Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুঠিয়ায় চেক জালিয়াতি মামলায় জেল ও অর্থদন্ড

পুঠিয়া (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০২০, ১০:২৬ এএম

পুঠিয়ায় চেক জালিয়াতি মামলায় মোস্তাফিজুর রহমান (৪৬) নামের একজনের জেল ও অর্থদন্ডে দন্ডিত করেছে আদালত। সাজাপ্রাপ্ত মোস্তাফিজুর রহমান পুঠিয়া পৌরসভার কাঁঠালবাড়িয়া ওয়ার্ডের আঃ কুদ্দুসের ছেলে। রাজশাহীর যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত এ আদেশ দেন। গত ২০১৬ সালে মোস্তাফিজুর রহমান ৭ লক্ষ টাকা ব্যবসায়ের জন্য ঋণ নেয় উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের ঝলমলিয়া গ্রামের মৃত মতিউর রহমানের ছেলে আসলাম আলীর কাছ থেকে। পরে মোস্তাফিজুর তাঁর নিজ হিসাবের একটি চেক দেন আসলামকে। চেকটি ডিজঅনার হলে মামলা করেন আসলাম আলী। মামলার বিচারিক কার্য শুরু পর থেকে মোস্তাফিজুরকে উপস্থিত হওয়ার জন্য লিগ্যাল নোটিশ দিলে সে মামলা কার্যে অংশ গ্রহন করেনি। এতে আদালত তাকে পালতক দেখিয়ে মামলার কার্য পরিচালনা করেন। গত ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসের ২৮ তারিখে আসামী মোস্তাফিজুরকে দোষী সাব্যস্তকরে এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয় আদালত। রায়ে উল্লেখ করা হয় অত্র মামলায় চেকে বর্ণিত অর্থের দ্বিগুণ পরিমান অর্থাৎ সাত লক্ষ টাকার দ্বিগুণ ১৪ লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। বাদী পক্ষ ডিজঅনার চেকের পরিমান অর্থাৎ ৭ লক্ষ টাকা পাবেন। অবশিষ্ট ৭ লক্ষ টাকা সরকারী কোষাগারে “লেভি”আকারে আদায়যোগ্য হবে। আসামী মোস্তাফিজুর রহমান পালাতক থাকায় থানায় স্বেচ্ছায় আদালতে আতœসমর্পণের তারিখ হতে অথবা পুলিশ কর্তৃক ধৃত হওয়ার তারিখ হতে সাজার মেয়াদ কার্যকর হবে। এ মামলায় আসামীর হাজতবাস যদি থেকে থাকে তা মূল সাজা থেকে বাদ যাবে। এছাড়াও সাজার মেয়াদ উল্লেখপূর্বক আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরওয়ানা জারি করা হয়। এ বিষয়ে পুঠিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম জানান, আসামী মোস্তাফিজুর রহমান পালতাক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তাকে আটকে প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ