৯নং মীরসরাই, ১নং করেরহাট ও ওয়াহেদপুর এলাকায় হাজার হাজার উপজাতি জনগোষ্ঠী মানুষের ও ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস রয়েছে। উপজেলা ও জেলা প্রশাসন এই বিষয়ে উদ্যোগ না নিলে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের ট্রাজেডি। এই বিষয়ে করেরহাট বন বিভাগের এসিএফ মোহাম্মদ হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা সব সময় এই প্রবণতা রোধ করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু বার বার ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে সরে যেতে বললেও ওরা চলে যাবে বলে। তবে শীঘ্রই কার্যকর উদ্যোগ নিবেন বলে তিনি জানান। মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়া আহমেদ সুমন জানান, আমি এই বিষয়ে স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদ ও বন বিভাগের মাধ্যমে শীঘ্রই কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।