মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের নাম ঘোষণা এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। ফলাফল ঘোষণা না হলেও আগামী অন্তত ৪ বছরের জন্য যে হোয়াইট হাউস যে তার দখলেই থাকবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত বাইডেনও। ৪ রাজ্যের সাম্প্রতিক ফলাফলের গতিপ্রকৃতি দেখে বাইডেনের মন্তব্য, ‘আমরা অ্যারিজোনাতে জিতছি। নেভাদাতেও জিতছি। সেখানে লিড দ্বিগুণ হয়েছে।’ শুধুমাত্র ওই ৪ রাজ্যই নয়, বাইডেনের সদর্প ঘোষণা, ‘আমরা ৩০০-রও বেশি ইলেক্টোরাল কলেজের (ইভি) ভোট জয় করার পথে।’
শনিবার সকালেই বাইডেন ঘোষণা দেন, তারাই এই দৌড়ে জিতছেন। দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘আমার সহ-নাগরিকরা, জয়ের চূড়ান্ত ঘোষণা এখনও হয়নি বটে। তবে সংখ্যা স্পষ্ট এবং বিশ্বাসযোগ্য কথা বলছে। আমরাই এই দৌড়ে জিতছি।’ তিনি বলেন, ‘এই দৌড়ে আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাব। কারণ গোটা দেশ ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে রয়েছে।’ জেতার ব্যাপারে বাইডেনের আত্মবিশ্বাসের যথেষ্ট কারণও রয়েছে। পেনসিলভেনিয়ায় ট্রাম্পের থেকে ব্যবধান বাড়িয়েছেন। অন্যদিকে, জর্জিয়া-অ্যারিজোনা-নেভাদায় জয় প্রায় হাতের মুঠোয়। ইতিমধ্যেই ২৫৩টি ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট এসে গিয়েছে বাইডেনের দখলে। অন্য রাজ্যেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যবধান ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। ২১৪টি ইলেক্টোরাল ভোট পাওয়া ট্রাম্প কি হোয়াইট হাউসের দৌড় থেকে ক্রমশই ছিটকে যাচ্ছেন? উত্তরের অপেক্ষা করেননি বাইডেন-সমর্থকরা। নিউ ইয়র্ক থেকে লাস ভেগাস, পেনসিলভেনিয়া থেকে টেক্সাস— সর্বত্রই উল্লাসে মেতেছেন তারা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বাইডেনের জয় নিয়ে নিশ্চিত সমর্থকদের অনেকেই মুখে শোনা গিয়েছে, ‘মানুষ তাদের মনের কথা বলেছেন।’
‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত পেনসিলভেনিয়ায় ২৮ হাজার ৮৩৩ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন। ওই রাজ্যে ৯৬ শতাংশ ব্যালটের গণনা শেষ। পেনসিলভেনিয়াতেও জয়ের গন্ধ পাওয়া ডেমোক্র্যাটরা আগেই জিতে নিয়েছেন মিশিগান বা উইসকনসিনের মতো রাজ্য। ৪ বছর আগে যা রিপাবলিকানদের দখলে ছিল। ইতিমধ্যে ৭ কোটি ৪৮ লাখ ১১ হাজার ৩৭৮টি পপুলার ভোট পাওয়া বাইডেন তাই বলেছেন, ‘৪ বছর আগে গুঁড়িয়ে যাওয়া ‘ব্লু ওয়াল’-কে আবার গড়ে তুলেছি।’ ট্রাম্প পেয়েছেন ৭ কোটি ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৫৩৭ পপুলার ভোট। শতকরা হিসাবে যথাক্রমে ৫০ দশমিক ৬ ও ৪৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
সরকারি ভাবে পেনসিলভেনিয়া দখলে এলেই প্রেসিডেন্ট পদের জন্য ২৭০-এর ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারবেন বাইডেন। ওই রাজ্যে ২০টি ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে। শুধুমাত্র পেনসিলভেনিয়া নয়, জর্জিয়াতেও ট্রাম্পের থেকে ৪ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে বাইডেন। অন্যদিকে, অ্যারিজোনা এবং নেভাদায় ‘লিড’ দ্বিগুণ করেছেন তিনি। বস্তুত, জর্জিয়ায় ১৬টি, অ্যারিজোনায় ১১টি এবং নেভাদায় ৬টি ইলেক্টোরাল ভোটের ফলাফলের চূড়ান্ত ঘোষণার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন আমেরিকাবাসী। ওই রাজ্যের জয়েই ট্রাম্পের ফের প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে।
পেনসিলভেনিয়ার তুলনায় জর্জিয়ায় শুক্রবার সন্ধ্যায় রিপাবলিকানদের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দিয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা। সংখ্যার বিচারে ৪ হাজারের বেশি ভোটে বাইডেন এগিয়ে থাকলেও সেই ব্যবধান কমতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। ওই রাজ্যের কর্মকর্তারা জর্জিয়াতে ফের গণনার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। জর্জিয়ার সাফল্যের কথাও এদিন বাইডেনের মুখে শোনা গিয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘‘৪ ঘণ্টা আগেও আমরা জর্জিয়াতে পিছিয়েছিলাম। এখন আমরাই এগিয়ে। ওখানেও আমরাই জিতব।’ অ্যারিজোনাতেও লিড বজায় রয়েছে বাইডেনের। ওই রাজ্যের ফিনিক্স এবং শহরতলি থেকে হাজার হাজার ব্যালট জমা পড়েছে ভোটগণনা কেন্দ্রে। অন্যদিকে, নেভাদায় নিজের লিড ট্রাম্পের থেকে দ্বিগুণ করে ফেলেছেন বাইডেন। প্রায় ২২ হাজার ৬০০ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। সূত্র: রয়টার্স, এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।